আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক ক্লিকে ডাউনলোড করুন শরৎচন্দ্র রচনাসমগ্র

কথা সাহিত্যিক নামে পরিচিত শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যয় বাংলা সাহিত্যের এক কালজয়ী ঔপ্যনাসিকের নাম। আবহমান গ্রাম বাংলার নিতান্তই সরল-সহজ মনের নারীপুরুষের ব্যথা বেদনাগুলো নিখুদ দক্ষতায় উঠে এসেছে তার কলমের অগ্রভাগে। শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যয়ের নাম শুনলেই দেবদাস-পার্বতী, শ্রীকান্ত-রাজলক্ষ্মী’র ন্যায় অসংখ্য চরিত্র জীবন্ত হয়ে আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সত্যি বলতে কি, তার সম্পর্কে বাড়িয়ে বলার কিছু নেই। অতি সাধারণ ঘটনাকেও তিনি যেভাবে প্রণবন্ত এবং আকর্ষণীয় করে তুলছেন তার তুলনা কারো সাথেই চলেনা, যার সবচেয়ে বড় প্রমাণ “মহেশ” গল্প।

কিন্তু বাস্তবে শুধু “মহেশ”ই নয় “দেবদাস” থেকে শুরু করে “বিলাশী”,“অভাগীর স্বর্গ”, “বড়দিদি”“মেঝদিদি”, “রামের সুমতি”, “বিরাজবৌ” সহ শরৎ চন্দ্রের প্রতিটি গল্পই আমাদের মনকে ছুয়ে যায়।
ব্যক্তিগতভাবে আমি শরৎ সাহিত্যের একজন একনিষ্ঠ পাঠক। তার “শ্রীকান্ত” উপন্যাস পড়ে আমার মনে হয়েছে এটিই এখনও পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। সাহিত্যে ছয়টি রস থাকে যার সবগুলিই “শ্রীকান্ত” এ জীবন্ত হয়ে পাঠককে আনন্দ দেয়। যেকোন সাহিত্য অনুরাগী একবাক্যে স্বীকার করবেন শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যয়ের ভাষাশৈলি, উপমা আর উপস্থাপন দক্ষতার অসাধারণতার কথা।

কিন্তু শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যয় নিজে কি মনে করতেন নিজের সৃষ্টি সম্পর্কে? এর উত্তর মেলে তার “শ্রীকান্ত” উপন্যাসের প্রথম দিকের কিছু কথাতে যেখানে নিজেকে মূল্যায়ণ করতে গিয়ে তিনি লিখছেন, “ভগবান আমার মধ্যে কল্পনা-কবিত্বের বাষ্পটুকুও দেন নাই। এই দুটো পোড়া চোখ দিয়া আমি যা কিছু দেখি ঠিক তাহাই দেখি। গাছকে ঠিক গাছই দেখি—পাহাড়-পর্বতকে পাহাড়-পর্বতই দেখি। জলের দিকে চাহিয়া জলকে জল ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। আকাশে মেঘের পানে চোখ তুলিয়া রাখিয়া, ঘাড়ে ব্যথা করিয়া ফেলিয়াছি, কিন্তু যে মেঘ সেই মেঘ! কাহারো নিবিড় এলোকেশের রাশি চুলোয় যাক—একগাছি চুলের সন্ধানও কোনদিন তাহার মধ্যে খুঁজিয়া পাই নাই।

চাঁদের পানে চাহিয়া চাহিয়া চোখ ঠিকরাইয়া গিয়াছে; কিন্তু কাহারো মুখটুখ ত কখনো নজরে পড়ে নাই। এমন করিয়া ভগবান যাহাকে বিড়ম্বিত করিয়াছেন, তাহার দ্বারা কবিত্ব সৃষ্টি করা ত চলে না। চলে শুধু সত্য কথা সোজা করিয়া বলা। ”
হ্যা, সত্য কথা সোজা করে বলতে পারতেন বলেই তিনি আজ তিনি হয়েছেন। কিন্তু আমি এত কথা বলছি কেন?
বলছি কারণ আজ আমি আপনাদের সাথে শরৎচন্দ্রের রচনাসমগ্র শেয়ার করব।

মাত্র ৭ মেগাবাইটের বইটি এখনই ডাউনলোড করে নিন।
-------> ডাউনলোড লিঙ্ক
ভাল লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন।
এ জাতীয় আরো কিছু ডাউনলোডের জন্য ঘুরে আসুন এখান থেকে।

সোর্স: http://www.techtunes.com.bd

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।