আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জানা-অজানা কিছু মজার তথ্য –পার্ট-=১ [মানুষ+মানব দেহ+মস্তিস্ক+ঘুম+স্বপ্ন]

ব্যক্তিগত চাহিদার কাছে অপরাজিত সৈনিক। ।




রহস্যময় পৃথিবীতে জানার কোন শেষ নেই। যত দিন যাচ্ছে ততো বেরিয়ে আসছে পৃথিবীর অদ্ভুত অদ্ভুত তথ্য। ।

তবে বিজ্ঞনের অগ্রযাত্রায় মানুষের জ্ঞান গবেষণা মহাকাশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেও মানুষ, মানুষের মন, মস্তিস্ক সম্পর্কে অজানা রয়েছে অনেক কিছু। । এখানে মানুষ, মানব দেহ, মস্তিস্ক, ঘুম+স্বপ্ন নিয়ে আপনাদের জানা- অজানা তথ্য দেওয়া হলঃ

(ক)মানুষ সম্পর্কে কিছু মজার তথ্যঃ

১_ সাইকোলজিক্যাল ভাষ্য মতে , আমরা মানুষরা ‘স্মৃতি‘কে মূল্য দেই বেশি যতনা দেই মানুষটাকে যে অই স্মৃতির সাথে রিলেটেড। অনেক সময় দেখা যায়, আপনি স্মৃতি( ঘতে যাওয়া ঘটনা ) মিস করছেন, মানুষটাকে না!

২_পৃথিবীতে যত পিপড়া আছে, তাদের সবাইকে পাল্লায় নিয়ে মাপলে তাদের যে ওজন হবে, তা পৃথিবীতে একটা পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ওজনের সমান হবে।

৩_মূর্খ মানুষরা সারাজীবন বিশ্বাস করে তার মেধাবী/ব্রিলিয়ান্ট যখন কিনা সত্যিকার মেধাবীরা তাদের নিজেকে বুঝতে পারেনা এবং বোঝার চেষ্টা চালিয়ে যায়।



৪_ আমরা অনেকেই কানে খৈল হওয়াটাকে পছন্দ করি না!! এমনকি খোঁচাখুঁচি করে বের করে ফেলি!! কিন্তু জেনে রাখুন, কানের খৈল আপনার কানের ভেতরে সুক্ষ এবং স্পর্শকাতর পর্দাকে বাইরের পরিবেশ থেকে রক্ষা করে!! এমনকি এটি ব্যাকটেরিয়া,
ছত্রাক, ধুলাবালি,ছোট ছোট পোকামাকড় থেকেও আপনার কানকে বাঁচায়!!

৫_আপনি যদি খুব বেশি খেয়ে ফেলেন তবে আপনার শ্রবণশক্তি কমে যায়!!

৬_মানুষের চোখ যদি একটা ডিজিটাল ক্যামেরা হত তবে এর লেন্সের ক্ষমতা হত ৫৭৬ মেগা পিক্সেলস।

৭_এলারম ঘড়ি সাধারণত মানুষকে ঘুম থেকে উঠায় না বরং এর শব্দ শুনে মানুষ ঘুমের ভেতর চমে উঠে/আতকে উঠে যার ফলে ঘুম ভেঙ্গে যায়। এই ব্যপারটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

৮_যদি বাকিসব পারিপার্শ্বিক অবস্থা আপনার অনুকূলে থাকে তবে কোনোরকম খাবার গ্রহন না করে, শুধু পানি খেয়ে আপনি ১ মাস এমনকি ২ মাস পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারবেন!!

৯_ বছর বয়স থেকে প্রায় ৬০% পুরুষ এবং ৪০% নারীরাই নাক ডাকা শুরু করে!!

১০_ পৃথিবীর সমস্ত উপার্জনের ৯৬% উপার্জিত হয় ১% মানুষ দ্বারা। ।



১১_আপনি নিজেকে নিজে একা একা কখনোই কুতুকুতু দিয়ে হাসাতে পারবেন
না!! (চেষ্টা করে দেখুন না??)


(খ) মানব দেহ সম্পর্কে মজার কিছু তথ্যঃ

১_ একজন মানুষের রক্তের পরিমাণ তার মোট ওজনের ১৩ ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ ৬৫ কেজি ওজন মানুষের রক্তের পরিমাণ হল ৫ কেজি।

২_ দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ ২৫০০ কোটি এবং এরা ৪ মাস বাঁচে।

৩_ রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ১২ ঘন্টা বাঁচে।

৪_দেহের সব শিরাকে পাশাপাশি সাজালে দেড় একর জমির প্রয়োজন হবে।



৫_ একজন মানুষের স্নায়ুতন্ত্র এত লম্বা যে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৭ বার পেঁচানো যাবে।

