আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

(১৪৩১ হিজরীতে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উপলক্ষে দৈনিক আল ইহসান শরীফ উনার মধ্যে প্রকাশিত)

অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।

আগামী ১৪ জানুয়ারী
‘সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ’, ‘সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম’, ‘সাইয়্যিদে ঈদে আকবর’
‘পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’।
বৎসরের সর্বশ্রেষ্ঠ এ মুবারক দিনটি সর্বোত্তমভাবে পালনের জন্য সর্বোচ্চ তৎপর এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ তথা ব্যাপক জাঁকজমক, শান-শওকত ও মহা আড়ম্বরপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে
শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন ‘এফবিসিসিআই’-এর চেয়ারম্যান, সব ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং সব ডাইরেক্টর-এর প্রতি উদাত্ত আহবান

মুহতারাম,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অভ্যুদয়ের সঙ্গে যাদের কথা অনিবার্যভাবে আসে তারা হলেন, ত্রিশ লাখ শহীদ।
প্রসঙ্গত এ ‘শহীদ’ শব্দটি সর্বোতভাবেই পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ধর্মীয় বিশ্বাস, অনুভূতি ও আবেগ থেকে উৎসারিত।


অর্থাৎ এদেশের উৎপত্তির সাথে পরিপূর্ণভাবে জড়িয়ে আছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিশ্বাস ও অনুষঙ্গ। এদেশের স¦াধীনতার প্রেক্ষাপট পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অনুভূতি ও চেতনা।
মুহতারাম,
একই সাথে এদেশের স¦াধীনতা রক্ষার মূল চেতনাও পবিত্র দ্বীন ইসলাম। বলাবাহুল্য, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার গং ও ধর্মব্যবসায়ীসহ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সব সময় এদেশের স¦াধীনতা হরণ ও নস্যাতে বিশেষ সক্রিয়।
এক্ষেত্রে তাদের প্রথম নীল-নকশা হলো, এদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা।

এদেশকে বিদেশের বাজারে পরিণত করা। বিদেশী পণ্যে এদেশের বাজার সয়লাব করা। চটকদার বিজ্ঞাপনে বিদেশি পণ্যের প্রতি এদেশবাসীর মনকে আকৃষ্ট করা। এদেশবাসীকে বিদেশী পণ্যের ভক্ত করা।
মুহতারাম,
এ হীন কৌশলে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা এতই সফল যে, এদেশের ব্যবসায়ী ও উৎপাদনকারীরা বিদেশের থেকে ভালো পণ্য দ্রব্য উৎপাদন করলেও নিজেদের কোম্পানির লেবেল দিলে তা এদেশবাসী কেনেনা।

সেক্ষেত্রে এদেশের ব্যবসায়ীদের নিজের উৎপাদিত পণ্যদ্রব্যে নিজের দেশের তথা বাংলাদেশের নাম না দিয়ে বিদেশি ব্র্যান্ডের নাম দিতে হয়। তারপরে এদেশবাসী আকৃষ্ট হয়ে ওইসব পণ্যদ্রব্য কিনে।
মুহতারাম,
এক্ষেত্রে এদেশ আজ ভারত, চীন, সিঙ্গাপুরসহ নানা বিদেশী রাষ্ট্রের নিজস¦ মার্কেটে পরিণত হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ভারতের সাথে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে একুশ হাজার কোটি টাকা। এ কেবল সরকারি হিসাব।

আর প্রকৃত হিসাবে এদেশের সুঁইসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং বিলাসী তথা বাস-ট্রাক ইত্যাদি ভারি শিল্পসহ সবকিছু ভারতীয় কোম্পানিগুলো তথা ব্যবসায়ীদের একচ্ছত্র ও বিশাল মার্কেট।
মুহতারাম,
আয়তনে ছোট হলেও বাংলাদেশ মূলত ১৫ কোটি লোকের এক বিশাল মার্কেট। যা তথাকথিত সুপার পাওয়ার আমেরিকার কাছাকাছি। এক্ষেত্রে এ ১৫ কোটি বাংলাদেশী যদি বাংলাদেশী পণ্য ক্রয় করতো তাহলে বাংলাদেশী কোন কোম্পানিরই লোকসান হতো না। অথবা বাংলাদেশী উৎপাদিত পণ্যই প্রচুরভাবে চলতো।

