আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কাল আইসিসির সভা দুশ্চিন্তামুক্ত বাংলাদেশ

দুবাইয়ে আইসিসির দুদিনের সভা শেষে নির্ভরচিত্তে ঢাকায় পা রেখেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। ফিরেই জাতিকে আশ্বস্ত করেছিলেন, যে ঘোর অন্ধকারে চাপা পড়তে যাচ্ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট, সেই অমানিশার মেঘ কেটে গেছে এদেশের ক্রিকেট আকাশ থেকে। দুই-স্তরবিশিষ্ট ক্রিকেটের প্রস্তাব নিয়ে যে শঙ্কা ছিল টাইগারদের, দুবাইয়ে সেটা পাস হয়নি বাংলাদেশসহ পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার জোরালো অবস্থানে। তবে নয়টি বিষয়ে প্রাথমিক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল সে সময়। সেগুলো চূড়ান্ত করতেই আগামীকাল সিঙ্গাপুরে বসছে আইসিসির আরেকটি সভা।

অবশ্য পরিবর্তিত প্রস্তাবগুলো বাংলাদেশের জন্য ক্ষতির কারণ হবে না; সেই স্বস্তি নিয়েই কাল সন্ধ্যায় সভায় যোগ দিতে ঢাকা ছেড়েছেন বিসিবি সভাপতি ও বিসিবির ভারপ্রাপ্ত সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে ঢেলে সাজাতে 'থ্রি বিগ' ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তাবে টালমাটাল হয়ে পড়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। 'থ্রি বিগ'র প্রস্তাব পাস হলে সবচেয়ে বিপদে পড়তো বাংলাদেশ। সবচেয়ে নতুন টেস্ট খেলুড়ে দেশটিকে খেলতে হতো ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। এমন প্রস্তাবের বিপক্ষে ফুঁসে উঠে গোটা দেশ।

আন্দোলনে আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ফলে ২৮ ও ২৯ জানুয়ারির আইসিসির সভায় দ্বি-স্তরবিশিষ্ট ক্রিকেটের বিপক্ষে জোর অবস্থান নেন বিসিবি সভাপতি। সভায় পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কাকে পাশে পায় বাংলাদেশ। অবশ্য দ্বি-স্তরবিশিষ্ট ক্রিকেট নিয়ে কোনো মাথাব্যথা ছিল না দেশ তিনটির। তাদের অবস্থান ছিল 'থ্রি বিগ'র আধিপত্যের বিপক্ষে।

দ্বি-স্তরবিশিষ্ট ক্রিকেট প্রস্তাব বাতিল হওয়ায় স্বস্তিতে থাকা বাংলাদেশ সমর্থন দিতে যাচ্ছে 'থ্রি বিগ'কে। সমর্থনে লাভবানই হবে বাংলাদেশ। আগের এফটিপিতে যেখানে ২০২০ সাল পর্যন্ত ভারত, অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের মাটিতে কোনো সিরিজ খেলার সুযোগ ছিল না বাংলাদেশের। আগামী ছয় বছরে ৪০টি টেস্ট খেলার কথা ছিল টাইগারদের। সেখানে 'থ্রি বিগ'র পাশে দাঁড়ালে এই সংখ্যাটা ৬০'র উপরে যাবে বলেই আশা বিসিবির।

যদিও বিসিবির ভারপ্রাপ্ত সিইও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। অবশ্য সিঙ্গাপুরে এমপিএ চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে। তখন দেশগুলো সিরিজ খেলবে বাইলেটারাল। বাইলেটারাল সিরিজ খেলার জন্য ইতোমধ্যেই ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিসিবিকে। এছাড়া আগামী বছর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলারও প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।

'থ্রি বিগ'র প্রস্তাব সমর্থন করলে যেমন টেস্ট খেলার সুযোগ বেশি পাবে বাংলাদেশ, তেমনি লাভবান হবে আর্থিকভাবেও। আগে যেখানে আইসিসি থেকে প্রাপ্তি ছিল প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার। এখান সেটা দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ৬৮ মিলিয়ন ডলারে।

দ্বি-স্তরবিশিষ্ট টেস্ট খেলার প্রস্তাব বাতিল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু নতুন প্রস্তাবে র্যাঙ্কিংয়ের দশম দেশকে খেলতে হবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে। এই চ্যালেঞ্জ সিরিজে টেস্ট দলটি যদি জিতে যায়, তাহলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপজয়ী দলটিকে ফিরে যেতে হবে আগের অবস্থানে।

যদি আইসিসি সহযোগী দেশটি জিতে যায়, তাহলে চার বছরের জন্য দেশটি সুযোগ পাবে টেস্ট খেলার। তাই বলে অবনমন হবে না টেস্ট খেলুড়ে দেশের। তারা আগের মতোই টেস্ট খেলবে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে। শাস্তিস্বরূপ টেস্ট রেভিনিউ পাঁচ শতাংশ কম পাবে।

 

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।