আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হায় গণতন্ত্র!!

রবিউল করিম বাবু

নতুন সংবিধান অনুযায়ী আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনেই বিএনপি হয়তো নির্বাচনে অংশ নিত যদি গত ৫ বছর সরকার বিরোধীদলের সাথে কাদা ছুড়াছুড়ি না করে তাদের সঙ্গে স্বদাচরণের মধ্যে দিয়ে নিজেদের প্রতি বিরোধীদলের আস্থা ও বিশ্বাস তৈরি করাতে পারতো। করেছে বরং উল্টোটি যেমন বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধপরাধীদের বাঁচানোর আন্দোলন বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছেন। রানা প্লাজার অবোকাঠামোগত দুর্বলতার কারনে বিল্ডিং ধসে পড়ার অপবাদটিও সরকার চাপিয়েছে বিএনপির উপরে! এরকম অযৌক্তিক দোষারোপ করলে সরকারের সাথে বিরোধীদলের মিত্রতা কিভাবে হয়? জাতীয় পার্টি নির্বাচন বর্জন করায় স্বৈরাচারী এরশাদকে নির্বাচনে ফিরিয়ে আনার জন্য সমঝোতার ব্যাপারে যতটা আন্তরিক হয়েছিল সরকার ততটা হয়নি বিএনপির প্রতি। রাজত্ব ধরে রাখতে সরকার যেন প্রতিজ্ঞা করেছিল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতেই হবে। মানুষের শান্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী ত্যাগ স্বীকার করতে চেয়েছিলেন।

দেশে আজ এতো অশান্তির পরেও প্রধানমন্ত্রী তাঁর প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে সেই একচুল না নড়ার জেদ বজায় রেখে শেষ পর্যন্ত একতরফাই নির্বাচন করলো। সেখানে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার পরেওতো নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারলোনা সরকার। গণমাধ্যমে সারা বিশ্ব দেখলো কতো জালিয়াতি আর নোংরামী হয়েছে ভোটকেন্দ্রগুলোতে! এতে করে গণতন্ত্রকে আরো অসম্মান করা হয়েছে, অপমান হয়েছে মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামীলীগ। এক সরকারী নেতা কর্মী বাদে এই উপহাসের নির্বাচন দেখে লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেছে সারা বাংলাদেশের মানুষের। নির্বাচনে পরে সহিংসতা কমেনি বরং নিরপরাধ সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় মারাত্মকভাবে লাঞ্ছিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

আগুনে পুড়ছে অসংখ্য বাড়ি ঘর এবং সাধারন মানুষের জীবন। প্রায় সময় গনমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম মৃত্যুর স্বৃতি মনে করে কেঁদে ফেলেন, তাহলে তিনি কেন বুঝতে পারছেন না রাজনৈতিক সহিংসতার স্বীকার হয়ে যেই নিরপরাধ মানুষগুলো আগুনে পুড়ে মারা যাচ্ছে তারাওতো বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান অথবা হাসিনা, খালেদার মতই আরেকজন রক্ত মাংসের প্রাণি। তাদেরও মরতে কষ্ট হয়, তারাও কারো বাবা মা অথবা সন্তান, তাদেরও পরিবার আছে, স্বপ্ন আছে, সেই পরিবারো কাঁদে আর অভিশাপ দেয় দুই নেত্রীকে!
এই দেশে কোন আমলেই জনগনের প্রয়োজন ও চাহিদাকে আন্তরিকভাবে গুরুত্ব দেয়নি সরকার বরং সরকারী দলের নেতা কর্মীরা জনগনের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে জনগনেরই অর্থসম্পদ আত্মসাৎ ও চঁাঁদাবাজী করেছে, তাই কোন সরকারই জনগনের পরিপুর্ণ সন্তষ্টি আদায় করতে পারেনি। রাজনীতির নামে চুরি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজী আর মানুষ হত্যার কারনে আজ সাধারন মানুষ রাজনীতিবিদদের ঘৃনার চোখে দেখে। শিক্ষিত তরুণ সমাজ যারা বাংলাদেশকে সুন্দর ও আধুনিক করার স্বপ্ন দেখে তাদের প্রায় ৮০ ভাগ তরুনেরা মনে করে বাংলাদেশে রাজনীতি মানে নোংরামী আর ঠকবাজী।

তাহলে কি আমাদের রাজনীতি দখল হয়ে গেছে মিথ্যুক, ভন্ড আর স্বার্থপর লোকদের হাতে! যুদ্ধাপরাধীর শাস্তির দাবীতে যদি একটি গণজাগরন মঞ্চ তৈরি হতে পারে তাহলে আজ এই নিরপরাধ মানুষ হত্যা বন্ধের দাবীতে, মানুষের মুক্তি ও শান্তির দাবিতে কেন আবার জেগে উঠছে না মানুষ?





 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।