আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মান বাঁচানোর টেস্টেও টাইগারদের ইনিংস হার

শেষ পর্যন্ত মান বাঁচানোর লড়াইয়ে হার মানতে হলো টাইগারদের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা চারদিনের টেস্টম্যাচে একদিন জয় মুখ দেখতে সক্ষম হলো না সাকিব-তামিমরা। ফলে সামর্থ্য দিয়ে ‘তিন মোড়ল’কে প্রত্যুত্তর দেয়াও হলো না।

আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টেস্টের চতুর্থ দিনে- ইনিংস ও ২৪৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

মিরপুর টেস্টে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে জমায় ২৩২ রান। এর জবাবে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে ছয় উইকেটে ৭৩০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। ফলে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ বাহিনী প্রথম ইনিংসেই ৪৯৮ রানের লিড পায়। কিন্তু নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও ভাগ্য ফেরাতে পারেনি স্বাগতিক বাংলাদেশ। বরং ক্রিকেটপ্রেমীদের লজ্জায় ডুবিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও অলআউট হয় মাত্র ২৫০ রানেই।

যার ফলে ২৪৮ রানের বড় হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। আর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে।

আইসিসির সংস্কার সংক্রান্ত খসড়া প্রস্তাবনায় ক্রিকেটীয় বাণিজ্যের খাতিরে খেলাটির তিন ‘সুপার পাওয়ার’ বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের টেস্ট সদস্যপদ হুমকির মুখে ফেলার পরিকল্পনা আঁটছে। এই অবস্থায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজটি স্বাগতিকদের জন্য ছিল ‘অ্যাসিড টেস্ট’। যেখানে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়ার একটা বিষয় ছিল।

কিন্তু সেই বাঁচা-মরার ম্যাচেই ভরাডুবি ঘটলো টাইগারদের।

বুধবার টেস্টের তৃতীয় দিনেই হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। যখন শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে ৭৩০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। আর ওই দিনই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার টেস্টের চতুর্থ দিনেও সেই ধারাটা বজায় থাকে।

নতুন দিনের দ্বিতীয় বলেই আউট হন বাংলাদেশি ওপেনার শামসুর রহমান। প্রতিশ্রুতির ছোঁয়া দেখানো মার্শাল আইয়ুবও ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। পরে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সাকিব আল হাসান কিংবা মুশফিকুর রহিমরাও।

নাসির হোসেন লোয়ার অর্ডারকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন, যদিও সফল হননি মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। তিনি সোহাগ গাজীর সঙ্গে ৩৩ ও রবিউল ইসলামের সঙ্গে ১৪ রান স্কোরবোর্ডে জমান।

শেষে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন রংপুরের এই ব্যাটসম্যান। টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেছেন মুমিনুল হক। ৯৮ মিনিট ক্রিজে থেকে ৫৭ বল মোকাবেলায় এই রান করেন তিনি।

শ্রীলঙ্কান পেসার দিলরুয়ান পেরেরা পাঁচটি উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামান। ১৯.৫ ওভারে ১০৯ রান দিয়ে পাঁচটি শিকার করেন তিনি।

৩৯ রানে তিনটি উইকেট পেয়েছেন দলটির আরেক পেসার সুরাঙ্গা লাকমল। ২০৩ রান করে অপরাজিত থাকা লঙ্কান ব্যাটসম্যান মাহেলা জয়বর্ধনে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।