আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ϙϙϙ নির্জন রাতে ϙϙϙ

এমন দেশটি কোথাও খুজে পাবে নাকো তুমি.. সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি। বিশ্বাস চিরঞ্জীব । মুক্তমন । :█▓▓▓▒▒▒░░░░

        

ঘুমটা হঠাৎ করেই ভেঙ্গে গেলো। অনেকক্ষণ ঘুমিয়েছিলাম এমনটা নয়।

কিছুক্ষণ আগেই তো বাতি নিভিয়েছিলাম। যাই হোক, আবার ঘুমাতো চেষ্টা করছি। কিন্তু ঘুম তো আর আসছেনা। তন্দ্রার দল চোরপুলিশ খেলছে যেনো। লেপের ভেতর খুব গরম অনুভব করছি।

ওটা পায়ের কাছে ফেলে একটা পাতলা কম্বল টেনে নিলাম।

বেশ কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর। শ্রবণ শক্তি হঠাৎ এতো সক্রিয় হয়ে উঠলো কেনো? কোথা থেকে যেনো একটা শব্দ আসছে এইদিকে। খুব কাছেও নয় আবার বেশ দূরেও না। কিছু একটা থেঁতলানোর চাপা শব্দ।

একটু পর পর। আওয়াজটা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। কিন্তু এর মূল উৎস কি তা শত বার ভেবেও বুঝতে পারলাম না। টপ করে এক ফোঁটা পানি হলো। হুম.. ওয়াশ রূমের কল থেকে বালতিতে পড়েছে।

কিন্তু আমাকে ভয় পাইয়ে দেবার জন্য এক ফোটা পানিই বুঝি যথেষ্ট ছিলো! মাথাটা পুরোপুরিই কম্বলের নিচে লুকিয়ে নিলাম। এখনতো আরও বেশি গরম লাগছে। আমার শরীরের উত্তাপ যেনো একটু একটু করে বাড়তে শুরু করেছে। ঘামতেও শুরু করেছি। অন্যদিকে ভয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে গেছে আমার।

ভয়ের তীব্রতায় নিজের নিশ্বাসের আওয়াজকেও শুনতে ভয় লাগছিল। ভাবতেও অবাক লাগে। অশরীরি কিছুর অস্তিত্ব কল্পনা করে আমি আতংকিত। অথচ জীবনে ভুত-প্রেত বলতে কিছুই দেখার দুর্ভাগ্য অর্জন করতে পারিনি। বরং নিস্তদ্ধ-নির্জন ও নিকষ অন্ধকারের কোনও বিশেষ মুহূর্তে ভীতিকর অনুভূতির সাথে কেবল পরিচিতই হয়েছি।

অসংখ্যবার। কী অদ্ভুত!

জনবহুল, কোলাহল মুখরিত এই ঢাকার কোথাও গভীর রাতেও মানুষের সমাগম থাকে। কিন্তু রাতের আবাসিক এলাকাগুলো ঠিকই গ্রাম্য একাকিত্বের মুখোশ পরে ভৌতিক চিত্র ধারণ করে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। রড-সিমেন্টের তৈরী কিছু বিশাল বাকসো ছাড়া বাকী সবই গা ছমছম করা পোর্টেইট হয়ে দেখা দেয়। নিচের কংক্রিটের ছাল ওঠানো ফাঁকা পথ দিয়ে একটা রিক্সা ঝকর ঝকর শব্দ তুলে দ্রুত চলে যাচ্ছে।

পাতলা পাতলা আওয়াজ শুনে মনে হলো রিক্সাটা যাত্রীবিহীন। যেনো ভুতে তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। অথবা একলা পথে ভুতই চালাচ্ছে ওটা।

    

অনেক দূর থেকে দূরপাল্লার বাসগুলোর যান্ত্রিক চিৎকার অনেকক্ষণ পর পর ভেসে আসছে। ওরা হর্ণ বাজিয়ে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়ে যাচ্ছে যেনো।

রাতের অর্ধপূর্ণ যাত্রী নিয়েই আলকাতরায় প্রোথিত মহাসড়ক মাড়িয়ে ছুটছে দূরের গন্তব্যে।

দূরে কোথাও ডেভলপার এরিয়ায় পাইলিং মেশিন তার কর্তব্য পালনে ব্যস্ত। আশপাশের মানুষের ঘুম কেঁড়ে এই রাত দুপুরেই যেনো তার কাজের মোক্ষম সময়। তিন সেকেন্ড অন্তর অন্তর আসা তার আওয়াজটাও ঠিক ঠিক চিনতে পারলাম।

নাহ.. অনেকক্ষণ আগে শুনতে পাওয়া সেই থেঁতলানোর শব্দটা আর আসছেনা।

কখন যেনো থেমে গেছে, বলতে পারছিনা। ছাদে যেতে মন চাচ্ছে খুব। না.. থাক। এই শীতে ছাদে যাবোনা। ডায়েরিটা নিয়ে বসি।

কিছু লিখে রাখি..

বাতায়নের চকচকে কাঁচ ভেদ করে কচকচে মিষ্টি রোদ চোখে এসে পড়তেই ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। প্রতিটা স্বপ্নের পর কিছু একটা সঙ্গত কারণকে সামনে রেখে ঘুম ভেঙে যায় কেনো তা আমার জানা নেই। বলা যায় স্বপ্নের ইতি টেনে ধরা হয় ঘুম ভাঙা দিয়ে। ঘুমের ঘোরে কে স্বপ্ন দেখায়। কে-ই বা স্বপ্নের ইতি টানে।


druft 0.2.0
January 13, 2014

উৎসর্গঃ আমার কোনও পোস্টের ২৮ তম মন্তব্যকারীকে


-----------------------------------------
পুনশ্চঃ কাউকে বলেছিলাম আমার একশত দুইতম পোস্ট অন্য কিছু হবে। তা আর পারলাম। আসলেই দুঃখিত। দায়বদ্ধতা নয়। নিজের কথা নিজে ভঙ্গ করায় নিজের কাছেই ভালো লাগলো না।

ধূর..

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।