৬_ কোন অনুভূতি স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয়।

৭_ দেহে ও মনে অনুভূতি আসলে তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে ০.১ সেকেন্ড সময় লাগে।

৮_ একজন শিশুর জন্মের সময় হাড় থাকে ৩৫০ টি।

৯_ একজন মানুষ সারা জীবনে ৪০ হাজার লিটার মূত্র ত্যাগ করে।



১০_ একজন মানুষের শরীরে চামড়ার পরিমাণ হচ্ছে ২০ বর্গফুট।

১১_ একজন মানুষের চামড়ার ওপর রয়েছে ১ কোটি লোমকূপ।

১২_ মানুষের শরীরে যে পরিমাণ চর্বি আছে তা দিয়ে ৭ টি বড় জাতের কেক তৈরি সম্ভব।

১৩_ মানুষের শরীরে ৬৫০ টি পেশী আছে। কোন কোন কাজে ২০০ টি পেশী সক্রিয় হয়।

মুখমন্ডলে ৩০ টির বেশী পেশী আছে। হাসতে গেলে ১৫ টির বেশী পেশী সক্রিয় হয়।

১৪_ একস্থান থেকে শুরু করে সমগ্র শরীর ঘুরে ঐ স্থানে ফিরে আসতে একটি রক্ত কণিকা ১,০০,০০০ কিমি পথ অতিক্রম করে অর্থাৎ ২.৫ বার পৃথিবী অতিক্রম করতে পারে।

১৫_ আমাদের মস্তিষ্ক প্রায় ১০,০০০ টি বিভিন্ন গন্ধ চিনতে ও মনে রাখতে পারে।

(গ) মানুষের মস্তিষ্ক নিয়ে মজার কিছু তথ্যঃ

১_ মানুষের মস্তিকের প্রতি সেকেন্ডে ১০১৫ টি হিসাব করার ক্ষমতা আছে।



২_ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৭০০০০ বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে সক্ষম |

৩_ মস্তিষ্কে একশবিলিয়ন নিউরন রয়েছে। মানুষের নিউরনে তথ্য চলাচলের সর্বনিম্ন গতিবেগ হলো প্রায় ২৫৮.৪৯০ মাইল/ঘণ্টা।

৪_ মানব মস্তিষ্ক তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে ন্যূনতম ০.৫ মিটার সেকেন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি ১২০ মিটার সেকেন্ড পর্যন্ত।

৫_ একশ মাইল লম্বা শিরা রয়েছে মানব মস্তিষ্কে।

৬_ হাতির মস্তিষ্ক মানুষের মস্তিষ্কের অপেক্ষা বৃহৎ হলেও হাতির মস্তিষ্ক তার দেহের ০.২৫ ভাগ যেখানে মানুষের মস্তিষ্ক তার দেহের ওজনের দুই ভাগ।

এতে বোঝা যাচ্ছে
মানুষের মস্তিষ্কই সবচেয়ে বড়।

৭_ একজন মানুষের ব্রেইন অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রানীর চেয়ে প্রায় ৩ গুন বড়।

৮_ ব্রেইন মানুষের দেহের মোট আয়তনের মাত্র ২% হলেও দেহে উৎপন্য মোট শক্তির ২০ ভাগেরও বেশী খরচ করে সে একাই।

৯_ দেহের মোট অক্সিজেনের প্রায় ২০ ভাগ মস্তিষ্ক ব্যবহার করে থাকে।

১০_ অক্সিজেনের মতো প্রায় ২০ ভাগ রক্তই মস্তিষ্ক আদান-প্রদান করে।



১১_ মস্তিষ্কের ওজনের প্রায় দ্বিগুণ ওজন হচ্ছে মস্তিষ্কের আবরণ বা চামড়ার।

১২_ মানব মস্তিস্কের প্রায় ৭৫ ভাগই পানি ।

১৩_ বাচ্চা অবস্থায় একটি মানুষের মস্তিস্কের ওজন থাকে ৩৫০-৪০০ গ্রাম। প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় যা বেড়ে হয় ১৩০০-১৪০০ গ্রাম!

