আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১ কাপ চায়ের দামে ৩ কেজি আলু!

সংঘাতময় রাজনীতি শান্ত হয়ে এলেও অশান্ত হয়ে উঠেছে আলু চাষীদের মন। রেকর্ড পরিমাণ আলু চাষ হয়েছে এবার। কিন্তু বাজারে দাম না থাকায় আলু চাষীদের চোখে-মুখে ফুটে উঠেছে করুণ আর্তনাদ। উৎপাদিত ১৮ কেজি আলু বিক্রি করে ১ কেজি মোটা চাল কিনতে হয়। ১ কাপ চায়ের দামে বিক্রি হচ্ছে ৩ কেজি আলু।

বীরগঞ্জের প্রাণনগর গ্রামের আলু চাষী মো. আব্দুর রশিদ জানান, অনেক স্বপ্ন নিয়ে সমিতি এবং এনজিও হতে ঋণ গ্রহণ করে ১ একর জমি ৮ হাজার টাকার চুক্তিতে আলু চাষ করেছিলেন তিনি। ১ একর জমিতে সার, বীজ, কীটনাশক ও কৃষি শ্রমিকের মজুরীসহ খরচ হয়েছে ৫৫ হাজার ২শত টাকা। জমি চুক্তি ও কৃষি উপকরণ এবং শ্রমিকের মজুরীসহ সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ৬৩ হাজার ২শত টাকা। ১ একর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে ৮ হাজার কেজি। ১ টাকা ৮০ পয়সা কেজি দরে ৮ হাজার কেজি আলু বিক্রি করেছে ১৪ হাজার ৪ শত টাকায়।

জমির মালিককে ৮ হাজার টাকা পরিশোধ করে অবশিষ্ট আছে মাত্র ৬ হাজার ৪শত টাকা। এমন কাহিনী উপজেলার অনেক কৃষকের।

বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এবার রেকর্ড পরিমাণ আলু চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ছাড়িয়ে গেছে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা। দেশের সাম্প্রতিককালে রাজনৈতিক সহিংস পরিস্থিতির কারণে ঝুঁকিতে পড়ে ব্যবসায়ীরা সর্তকতার সঙ্গে ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করছেন।

এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আলু চাষীরা। কিন্তু কৃষককেরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে সরকার এবং কৃষিবিভাগ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৬ হাজার ৬ শত ২০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লক্ষ্ ৩০ হাজার ১ শত ৪৫ মেট্রিক টন।

আলুর মোট আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ১ শত ২০ হেক্টর জমিতে। এবার ফলন ভালো হওয়ায় ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩ শত ৫২ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষিবিভাগ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।