বাংলাদেশের সব ব্যবসায়ীর অবস্থায়ই আরো ভালো হতো এবং পাশাপাশি বাংলাদেশে আরো অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী তৈরি হতো।
মুহতারাম,
শুধু ভারত, চীনই নয়- এদেশে রয়েছে লক্ষ কোটি টাকার ইহুদীপণ্যের বিশাল মার্কেট। দামি শিশুখাদ্য, কসমেটিক্সসহ সব উচ্চমূল্যের পণ্যগুলো ইহুদীদের এবং বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত তথা ধনীরা একচেটিয়া ইহুদীদের এসব পণ্যের ক্রেতা।
মুহতারাম,
অথচ এমনটি হওয়ার কথা ছিলো না। কারণ, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে সরাসরি ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “ইহুদীরা মুসলমানদের বড় শত্রু।

” পাশাপাশি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “দেশ প্রেম ঈমান উনার অঙ্গ। ” সুতরাং কোনো মুসলমান একদিকে যেমন কোন ইহুদীপণ্য কিনতে পারে না, পাশাপাশি তারা দেশীয় পণ্য বাদ দিয়ে ভারতীয় বা বিদেশী পণ্যও কিনতে পারে না। কিন্তু তারপরেও এদেশবাসী তাই করছে। অথচ এদেশের ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান।
মুহতারাম,
এর এক মাত্র কারণ হচ্ছে, এদেশের শতকরা ৯৭ ভাগ মুসলমানকে তাদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তিতে উজ্জীবিত করা হচ্ছে না।

সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি আকর্ষিত করা হচ্ছে না। সম্মানিত ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হচ্ছে না।
মুহতারাম,
এদেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসীদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূল শিক্ষা এবং প্রধান মূল্যবোধ হলো- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পালন। কারণ, যিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করা না হলে হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনিসহ কোনো হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সৃষ্টি করা হতো না এবং উনাদের বিশেষ কোনো ঘটনাও সংঘটিত হতো না।
শুধু তাই নয়, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন না হলে- আসমান-যমীন, লওহো-কলম, আরশ-কুরসী, জিন-ইনসান, ফেরেশতা, বেহেশত-দোযখ এক কথায় কায়িনাতের কোনো কিছুই সৃষ্টি হতো না।


এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন- “হে আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনাকে সৃষ্টির উদ্দেশ্য না থাকলে আমি আমার রুবুবিয়্যতই প্রকাশ করতাম না। ” (কানযুল উম্মাল)
তাই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে আগমন তথা পবিত্র বিলাদত শরীফ ও পবিত্র বিছাল শরীফ উনাদের দিন ১২ই রবীউল আউয়াল শরীফ কতো মহান, কতো বড় খুশি বা ঈদের দিন হবে তা ভাষায় বর্ণনার অযোগ্য। আর সে দিনটি উপলক্ষে যদি যথাযথ আড়ম্বর, জাঁকজমক ও সর্বোচ্চ আয়োজনের সাথে খুশি প্রকাশ না করা হয়; তাহলে যে কতো কঠিন শাস্তির বিষয় হবে, তা চিন্তা-ফিকিরের বিষয়।
সঙ্গতকারণেই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত এ দিনটিকে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর বলে ঘোষণা করেছে এবং এ ঈদ পালন বা উদযাপন করাকে ফরযে আইন করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ হয়েছে, “হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি স¦ীয় অনুগ্রহ ও রহমত হিসেবে উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্যে তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে।

এই খুশি প্রকাশ করাটা সেসব কিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে। ” (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত জিবরীল আমীন আলাইহিস সালাম তিনি আমার নিকট আগমন করে বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে এই বলে পাঠিয়েছেন যে, “আপনি যদি না হতেন তবে আমি জান্নাত ও জাহান্নাম কিছুই সৃষ্টি করতাম না। ” (দায়লামী শরীফ, কানযুল উম্মাল)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত মাখলূকাত সৃষ্টি করেছেন তথা মহান আল্লাহ পাক উনার রুবুবিয়্যতই প্রকাশ করেছেন পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ পালন করার উদ্দেশ্যে।
মুহতারাম,
এদেশের ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমান।