১৪_ জন্মের সময় থেকে মানব মস্তিষ্কপূর্ণাঙ্গ মানুষের মস্তিষ্কের আকৃতি নিয়ে আসে এবং মস্তিষ্কেরপ্রায় পূর্ণাঙ্গ কোষ নিয়েই আসে।

১৫_ মস্তিষ্ক ১৮ বছর বয়সের পর বৃদ্ধি হয় না।



১৬_ জাগ্রত থাকা অবস্থায় মস্তিস্ক প্রায় ২৫ ওয়াট পাওয়ার সৃষ্টি করে,যা একটি লাইট বাল্ব জালানোর জন্য যথেষ্ট

১৭_যখন আপনি জ্বরে আক্রান্ত হবেন তখন মনে রাখবেন মানুষের মস্তিষ্কের সর্বোচ্চ তাপ সহনীয় ক্ষমতা ১১৫.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট এবং ততক্ষণ পর্যন্ত মানুষ বাঁচতে পারে।

১৮_যখন মানুষকে অত্যধিক চাপ সহ্য করতে হয় তখন মস্তিষ্কের কোষ, গঠন বা আকার এবং কাজ বাধাগ্রস্ত হয়।

১৯_অক্সিটোক্সিন নামক হরমোন মস্তিষ্ক থেকে ক্ষরিত হয় এবং ভালোবাসা এবং আত্মসংবরণের জন্য দায়ী।

২০_ যদি মস্তিষ্ক ৮ থেকে ২০ সেকেন্ড রক্ত না পায় তবে মানুষ জ্ঞান হারায়।

২১_ মস্তিষ্কে ব্যথা সংগ্রাহক কোনো অঙ্গ নেই তাই মস্তিষ্ক কখনো ব্যথা অনুভবকরে না।

|

২২_ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্ক অক্সিজেন ছাড়া মাত্র ৫ মিনিট টিকতে পারবে | ৫ থেকে ১০ মিনিট অক্সিজেন না থাকলে মস্তিষ্কের স্থায়ী সমস্যা দেখাদেয়।

২৩_ মৃত্যুর ৫ মিনিটের মধ্যেই মস্তিষ্কের কোষগুলির মৃত্যু ঘটে।



(ঘ) ঘুম এবং স্বপ্ন নিয়ে মজার তথ্যঃ

১_যারা স্বপ্ন মনে রাখতে পারেন না তাদের ধারণা তারা স্বপ্ন দেখে না। আসলে
প্রত্যেকে স্বপ্ন দেখে।

২_ঘুম ভেঙ্গে যাবার ৫ মিনিট পর স্বপ্নের অর্ধেক স্মৃতি লোপ পায়।

দশ মিনিট
পর স্বপ্নের ৯০ ভাগ লোপ পায়। স্বপ্ন লিখে রাখুন যদি আপনি মনে রাখতে চান।

৩_কিছু লোক (প্রায় ১২ ভাগ) সাদা কালো স্বপ্ন দেখে যখন অন্যরা (বাকি ৮৮ ভাগ)
রঙিন স্বপ্ন দেখে।

৪_স্বপ্ন হচ্ছে দৃশ্যমান কোনো বস্তু অপেক্ষা বেশি কিছু এবং অন্ধ লোকও
স্বপ্ন দেখে। অন্ধ লোকটি স্বপ্নে ছবি দেখতে পারে কি না তা নির্ভর করে তারা
জন্মকালীন অন্ধ বা জন্মের পর দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে কি না তার ওপর।



৫_স্বপ্ন চলতে থাকার সময় যদি আপনি জেগে যান তবে আপনি সারা রাত ঘুমালে
স্বপ্ন যেটুকু মনে রাখতে পারতেন তা অপেক্ষা বেশি মনে রাখতে পারবেন।

৬_আমরা সাধারনত প্রায় ৯০ থেকে ১৮০ মিনিট স্বপ্ন দেখি যেখানে, গড়ে একটি স্বপ্নের স্থায়িত্ব হয় ১০ থেকে ১৫ মিনিট। সবচেয়ে লম্বা সময় স্বপ্ন দেখি সকালে যার স্থায়িত্ব ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট।
৭_আমাদের মষিÍষ্ক কোন চেহারা তৈরী করতে পারে না। আমরা স্বপ্নে যে সব চেহারা দেখি তার সবগুলোই আমরা আমাদের জীবনে কখনও না কখনও দেখেছি।

আমাদের জীবনে আমরা পথে ঘাটে অসংথ্য চেহারা দেখি যা মনে রাখতে পারি না। কিন্তু আমাদের সাবকনসাস মাইন্ড তা ধরে রাখে এবং স্বপ্নে তা দেখায়।
৮_কেউ যখন ঘুম এর মধ্যে নাক ডাকে এর অর্থ হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে না!!
৯_জাপানের গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন এমন এক যন্ত্র যা মনের চিন্তাভাবনার
চিত্র দেখতে এমনকি স্বপ্নকে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে দেখাতে সক্ষম।
১০_একজন নরমাল মানুষ এক বছরে ১৪৬০টিরও বেশি স্বপ্ন দেখেন!!
১১_মানুষ তার জীবনের প্রায় ৬ বছর স্বপ্ন দেখে কাটায়।

তথ্য সূত্রেঃ বিজ্ঞান সাময়িকী, কারেন্ট অ্যাফেয়াস, অন-লাইন নিউজ.



সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।