আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংসদে কেউ ঘুমে, কেউ গল্পে, কারো চোখ পত্রিকায়

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে সংবাদপত্র পড়তে দেখা গেছে। এছাড়া নিজের আসন ছেড়ে অন্য কারো পাশে গিয়ে গল্পে মশগুল দেখা গেছে অনেককে।

বিকাল ৪টা ৩৮ মিনিটে অধিবেশন শুরুর ঠিক দুই মিনিট পরেই ঘুম ঢলে পড়েন সাহারা। তাকে কিছু সময়ের জন্য সঙ্গ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এবং সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।

অধিবেশন কক্ষের কর্মচারীরা কাগজপত্র সরবরাহের সময় কিছুটা হকচকিয়ে উঠলেও আবারো ঘুমিয়ে পড়েন ঢাকার সংসদ সদস্য সাহারা।

কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বেসরকারি দিবস। দিনের কার্যসূচির শুরুতেই ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব।

সংসদে এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, এইচ এম এরশাদ, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন বাবলুসহ জাতীয় পার্টির বেশিরভাগ সংসদ সদস্য।

বিএনপিবিহীন সংসদে বিরোধী দলের আসনে সামনের সারিতে ছিলেন শুধু দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ।

অর্থমন্ত্রী মুহিতকে সময় কাটিয়েছেন খবরের কাগজ পড়ে।

কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী সংসদ চলার সময় পত্রিকা পড়া নিষেধ।

নিজের আসন ছেড়ে অন্যের আসনে উঠে গল্পে মশগুল হওয়ার পাশাপাশি কিছুক্ষণ বসে থেকে অনেককে অধিবেশন থেকে উঠে চলে যেতে দেখা যায়।

নিজের প্রশ্নটি উত্থাপন করেই স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজি সেলিম চলে যান লবিতে। গায়িকা মমতাজ বেগমকেও দেখা যায় সংসদ কক্ষ ছেড়ে যেতে।  

সিলেট থেকে নির্বাচিত সাংসদ ইমরান আহমেদকে তার আসন ছেড়ে গল্প করতে দেখা যায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে।

প্রবসী কল্যাণমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় মোবাইল ফোন নিয়ে। সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের হাবিবে মিল্লাতকে ব্যস্ত দেখা যায় আইপ্যাড/ট্যাব নিয়ে।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ব্যস্ত ছিলেন নিজেদের মধ্যে কথা বলতে। এর এক ফাঁকে ইনুকে মুঠোফোনে কথা বলতেও দেখা গেছে।

‘লোকাল পত্রিকা’ আগে পড়েন মতিয়া

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী দিন শুরু করেন ‘লোকাল পত্রিকা’ পড়ে।

জাতীয় সংসদে তিনি স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি সেলিমের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এ কথা বলেন।

হাজী সেলিম প্রশ্ন করেন, একধরনের অসৎ ব্যবসায়ী ভেজাল বীজ আমদানি করে, কৃষকরা প্রতারিত হতেই থাকে। অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না।

তার দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল- অনেক ব্যবসায়ীর সারের চালান বিভিন্ন ঘাটে আটকে থাকে। তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কোনো উদ্যোগ সরকার নেবে কি না।

উত্তরে মতিয়া চৌধুরী শুরুতেই বলেন, তিনি ‘ন্যাশনাল ডেইলি’ পড়ার আগে লোকাল পত্রিকা পড়েন। কারণ আঞ্চলিক পত্রিকায় এসব খবর বেরোয়।

মতিয়া জানান, তিনি তার মন্ত্রণালয়ের লোকদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রথমে আঞ্চলিক পত্রিকা ও জাতীয় পত্রিকার কৃষি সংক্রান্ত খবরের ক্লিপিং ও পরে জাতীয় খবরের ক্লিপিং দিতে।

মতিয়া বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে টমেটো বীজে ভেজালের খবর বেরোনোর পর তার মন্ত্রণালয় সিনজেন্টার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.