আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৃত প্রিয়জনের সঙ্গে চ্যাট!

প্রিয়জন চিরতরে হারিয়ে গেলে যে শূন্যতা এসে ঘিরে ধরে তা কোনোদিনই পূরণ হবার নয়। কিন্তু দিন বদলাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি প্রিয়জন হারানোর বেদনা কিছুটা হলেও প্রশমিত করার একটা উপায় বের করেছে। শুনে আজগুবি গল্প মনে হলেও ব্যাপারটা সত্য। বিখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি) অন্তারপ্রেনিওরশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের একটি দল একটি এমনই একটি সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে।

এই দলে পল্লবী চোপড়া ও রজত দোগরা নামে দু'জন ভারতীয়ও রয়েছেন।

'ডব্লিউ ডব্লিউ ডট ইটারনি ডট এম ই' ওয়েবসাইট খুললেই প্রয়াত প্রিয়জনের সঙ্গে প্রাণ খুলে চ্যাট করা যাবে। প্রিয়জনের স্মৃতি শুধু তরতাজা করতেই নয়, তার সঙ্গে একেবারে হাল আমলের নানা বিষয় নিয়েও গল্প করে নিতে পারবেন নতুন ওয়েবসাইটটিতে গিয়ে।

জানা যায়, এই সাইটের  কথা জানাজানি হতেই হইচই পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার জন দেখে ফেলেছেন এই ওয়েবপেজ।

১৪০০০-এর বেশি মানুষ ইতোমধ্যেই ই-মেইল পাঠিয়ে নিজেদের নামও রেজিস্ট্রি করেছেন।

মৃত মানুষের জীবনের সব তথ্য, ছবি ও তার চরিত্রের প্রতিফলন ঘটায় এমন সব কিছু নিয়ে তৈরি করা হবে এক ভার্চুয়াল উপস্থিতি। সাইবার দুনিয়ায় এর উপস্থিতি সীমাবদ্ধ থাকবে ঠিকই কিন্তু চ্যাট করার সময়ে নাকি বোঝাই যাবে না, যার সঙ্গে কথা বলছেন তার বাস্তব অস্তিত্বই নেই!

প্রাথমিকভাবে শুধু সংস্থার কাছে একটি ই-মেইল করে সাইবার জগতে 'চিরজীবী' হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেই হল। তা হলেই আপনার থেকে চেয়ে নেওয়া হবে আপনার ছবি, ভালো বা খারাপ লাগা, ই-মেইলের নমুনা, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আপনার পছন্দের সাইটগুলির তালিকা ইত্যাদি। ইন্টারনেটে অমর হতে এখন শুধু বাকি ওয়েবসাইটটির লঞ্চ করা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।