আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বুক রিভিউ: ফিফটি শেডস অফ গ্রে

People Don’t Change, They Just Evolve

লেখার শুরুতেই সবাইকে সাভধান করে দিতে চাই যে বইটি একটি কন্ট্রোভার্সিয়াল বই। নিজ দায়িত্বে পড়বেন।

ফিফটি শেডস অফ গ্রে বইটি তিন বই সিরিজের মধ্যে প্রথম। দ্বিতীয়টি হলো ফিফটি শেডস ডার্কার আর তিন নম্বরটি ফিফটি শেডস ফ্রীড। ফিফটি শেডস অফ গ্রে বইটি সারা বিশ্বে বেষ্ট সেলার ইনক্লুডিং ইউ.এস এন্ড ইউ.কে।

সিরিজটির ৯০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে। বইটি বিশ্বের ৫২ টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং set the record as the fastest-selling paperback of all time (উইকি)। এখানে আমি ফিফটি শেডস অফ গ্রে নিয়ে কথা বলবো।

Anastasia Steele (অ্যানা), একজন নতুন কলেজ গ্রাজুয়েট এবং মি: ক্রিস্টিয়ান গ্রে (Christian Grey), একজন সাকসেসফুল বিজনেস ম্যাগনেটকে নিয়ে এই বইয়ের মূল কাহিনী। Katharine(কেট) হলো অ্যানা এর রুমমেট এবং কলেজের ম্যাগাজিনের একজন লেখক।

ম্যাগাজিনের একটি আর্টিকেলের জন্য মি: গ্রের সাথে কেটের ইন্টারভিউ ছিল কিন্তু সে অসুস্থ থাকায় অ্যানা কে ইন্টারভিইউ টা শেষ করার জন্য। এবং এতেই বাধে বিপত্তি। অ্যানা গিয়ে মি: গ্রের প্রেমে পড়ে যায়। এরপর থেকে মি: গ্রে অ্যানার আশেপাশে উদয় হতে থাকে এবং অ্যানাকে ব্রেকফাস্ট এর আমন্ত্রণ জানায়। অ্যানাও সাড়া দেয়, কিছু কথা হয়।

মি: গ্রে অ্যানাকে পুরো আচ্ছন্ন করে ফেলে।

এরমধ্যে অ্যানার ফাইনাল হয়, সে, কেট আর তার আর এক বন্ধু জস(সে অ্যানাকে পছন্দ করে, মানে সাইডনায়ক আরকি!) মিলে বারে যায়, ড্রাংক হয়। ড্রাংক জস সাহস করে অ্যানাকে কিস করতে যায়, বলে,
“You know I like you Ana, please.”
কিন্তু অ্যানা বলে
“José, no,” I plead. I don’t want this. You are my friend'' (অনেকেই এই সাইডনায়ক পরিস্থিতিতে পড়ে!!!)
এরপরই ভোজবাজির মতো উদয় হয় মি গ্রে!
সে অ্যানাকে তার ফ্লাটে নিয়ে যায়।
সকালে অ্যানা দেখে তার কাপড় নাই!!!
কিন্তু মি: গ্রে হলো খাটি জেন্টলম্যান কোনো সুযোগ নেয় নি।

এর মধ্যে সাইকোলোজিকাল কেমিস্ট্রি চলে অ্যানার মধ্যে।

বিশদ আলাপের পর মি গ্রে অ্যানাকে বলে সাবমিসিভ হতে। এর মানে হলো সেক্সের সময় মি গ্রে যা বলবে অ্যানাকে তাই শুনতে হবে। না শুনলে শাস্তি! কিন্তু তার আগে এটা নিয়ে একটা বিশাল কন্ট্রাক্ট সাইন করতে হবে। কন্ট্রাক্টের টার্মগুলো পড়ে আমার মাথা ঘুরে গিয়েছিল, মি: গ্রে কে মনে হচ্ছিল একজন স্যাডিস্ট। তবে মজার ব্যাপার হলো এখানে অ্যানার ভালো মন্দের ব্যাপারটা প্রমিনেন্ট ছিল।

