আহমাদ ইউসুফ
“ইভটিজিং একটা চলমান ইস্যু। সমাজের প্রতিটি ব্যক্তিই ইভটিজিং নিয়ে কম বেশী চিন্তিত। সবাই চান সমাজের বিষফোড়া এ ইভটিজিং বন্ধ হোক। এ বিষয়ে পেপার পত্রিকায়, ব্লগে ও টিভি চ্যানেল গুলোতেও কম আলোচনা হচ্ছে না। তারপর ইভটিজিং কমেছে বলে মনে হয় না।
বরং ইভটিজিং পেয়েছে আরো ভিন্ন মাত্রা। যাই হোক ইভটিজিং একটি সামাজিক সমস্যা। এর জন্য শুধু একজন ইভ টিজার কে দায়ী করলে চলবে না। আর মেয়েদের সংযত হলেই যে ইভটিজিং বন্ধ হবে তাও নিশ্চিত করে বলা যায়না। মূলত আমাদের মন মানসিকতা নষ্ট হয়ে গেছে।
আকাশ সংস্কৃতির প্রভাবে আমরা অতিমাত্রায় বৈশ্বিক ও আধুনিক হয়ে উঠছি। যার ফলে আমাদের নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ আংশকাজনক হারে কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে আমাদের সামাজিক আচার আচারনে। অর্থাৎ আমাদের নষ্ট সমাজের চুড়ান্ত ও প্রকাশ্য প্রমান আজকের অধূনা আবিষ্কৃত ইভটিজিং। ইভটিজিং রোধে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
পারিবারিক পরিমন্ডলে শিশুকে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তবেই ইভটিজিং নির্মূল করা সম্ভব বলে আমি মনে করি।
আহমাদ ইউসুফ
ঢাকা, ২০ মে ২০১২ ইং
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।