আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অ আ আজকের লেখালেখি - ২০০ (আমার দ্বিশতক লেখালেখি এবং আমার মা)

কাঁদছো !! কান্নাতে তোমাকে দারুণ দেখায় ! আজ আমার লেখালেখির দ্বিশতকপূর্ণ হল। লেখালেখির শুরুতে কখনো ভাবতে পারি নি এতদূর এগিয়ে যেতে পারবো । আমি আমার লেখালেখির পিছনে কয়েকটা প্রিয় মানুষগুলো অনুপ্রেরনা রয়েছে যার ভিতরে প্রথমে চলে আসবে আমার মা'র নাম। কাকতলীয়ভাবে আজ আমার মা'র জন্মদিন। আমি আজকে অনায়াসে লিখে ফেলতে পারছি আমার মা'র জন্যে।

আমার প্রথম আমাকে হাতে পেনসিল ধরিয়ে অ, আ, ক, খ বর্ণমালাগুলোকে চিনতে শিখিয়েছেন। মা'র বদৌলতে আমি শিখে গিয়েছিলাম আয় চাঁদ মামা টিপ দিয়ে যা, ভোর হল দোর খোলো, এমন সব ছড়া। আমার বই পড়ার অভ্যাসটা মা'র থেকে পাওয়া শিশু, কিশোর তারকালক, তিন গোয়েন্দা, নন্টে ফন্টে, বাটুল দি গ্রেট, হাঁদা ভোদার কান্ডকারখানা, চাচা চৌধুরী ও সাবু। আমি লেখালেখি শুরু করে ছিলাম আটবছর বয়স থেকে। তখন আমি ক্লাস ফোরে পড়ি।

স্কুল ম্যাগাজিনে কবিতা চলে যেত। আমার মা ভিতর ছিল রাজ্যের উচ্ছ্বাস। আমার নিরব কবিতা চর্চা শেষে ১৯৯৯ সালে প্রথম কবিতার বই "বন্ধু মানে বোধহয়" বেরুলো। আমি বরাবরের মতন ছিলাম কবিতার বই প্রকাশের ব্যাপারে উদাসীন। আমার মা'র একক প্রচেষ্টা আমাকে দিয়ে শেষমেষ বের করানো হল বন্ধু মানে বোধহয়।

আমার উদাসীনতায় বইটা খুব একটা পরিচিতি পায় নি। আমি বরাবর আত্মকেন্দ্রিক ছিলাম। নিজের সৃষ্টি নিজের ভিতর রেখে আনন্দ পাই। পরবর্তীতে ২০০৯ এর দিকে দ্বিতীয় বই বেরুলো "বৃষ্টি রেখেছে জলজ স্মৃতি"। দীর্ঘ বিরতি পর আমার বই বের করার ভিতরে আমার খুতখুত স্বভাবটাই দায়ী।

ভালো লেখার অভাবে এতদিন বই বের করতে ইচ্ছে হয় নি। সেদিন লিখতাম নিজের জন্যে আর আজ লিখছি তোমাদের জন্যে যারা আমাকে রোজ ভাবছো, ভালবাসছো এবং একগাদা অভিমান নিয়ে বসে আছো। ২৮ই ডিসেম্বর,২০১২ -------------------------------------------------------------------------------- লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২০০/৩৬৫ (বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত। ) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।