আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছবিব্লগঃ ম্যাক্রো’র সাথে একদিন ...

বর্তমান সময়ের হটকেক হচ্ছে রাজনীতি। ফেসবুকে-ব্লগে সবাই বেশ সরব এ নিয়ে। আমি হলাম বোকা হদ্দ মানুষ, ওসব আমার মাথায় ঢুকে না। সক্কাল সক্কাল অফিস যাই, সারাদিন কামলা খাটি, এর ফাঁকে সময় পেলে ফেসবুকে ঢুঁ মেরে সবার স্ট্যাটাস পড়ি, ব্লগেও হানা দেই আর রাত করে অবসন্ন হয়ে বাড়ি ফিরে খেয়ে ঘুম।
আমার মাথায় ঢুকে না - কিভাবে মানুষ এতো গভীর ভাবে কোনোকিছু নিয়ে ভাবতে পারে, এতো সময় ব্যায় করে এতো সুন্দর বিশ্লেষণ কি করে দাঁড় করাতে পারে! তাঁরা নিশ্চয়ই অনেক জ্ঞানী, নমস্য।

আমি এক নগন্য মানুষ, জ্ঞানের বিলাসিতা আমার সাজে না। মাঝে মাঝে সচলে এসে একটা বিষয়েই কচকচ করি - ফটোগ্রাফি। সেখানেও জ্ঞানী হবার বিলাসিতা আজঅব্দি পেয়ে বসেনি। তবে ইদানিং কামলা খাটার পরিমান বেড়ে যাওয়াতে ক্যামেরা নিয়ে কোথাও বেড় হওয়া হয় না। ২০১৩'র ১৫ নভেম্বর অনুপমকে সাথে নিয়ে বেড় হলাম মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে, ম্যাক্রো করার আশায়।


যেদিন শাহবাগে প্রথম উপস্থিত হয়ে সবাই কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় চাইলো, সেই ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৩ তে খুব শখ করে কিনেছিলাম নিকন মাইক্রো ১০৫ মিমি, f/২.৮। কিন্তু ঐ আন্দোলন মুখর পরিবেশে মনে হয়নি কোথাও গিয়ে একটু ম্যাক্রো করে আসি, শুধু ঘরে বসিয়ে ল্যান্সটাকে অলস বানাচ্ছিলাম। কিন্তু হাত নিশপিশ তো বন্ধ হবার নয়। তাই চলেই গেলাম দুজনা মিলে। অনুপমেরও একই অবস্থা, ব্যাস্ততার চাপে কোথাও যাওয়া হয় না।

তাই দুজনে আর কিছু না ভেবে চলেই গেলাম - দেখা যাক কি হয় এই ভেবে।
সবচেয়ে সমস্যার মধ্যে পড়েছিলাম একটা জিনিশ নিয়েই, বহুদিন ক্যামেরার সাথে রোম্যান্স নেই। আমি বলি এক আর সে করে আরেক! বুঝলাম, এই যন্ত্রের মনটা আবার নতুন করে বোঝা লাগবে। তো কি আর করা, সকাল থেকে (সকাল বলতে ১১টা আরকি!!!) বিকেল পর্যন্ত অনেক চেষ্টা করলাম ক্লিক করার। সে এক ভয়ানক যুদ্ধ, বন্য হাতীকে পোষ মানানোর মতো।

দিন শেষে যা বুঝলাম তা হলো, 'ফুরিয়ে যাচ্ছি' - এমন একটা ধারণা মনের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বুঝতে পারছিলাম। কিন্তু সেদিন পুরোপুরি বুঝলাম - ফুরিয়ে গেছি। সেটা আসলে খুব একটা ধর্তব্যের বিষয় না একটা কারণেই - দেয়ার মতো কিছুই ছিলোনা আমার কোনো কালে, ফুরোলে তাতে কি? যাই হোক, কিছু আব-জাব যা তুলেছি শেয়ার দিলাম।
১) ম্যাক্রো করতে যাবো আর মাছির ছবি তুলবো না, এইটা হয় নাকি??

২) এই চিকচিকা মাকড়শা বহুতদিন পরে দেখলাম ...

এই চান্দু মহা মজার এক চিজ। ম্যাক্রো মডেল হিসেবে এক্কেবারে ফার্স্টক্লাশ।

পুরাই ঠায় দাড়ায়া পোজ মেরে গেলো বহুক্ষণ
৩)

৪)

৫)

৬)

এই পাতাগুলোর ছবি তুলেও খুব মজা পেয়েছি
৭)

৮)

৯)

ফুলটার নাম জানিনা, তবে ম্যাক্রো করতে গেলে এটা পেলেই ক্লিক মারি -
১০)

১১)

১২) সূর্যের ম্যাক্রো করার এক প্রাণান্ত প্রচেষ্টা

এক্কেবারে চলে আসার সময় দেখা হলো এই টারমিনেটরের সাথে। মনে হচ্ছিলো যে এই ব্যাটা মেটাল দিয়ে তৈরী
১৩)

১৪)

# এইবার দুটো বোনাস দিলাম। গাজিপুরে ঘুরতে গিয়ে হঠাৎ করেই এই রঙ্গীলা মাছির দেখা পেলাম, যদিও ছবি তুলে যাইনি কিন্তু ঢেকির স্বর্গে গিয়ে ধান ভানার মতো মেরে দিলাম ঠুশঠাশ ...


সোর্স: http://www.sachalayatan.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.