আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১০২ উপজেলায় ভোট ১৯ ফেব্রুয়ারি !!

Not to be a leader.. But make a real leader.

প্রায় ৫০০ উপজেলা পরিষদের মধ্যে প্রথম ধাপে ১০২টিতে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ। তফসিল অনুযায়ী- মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৫ জানুয়ারি, যাচাই-বাছাই ২৭ জানুয়ারি, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী ধাপে ধাপে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুরু হতে যাচ্ছে। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। গতকাল সার্বিক বিষয়ে কয়েক দফা সভায় পর্যালোচনা করে বিকাল ৫টায় তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি।

তবে এর আগে কখনো এমন তড়িঘড়ি করে নির্বাচনের তফসিল হয়নি বলে জানিয়েছে কমিশনের কর্মকর্তারা। এমনকি উপজেলাগুলোর ভোটকেন্দ্র, ভোটার সংখ্যাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গণমাধ্যমের কাছে সরবরাহ করতে পারেনি কমিশন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের এ নির্বাচন হচ্ছে। তবে নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকবে কিনা তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সিইসি।

এ ছাড়া দেশের ৪৮৭টি উপজেলা পরিষদের মধ্যে বাকিগুলোর তফসিল পর্যায়ক্রমে হবে। তবে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন মার্চে হতে পারে। এদিকে ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষার মধ্যে ভোটের তারিখ দিলেও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছিল, মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় নির্বাচনের বিকল্প ছিল না। এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

তবে কিছু উপজেলায় নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। স্থানীয় সরকারের নির্বাচনগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রথম পর্যায়ে ১০২টি উপজেলায় নির্বাচন করা হচ্ছে বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, মার্চে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন করা হবে। এ ছাড়া পর্যায়ক্রমে অন্যান্য উপজেলায় নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নির্দলীয় হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা বজায় থাকে না প্রশ্নে সিইসি বলেন, যেসব দেশে গণতন্ত্র থাকে, যে কোনো নির্বাচনই রাজনৈতিক মাত্রায় চলে যায়।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিবন্ধিত দলের প্রতীকের মাধ্যমে হয় না। এ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বলে কিছুই থাকবে না। কিন্তু এসব নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের সমর্থক প্রার্থী হলে কিছুটা প্রভাব থেকে যায়। নির্বাচন-পরবর্তী সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ সংক্রান্ত প্রশ্নে সিইসি বলেন, নির্বাচনে গোলযোগ হয়। তবে হামলা ও মামলা বলে-কয়ে আসে না।

৫ জানুয়ারির নির্বাচন একটি পক্ষ থেকে প্রতিহত করা হয়েছে। এ জন্য সহিংসতা বেশি হয়েছে। তারপরও যতটা সহিংসতা হওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে কম হয়েছে। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হবে কিনা এখনো ঠিক হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই বাহিনীকে মাঠে নামানো হবে।

তিনি বলেন, আপনারা সবকিছু ঘোলাটে করে দেখেন। আমাদের কোনো তাড়াহুড়া নেই। সর্বশেষ ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে তৃতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়। এর আগে ১৯৮৫ সালে প্রথম ও ১৯৯০ সালে দ্বিতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
একদিনে না করে একাধিক দিনে পর্যায়ক্রমে করার বিষয়ে যৌক্তিকতা তুলে ধরে সিইসি বলেছিলেন, একসঙ্গে বিরাট সমস্যা হবে।

কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর বিরাট প্রভাব পড়বে। তাই সেভাবে ধাপে ধাপে করতে হবে। কতগুলো সংখ্যা বলা যাচ্ছে না। মেয়াদোত্তীর্ণের সঙ্গে সঙ্গে করার চেষ্টা হবে। ইসি জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে অন্তত ১১৫টি, মার্চে ২২৩টি, এপ্রিলে ৩৫টি, মে মাসে ৮৫টি ও জুনে ১৮টি উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ হচ্ছে।

বাকিগুলো জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে উত্তীর্ণ হবে। চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৪৮৭টি উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ২৯৪টি, আর ভোটকক্ষ রয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৭৬৩টি। ৯ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের মধ্যে এসব উপজেলায় প্রায় আট কোটি ভোটার থাকবে। ভোটের ফলাফল গেজেট প্রকাশের পর শপথ নেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
সীমানা নির্ধারণ হলেই ডিসিসি নির্বাচন : বিভক্ত ডিসিসি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সিইসি রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, আমরা আগেই পরিষ্কার করে বলেছিলাম, গত বছর ঈদ ও কোরবানির মাঝামাঝি ডিসিসির নির্বাচনটি করার কথা।

কিন্তু ঢাকা সিটি উত্তরে কিছুটা ও দক্ষিণে অনেকগুলো ওয়ার্ডে সীমানা জটিলতা থাকায় নির্বাচনটি করতে পারিনি। সমস্যার সমাধান হলেই দ্রুত এ নির্বাচন করা হবে।
তফসিল ঘোষিত ১০২টি উপজেলা হলো- খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়, সদর, মাটিরাঙ্গা, মহালছড়ি, মানিকছড়ি ও পানছড়ি উপজেলা। ঝিনাইদহ জেলার সদর, কালিগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও শৈলকুপা। মাগুরার সদর ও শ্রীপুর।

ভোলার লালমোহন। মানিকগঞ্জের শিবালয়, দৌলতপুর, সিংগাইর ও সাটুরিয়া। গাজীপুরের কাপাসিয়া। রাজবাড়ীর সদর, পাংশা, বালিয়াকান্দি। পঞ্চগড়ের সদর, বোদা, আটোয়ারী, দেবীগঞ্জ।

রংপুরের সদর, তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী, ভুরুঙ্গামারী, উলিপুর। গাইবান্ধার সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জ। বগুড়ার দুপচাচিয়া, ধুনট ও নন্দীগ্রাম, সারিয়াকান্দি, শেরপুর ও সোনাতলা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল।

নাটোরের সিংড়া। সিরাজগঞ্জের সদর, কাজীপুর, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া। মেহেরপুরের সদর। কুষ্টিয়া সদর, ভেড়ামারা। নড়াইলের কালিয়া।

জামালপুরের সদর, সরিষাবাড়ী। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ও মকসুদপুর। মাদারীপুরের কালকিনি। শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ, জজিরা, ডামুড্যা, গোসাইরহাট। নরসিংদীর পলাশ ও বেলাবো।

সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দোয়ারাবাজার, ছাতক। সিলেটের বিশ্বনাথ, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, গোয়াইনহাট, জৈয়ন্তাপুর। হবিগঞ্জের বাহুবল, মাধবপুর। চট্টগ্রামের হাটহাজারী, মিরসরাই। নওগাঁর রানীনগর, মহাদেবপুর।

সাতক্ষীরার আশাশুনি। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ, বাজিতপুর ও নিকলী। রাজশাহীর মোহনপুর। পাবনার সুজানগর, সাঁথিয়া ও আটঘরিয়া। খুলনার দিঘলিয়া ও কয়রা।

বরিশালের গৌরনদী, বাকেরগঞ্জ। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া। দিনাজপুরের কাহারোল, খানসামা। নীলফামারীর ডিমলা, সৈয়দপুর ও জলঢাকা। যশোরের অভয়নগর।

নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কেন্দুয়া। ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা।
মজা করে পড়তে চাইলে-


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।