আর অ্যানা কোনোকিছুতে এগ্রি না করলে মি: গ্রে জোর করতে পারবে না।

কিন্তু অ্যানা এগিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর অনেক জল গড়ায়, অ্যানা মি: গ্রের চার্লি-ট্যাংগো (হেলিকপ্টার) করে তার বাসায় যায়, আউডি গাড়ি পায়, স্পেশাল ম্যাক পায়, ব্লাকবেরী পায়। তবে অ্যানা বলে যে এগুলো সে পরে ফেরত দিয়ে দিবে। এরপর কি হয় তা আর নাই বললাম, কিন্তু মজার ব্যাপার হলো বইটার এক চতুর্থাংশ এই আকাম দিয়ে ভর্তি।

পড়লে ইমিডিয়েটলি লোম খাড়া হয়ে যাবে!!!
আর একটা নোটেবল বিষয় হলো কন্ট্রাক্ট সাইন করা ছাড়াই অ্যানা আর মি: গ্রে এগুলো করে।

বইটার প্রথম দিকে অ্যানার বাচ্চাসুলভ পিরিতের ইমোশনগুলো সবাইকে নাড়া দিবে। এরপর দেখা যাবে তারা কিভাবে মি: গ্রে অ্যানার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। সে তাকে ভালোবেসে ফেলে এবং অনেক পেইন পেতে শুরু করে।

বইটিতে মি: গ্রে একটি মিস্টিরিয়াস ক্যারেক্টার।

সে ছোটবেলায় অ্যডোপ্টেড হয়েছিল। ১৪ বছর বয়সে সে মিসেস রবিনসনের দ্বারা সিডিউসড হয়েছিল এবং সেটা বেশ অনেকদিন ধরেই চলছিল। এরপর সে ৩৫-৩৭ বছরের মধ্যে বিসনেসে সাকসেসফুল হয়। তার সেক্সুয়াল চিন্তাভাবনা গুলো অন্যরকম। সে কাউকে নিজেকে টাচ করতে দেয় না।

অ্যানা বারবার আসক করলে কে বলে কারন শুনলে তুমি দৌড়ে জংগলে পালাবা!

আরো একটা ব্যাপার লক্ষনীয় যে, মি: গ্রে'র মত একজন লোক অ্যানার মত মেয়ের পেছনে লাগল কেন? সে অ্যানার ফোন ট্রাক করতো। জসকে হিংসা করত। আর সে কেনই বা অ্যানার প্রেমে হাবুডুবু খাবে?

বইটির শেষে অ্যানা মি গ্রের কাছ থেকে আরো বেশি ভালোবাসা চায়, অধিকার চায়,
“I can’t stay. I know what I want and you can’t give it to me, and I can’t give you what you need.”

কিন্তু মি: গ্রে দিতে চায় নি। আপাতভাবে মনে হচ্ছে তার কিছু লিমিটেশন আছে যেটি এই সংখ্যায় আসেনি। ফলে অ্যানা চলে যায় মি: গ্রের বাসা থেকে।

আর মি: গ্রে প্রেমের আরেকটি ক্যাজ্যুয়ালটি হয়ে যায়। অ্যানার কথায়,
“Ana, good-bye,” he says softly, and he looks utterly, utterly broken, a man in agonizing pain, reflecting how I feel inside. I tear my gaze away from him before I change my mind and try to comfort him.



তবে সবাইকে আমি সাবধান করে দিতে চাই যে, পচিশ বছর বয়সের নিচে কারো বইটি কারো পড়া স্ট্রিক্টলি উচিত না। এমনকি আমার মনে হচ্ছে যে আমার বইটি পড়া উচিত হয়নি। এটি আমার কিছু চিন্তাভাবনাকে পারমানেন্টলি চেন্জ করে দিয়েছে।

ধন্যবাদ সবাইকে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।