আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আরো কিছুটা সময় না হয় নিজের জন্য ব্যয় হলো



এ বছরের মতন বরফ অনেকদিন উত্তর আমেরিকা বাসি দেখে নাই। বরফ সাফ করে শেষ করতে পারছে না। লবণ ঢেলেও জমাট বরফ ভাঙ্গা যাচ্ছে না। পিছলে চলে যাচ্ছে গাড়ি রাস্তায়। ট্রাম,বাস, সাবওয়ে চলাচল বন্ধ শহরের নিয়মিত সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক সময়।

কাজকাম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় প্রায় বন্ধ, যারা চলছে যানচলাচল বন্ধ। ফ্রিজিং কোল্ড, স্লিপারি, উইণ্ডি , স্ট্রম এণ্ড আইস স্ট্রম সবকিছুই চলছে একটার পর একটা।
তবু জীবনযাপন এই অভাবনীয় শীতের মাঝেও চলছে। ঘরে দরজা জানলা সারাক্ষণ বন্ধ, হিটার চলছে।

রান্না বান্না থেকে সব কাজ চলছে বন্ধ ঘরে। অনেক পুরানো বাড়িতে বাতাস প্রবাহিত করার সিস্টেম নাই। বন্ধ ঘরে কার্বন মনোক্সাইডের বিষ প্রতিক্রিয়ার প্রভাবে অনেক মানুষ মরা যায় প্রতি বছর। বর্তমানে কার্বন মনোক্সাইড ডিডাক্টেবল ডিভাস বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোন রকম গ্যাসের প্রভাব ঘরে বাড়তে থাকলে কার্বন মনোক্সাইড ডিভাস শব্দ করে জানান দিবে।

। তখন সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। ফায়ার ডিভাইসও বাধ্যতামূলক ভাবে সব বাড়িতে থাকতে হয়। অনেকের বাড়ির সাথে গাড়ি পার্কিং নাই। রাস্তায় গাড়ি পার্ক করতে হয় বা বাড়ির খোলা পার্কিয়ে পার্ক করা হয় গাড়ি।

অনেক সময় ঠাণ্ডায় গাড়ি পরে থাকার পরে গাড়ি জমে আইস হয়ে থাকে দরজা পর্যন্ত খোলা যায়না। চালানোর আগে যেমন আলগা বরফ ঝেড়ে পরিস্কার করে নিতে হয়, হিট চালিয়ে কাঁচের জমাট বরফ গলাতে হয় তারপর রাস্তায় বেরুনো। সব কিছুতেই অনেকটা বেশী সময় দিতে হয়। কাপড় জুতা, দস্তানা টুপি, ভালো করে পরা থেকে নানান বিষয়ে যেমন খেয়াল করতে হয়। তেমনি গাড়ির নীচের পাইপ পরিস্কার আছে কিনা সেটাও খুব খেয়াল করা প্রয়োজন।


অনেক সময় বরফ জমে মাফলারের মুখ আটকে থাকলে গাড়ি র্স্টাট করার সাথে সাথে যে গ্যাসটা মাফলার দিয়ে বেড়িয়ে যাওয়ার কথা তা বেড়িয়ে যেতে পারে না। আর শীতের কারণে বন্ধ দরজা জানালার গাড়ির ভিতরে কার্বন মনোক্সাইড প্রবেশ করে অল্প সময়ে সুস্থ সবল মানুষকে মৃত্যুর কোলে টেনে নেয়। শীতকালে গাড়িতে কার্বন মনোক্সাইড বেশী হয়। র্স্টাট দেয়ার সাথে সাথে যা মাত্রাতিরিক্ত ভাবে আমাদের চোখের আড়ালে থেকে আক্রমণ করে আমাদের। বন্ধ গেরাজে গ্যাস আটকে থেকে ঘরের মধ্যেও প্রভাবিত করতে পারে।

অনেক সময় আগুনও লেগে যায়।
বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। নিউইয়র্কে একটি ছেলে অনেক বছর একা থাকার পর, ইমিগ্রেশন পেয়ে দেশে গিয়ে বিয়ে করে আসল। কয়েক মাস হয় বউ এসেছে খুব সুন্দর আনন্দের দিন কাটছে। নতুন শিশুর আগমন বার্তা আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে দজুনের সংসারে।

এক শীতের ভোরে প্রতিদিনের মতন। ছেলেটি কাজে চলে গেছে। কাজের জায়গায় পৌঁছে বউকে পৌঁছা সংবাদ দিয়ে দিন শুরু হয়। তো সেদিন অনেক সময় পেরিয়ে গেলে স্বামীর ফোন না আসায় স্ত্রী মোবাইল ফোনে ফোন করে স্বামীর সারাশব্দ না পেয়ে অফিসে ফোন করে। অফিস থেকে বলা হয় সে তখনও কাজে যায়নি।

আতংকিত স্ত্রী তখন পুলিশে ফোন করে। পুলিশ খুঁজে পায় তাকে পার্কিং লটে নিজের র্স্টাট দেয়া গাড়িতে মৃত। কার্বন মনোক্সাইড যে মৃত্যুর কারণ। কাজেই সবাই এই শীতে সাবধান, একটু বেশী নজর দিন চারপাশ দেখে গাড়ি চালনো শুরু করুন। গাড়ি গরম করার সময়টা বাইরে থাকুন, গাড়ি চালি দিয়ে বরফ সাফ করুন।

নাহয় গাড়ির জানলা একটু খুলে দিন প্রথমে। শীতের হিমেল হাওয়া অতটা বিষাক্ত নয় কার্বন মনোক্সাইডের মতন।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।