আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অন্যরকম একটা বিকেল



ওই পাশটায় চায়ের কাপের টুংটাং আওয়াজ , তাইতো উঠতে উঠত ও বসতে হলো আবির কে।
অনেকক্ষন অপেক্ষার পর বুঝতে পারল না আজ আর অপেক্ষা করে লাভ নেই।
এই ভাবে প্রতিদিন ই চায়ের কাপের টুংটাং আওয়াজ পাওয়া যায় কিন্তু সপ্তাহে দুই এক বার চায়ের দেখা পায়।
গত ছয় মাস এই ভাবে ই কাটছে, কখন ও বিকালের নাস্তাটা পায় কখন ও বা চায়ের কাপের টুংটাং আওয়াজ। এই তো ।

ছয় মাস ধরে নতুন এই টিউশানীটা করাচ্ছে আবির ।
এই দিকে মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। গত মাসের ম্যাচের ভাড়াটা ও বাকি ।
কয়েক দিন বাদে প্রেমিকার জন্মদিন। কি দিবে ভাবছে সে।


টিউশানীর টাকাটা ও যে হাতে পায় নি এখন ও।
যে দিন চা টা দেয় সেই দিন বিকালের নাস্তার টাকা টা বেচে যায়। সেইটা ই জমাচ্ছিল এতো দিন। দুইটা মাত্র শার্ট তার , কয়েক দিন আগে একটা শার্ট একটু ছিড়ে যাওয়াটা ম্যাচের সামনে বসা টেইলারিং এ কাজ করা আজিজ মামা কে দিয়ে ঠিক করে নিয়েছে। আর ও কিছু দিন পরা যাবে।


ভার্সিটির ফরম ফিলাপ এর ডেট দিয়ে দিলো । বাড়ি থেকে এখন ও টাকা আসেনি।
কয়েক বার বলছে , পাঠাবে পাঠাবে বলল- হয়ত কাল পরশু দিয়ে যাবে।

আবির এর ভাবনায় এখন শুধু একটা জিনিস ই । কবে তার প্রেয়সীর জন্য জন্মদিনের উপহার দিবে।


এই দিকে গত মাসে ধার করা টাকা টা দেয়ার তাগাদা ও আছে।

টিউশানী থেকে বের হয়ে উদাস মনে হাটছে আর এই সব ভাবছে। তখন ই বাড়ি থেকে খবর এলো । এখন আর টাকা টা দিতে পারবে না। যে করে হোক আবির কে চালিয়ে নিতে বলছে ফরম ফিলাপ এর টাকা টা।


হয়ত তার প্রেয়সীর জন্য আর জন্মদিনের উপহার কিনা হবে না।
পকেটে হাত দিয়ে দেখলো আজ আর চায়ের টাকাটা ও পকেটে নেই। হয়ত এই ভাবে ই ফিরে যেতে হবে।
যদি টুংটাং শব্দ টা না শুনতে আর ও আগে ই বের হতো - হয়ত সন্ধার আগে ই ফিরতো।
একা হাটছে আবির।


নিয়ন আলোয় পথ চলছে অজানার পথে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।