আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১০০ বছর আগে পবিত্র মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফে ঈদে মীলাদুন্নবী পালন

জীবন কখনোই সংগ্রাম বিহীন হতে পারে না

আজ থেকে ১০০ বছর আগেও পবিত্র মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের ইমাম-খতিব সাহেবরা ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করতেন, মীলাদ শরীফ পড়তেন। কেউ এ আমলসমূহের বিরুদ্ধে বললে তাকেও কাফের ফতওয়া দিতেন তারা।
আজ থেকে ১১০ বছর আগে ১৩২৫ হিজরী সালে তৎকালীন দেওবন্দীদের কিছু লেখা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন পবিত্র মক্কা-মদীনা শরীফের ইমাম খতিবরা। কারণ ঐ সময় দেওবন্দীদের কিছু লেখায় ঈদে মীলাদুন্নবী (নবীজির বিলাদত দিবস) ও মীলাদ শরীফকে কৌশলে কটাক্ষ করা হয়েছিল। সে সময় দেওবন্দীদের উক্ত কাজের তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন তৎকালীন পবিত্র মক্কা-মদীনা শরীফের ইমাম-খতিবরা এবং দেওবন্দীদের কাছে সেই কাজের জন্য লিখিত জবাবও চেয়েছিলেন তারা।


সেই সময় সম্মানিত ইমাম সাহেবদের কথার জবাবে দেওবন্দের পক্ষ থেকে সাফ সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছিল, দেওবন্দীরা অবশ্যই ঈদে মীলাদুন্নবী পালনের পক্ষে এবং এই দিবসকে তারা অধিকতর সম্মানিত মনে করে। তারা মীলাদ শরীফের পড়া অনেক ফজিলতের কারণ তাও স্বীকার করে। শুধু তাই নয়, পাক নবীজি ইলমে গায়েবের অধিকারী, হাজির-নাজির, হায়াতুন্নবী, সাধারণ মানুষ নন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের এই মৌলিক আক্বিদাগুলো নির্দ্বিয়ায় স্বীকার করেন, এবং এর বিপরীত আক্বিদা পোষণ করাকে কাফেরের লক্ষণ বলে উল্লেখ করেন। এ বক্তব্যের দ্বারা দেওবন্দীরা পবিত্র মক্কা-মদীনার আলেমগণের কাছে নিজেদের মুসলমান হিসেবে প্রমাণ করতে সমর্থ হয়। পবিত্র মক্কা-মদীনাবাসী আলেমগনের বিভিন্ন প্রশ্নের লিখিত উত্তর দিয়েছিলেন দেওবন্দে র্শীষস্থানীয় আলেম এবং আবু দাউদ শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ ‘বাজলূল মাজহুদ কী হল্লি আবু দাউদ’র বিখ্যাত লেখক মাওলানা খলীল আহমাদ শাহরানপুরী।


পরবর্তীকালে দেওবন্দীদের উক্ত লিখিত স্বীকারক্তি আবার পবিত্র মক্কা-মদীনায় যায় এবং ঐ সম্মানিত আলেমরা তা সত্যায়িত করেন। পরবর্তীতে অন্য কেউ যেন দেওবন্দীদের এ বিষয়ে দোষারোপ না করতে পারে, সে জন্য লিখিত জবাবগুলো কিতাব আকারে প্রকাশ করা হয়। । কিতাবটির নাম ‘আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ’।

মূলত এই কিতাবটি পড়লে আপনি কয়েকটি বিষয়ে নিশ্চিত হবেন:

১) যে দেওবন্দীরা আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী বা মীলাদ শরীফের বিরোধীতা করছে তারা তাদের বাপ-দাদাদের বিরুদ্ধতা করছে, এবং দেওবন্দের ফতওয়া মোতাবেক তারা কাফের হচ্ছে।



২) মক্কা শরীফ, মদীনা শরীফে তো মীলাদ হয় না, তাহলে আপনারা করেন কেন? এ প্রশ্ন মূর্খের প্রশ্ন। কারণ নবীজির সময় থেকে দীঘ সাড়ে তেরশ’ বছর মক্কা-মদীনায় সঠিক ইসলাম চলেছে, কিন্তু ১৯২৫ সালে ইহুদীদের এজেন্ট সৌদী ওহাবী পরিবার আরব দখল করার পর তারা ইসলামের বিকৃত ঘটাতে থাকে। এবং এখনো তারা সারা বিশ্বে বাতিল আক্বিদা সমৃদ্ধ ওহাবী, লামাহযাবি বা আহলে হাদিস আক্বিদা বিস্তৃতি ঘটাচ্ছে। (যারা সিরিয়ায় মুসলমান মারতে টাকা দিয়ে সন্ত্রাসী আমেরিকাকে ভাড়া করতে পারে তাদের জন্য সবেই সম্ভব)

৩) মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফের সম্মানিত আলেম এবং তৎকালীন দেওবন্দীদের ফতওয়া মোতাবেক বতর্মোন সৌদী ওহাবীরা, বর্তমান দেওবন্দী বা কওমী-হেফাজতি, জামায়াতে ইসলামী, তাবলীগ জামাত এবং জাকির নায়েকরা কাফের ভিন্ন অন্য কিছু নয়।

এ লিঙ্কে গেলে বইটির পিডিএফ ফরম্যাট ডাউনলোড করতে পারবেন: Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।