আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোট চলছে, ভোটার কম

রাজধানীর মিরপুর, পুরান ঢাকা, যাত্রাবাড়ি, শ্যামপুর ও চকাবাজারের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্যা সময়ের মতো কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন নেই। সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পর প্রথম দুই ঘণ্টায় বাক্সে ভোট পড়ার হারও তুলনামূলকভাবে অনেক কম।     
বেলা বাড়লে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।  
যাত্রাবাড়ির ধনিয়ায় অগ্রদূত বিদ্যা নিকেতনে ঢাকা-৫ আসনের ভোট হচ্ছে।
এই কেন্দ্রের ৩ হাজার ৮৬ জন ভোটারের মধ্যে বেলা ১০টা পর্যন্ত ২৮২ জন ভোট দিয়েছেন বলে প্রিসাইডিং অফিসার মো. আমিন মিয়া জানান।


একই সময়ে ধনিয়া কৃষি বিদ্যালয় কলেজের দুটি কেন্দ্রে একশর মতো ভোট পড়েছে বলে প্রিসাইডিং অফিসার লিটন কুমার সরকার ও মো. আবদুস সোবহান জানান।
এর মধ্যে একটি কেন্দ্রে ১ হাজার ৮৭১ জন ও আরেক কেন্দ্রে ২ হাজার ৬২৭ জনের ভোট দেয়ার কথা।
এই তিন কেন্দ্রের বুথগুলিতে নৌকা ছাড়া আর কোনো প্রতীকের প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট পাওয়া যায়নি।
সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং কর্মকতারা বলছেন, আর কেউ পোলিং এজেন্ট দেয়নি।  
উত্তরার নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ তিনটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কোনটিতেই ভোটারের লাইন নেই।


ওই স্কুলে থাকা ১৫৭ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা লুৎফর রহমান সকাল ৯টা পর্যন্ত তার কেন্দ্রে ১০টি ভোটও পড়েনি।
এই স্কুলের আরেক কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মহসিন মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, তার কেন্দ্রের ৬টি বুথে প্রথম ঘণ্টায় একটি-দুটি করে ভোট পড়েছে।
আরেক কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বেলা সোয়া ৯টায় বলেন, “আমরা যথাসময়ে ভোটগ্রহণ শুরু করেছি। শীতের কারণে মানুষ হয়তো আসতে পারছে না। এ পর‌্যন্ত প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা গুনিনি।

তবে সবগুলো বুথেই ভোট পড়েছে। ”
এসব কেন্দ্রে যথাক্রমে ২৯১৩, ২৯১৬ ও ২৬৯৮টি ভোট রয়েছে।
নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ভোটার হাজী মোস্তাক মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি বাংলাদেশের নাগরিক। আমার নাগরিক অধিকার প্রয়োগের জন্য আমি এখানে এসেছি। কারো পছন্দ অপছন্দ থাকতে পারে কিন্তু ভোট দিতে সবার আসা উচিত।


উত্তরার এই স্থায়ী বাসিন্দা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, হাজারে একশ জনের বেশি এবার ভোট দিতে আসবে না। ”
সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টিতে প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ডে এবার ভোট দিতে পারছেন না ১৪৭ আসনের ভোটাররা। এ বিষয়টিও ভোটকেন্দ্রে উপস্থিতির ক্ষেত্রে প্রভাব রেখেছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের ১২৭ জন ইতোমধ্যে জয়ী হওয়ায় সরকার গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো সংশয় না থাকলেও ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে কর্মীদের সক্রিয় হতে বলে আসছেন দলটির নেতারা।  
তাছাড়া ভোট ঠেকাতে বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোট কেন্দ্র লক্ষ্য করে নাশকতা চলায় ভোটরদের মধ্যেও এক ধরনের ভীতি কাজ করছে।

  

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।