এদেশের রাষ্ট্রধর্ম পবিত্র দ্বীন ইসলাম। আর মুসলমান বা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূলকথা হলো- “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ”
বলাবাহুল্য, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ আদৌ উচ্চারিত হতো না, যদি- ‘মুহম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ উচ্চারণ না হতো।
অর্থাৎ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মূল হচ্ছেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।
আর উনার প্রতি সব আবেগ, মুহব্বত, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, আদব জানানোর মূল মাধ্যম হচ্ছে উনার আগমনের দিন- সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যথাযথভাবে পালন।


মুহতারাম,
বুখারী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মাছাহাবীহুস সুন্নাহ শরীফ ইত্যাদি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাব উনাদের মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “আমার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে তোমরা গাল-মন্দ, সমালোচনা বা দোষারোপ করো না। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আমার খিদমতে এক মুদ (১৪ ছটাক) বা অর্ধ মুদ (৭ ছটাক) গম হাদিয়া করে যে ফযীলত অর্জন করেছেন; তোমাদের কেউ যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স¦র্ণ মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় দান করো, তবুও উনাদের সমপরিমাণ ফযীলত তোমরা অর্জন করতে পারবে না। ”
কাজেই, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য হাদিয়া করে যে বেমেছাল ফযীলত হাছিল করেছেন পরবর্তী উম্মত যদি সেই ফযীলতের অনুরূপ ফযীলত হাছিল করতে চায় তাহলে তাদের কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে সর্বোচ্চ তাওফীক বা সাধ্য সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যয় করা।
মুহতারাম,
বিশ্ব সমাদৃত ও সুপ্রসিদ্ধ ‘আন নি’মাতুল কুবরা আলাল আলাম’ কিতাব উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম ব্যয় করবে সে জান্নাতে আমার বন্ধু হয়ে থাকবে।

” সুবহানাল্লাহ!
আমীরুল মু’মিনীন হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে এক দিরহাম খরচ করলো, সে যেনো বদর ও হুনাইন যুদ্ধে শরীক থাকলো। ” সুবহানাল্লাহ!
মুহতারাম,
সেক্ষেত্রে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে আপনারাসহ সব ব্যবসায়ীদের আশু কর্তব্য, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দিবসটি চরম-পরম, মুহব্বত, শান-শওকত এবং জওক-শওকের সাথে পালন করা। সাথে সাথে গোটা দেশবাসীকে সম্পৃক্ত করা।
মুহতারাম,
এ লক্ষ্যে এ দিনের দানের ফযীলত হাছিলের জন্য, তথা দেশবাসীর মাঝে এদিনের চেতনা ও প্রেরণা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আপনারা প্রত্যেকেই যার যার কোম্পানির পণ্যদ্রব্যের একটা বিশেষ ছাড় দিতে পারেন। এতে করে এ মুবারক দিন উনার প্রেরণা মানুষের মাঝে তৈরি হবে।

আপনারা সে ফযীলতও পাবেন। পাশাপাশি এ মুবারক দিন উনার উপলক্ষে খরচেরও বিশেষ ফায়দা পাবেন।
বিশেষত এ মুবারক দিন উনার প্রেরণা বিস্তার লাভ করলে সবার মাঝে স¦দেশ প্রেমের চেতনাও লাভ করবে। তাতে সবাই স¦দেশী পণ্য কিনতে উৎসাহী ও আগ্রহী হবে এবং এতে দেশবাসীসহ দেশের ব্যবসায়ীদেরও সমৃদ্ধি আসবে। দেশের স¦াধীনতা অক্ষুণœ থাকবে।

ইনশাআল্লাহ!

: নিবেদক :
আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম
সম্পাদক- দৈনিক আল ইহসান ও মাসিক আল বাইয়্যিনাত
কেন্দ্রীয় আহবায়ক- আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত, বাংলাদেশ।
(রাজাকার, সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ বিরোধী ও ধর্মব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচনকারী সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক একটি দ্বীনি মজলিস। )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।