আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাতিরঝিল প্রকল্প ও আমার কিছু কথা

শিক্ষা আনে চেতনা , চেতনা ঘটায় বিপ্লব আর বিপ্লব দেয় মুক্তি

হাতিরঝিল প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছিলো ২০১৩ সালের দোসরা জানুয়ারী। এই বিশাল প্রকল্পের কারনে ঢাকা শহরের সৌন্দর্য অনেক অনেক খানি বেড়ে যায় এবং এ প্রকল্প চালুর ফলে ঢাকার তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, মৌচাক ও মগবাজারের বাসিন্দাদের এর যোগাযোগ ব্যাবস্থা অনেক সোজা হয়ে যায় । হাতিরঝিল প্রকল্পটি সম্পূর্ণ ৩০২ একর জায়গার উপর করা হয়েছে এবং এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭১ কোটি টাকার উপর ।

হাতিরঝিল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও তদারকি কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অরগানাইজেশন । প্রকল্পটির কাজ এখনো সম্পূর্ণ ভাবে শেষ হয়নি ।



হাতিরঝিল প্রকল্পটি এফ,ডি,সি থেকে শুরু হয়ে একবারে সরাসরি রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত শেষ হয়েছে এই পুরো লম্বা রাস্তার মাঝে কিছু লিঙ্ক রোড আছে যেগুলা দিয়ে গুলশান, বেগুনবাড়ি বা বাড্ডা বের হওয়া যায় এছাড়া কিছু সাইড রোড ও আছে যে গুলো ছোট ছোট গলির মতন ওই গুলো দিয়েও আপনারা বের হতে পারবেন ।

আবার রামপুরার যেখান থেকে রাস্তা শুরু হয়েছে রাস্তাটি মহানগর প্রোজেক্ট ও মধুবাগ এর পাশ হয়ে মগবাজার রেলগেট বা এফ,ডি,সি আগে পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়েছে । খেয়াল করলে দেখতে পারবেন এই দিকটায় ও রাস্তার আশেপাশে ও অনেক ছোট গলি আছে ।

প্রথম প্রথম হাতিরঝিলের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য অনেক কিছু করা হইয়াছিলো , কিন্তু হাতিরঝিল প্রকল্প এখন মানুষের গলার কাঁটা হিসাবে আবির্ভূত হইয়াছে । প্রতিদিন অনেক অনৈতিক কাজের সাক্ষি এখন হাতিরঝিল ।

রামপুরা থেকে কাওরানবাজার বা মগবাজার রেল গেট আসতে মহানগর প্রোজেক্ট ছাড়া রাস্তার পাশে অনেক গুলো ছোট গলি দেখা যায় যেখানে বেশিরভাগ নিম্নবিত্তরা থাকে । বা এফ,ডি,সি থেকে একবারে সরাসরি রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত আসতে গেলে রাস্তার পাশে অনেক ছোট গলি দেখা যায় । এইসব গলি দিয়ে অনেকসময় ছিনতাই এড় মতো বড় ঘটনা ঘটে এবং ছিনতাই শেষে ওইসব ছোট গলিগুলো দিয়ে পালিয়ে যায় ।

এছাড়া প্রতিদিন এই প্রকল্পের আশেপাশে যাদের বাসা বা যারা বাহিরে থেকে ঘুরতে আসেন তাদের অনেকেই এখানে প্রতিনিয়ত এসে যত্রতত্র স্থানে বসে এবং নানারকম ভাবে পরিবেশ দূষিত করে , যেমন বাদাম খেয়ে বাদামের খোসা যত্রতত্র ফালানো বা খাবারের প্যাকেট ফালানো আরো অনেক ভাবে হাতিরঝিল এর পরিবেশ দূষিত করে ফেলছে ।

এছাড়া ফ্লাইওভার বা রাস্তার গুলোর উপর যত্রতত্র গাড়ি বা হোন্ডা পারকিং করা বা অবৈধভাবে রিক্সার প্রবেশ ।

অনেকে গাড়ি চালক ঠিক মতো লেন মেইনটেইন করেন না, তাড়াতাড়ি পৌঁছাবার জন্য উল্টা লাইনে গাড়ি চালানোর ফলে এতে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে থাকে , ইতিমধ্যে হাতিরঝিল এ বেশকিছু দুর্ঘটনায় বেশ কিছু প্রানহানি ও হয়েছে। তাছারা আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন ফ্লাইওভার গুলোর উপর এক টাইপের ঝাউ গাছ আছে ওইগুলোর মধ্যে কেউ বসলে ভালভাবে লক্ষ্য না করলে বোঝা যায়না যে ভিতরে কেউ বসে আছে । প্রতিদিন ওইগুলোর মধ্যে স্কুল বা কলেজ ফেরত ছেলে মেয়েরা বসে থাকে এবং অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে (বর্তমান প্রকল্পকে ধন্যবাদ কাঁটা তারের বেড়া দেওয়ার জন্য) ।

এছাড়া নেশা জাতীয় জিনিস বিক্রি তো অহরহ চলছে। সন্ধ্যার পরে দেখা যাবে অনেকখানেই নেশার আড্ডা বসে যায়।

এরকম প্রতিনিয়ত চলতে থাকলে হাতিরঝিল তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলবে । এ থেকে রক্ষা পেতে হলে দুই সাইডের ছোট গলিগুলি সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দিতে হবে । নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে ।

পুলিশ অথবা হাতিরঝিলের নিরাপত্তার দায়িত্তে যারাই থাকুক তাদের সার্বক্ষণিক টহল এর ব্যাবস্থা থাকতে হবে । তাহলেই হাতিরঝিল আবার আগের সৌন্দর্য ফিরে পাবে ।




অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.