আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গুণীজন আমাদের প্রেরণার উৎসঃ ফিরে দেখা ২০১৩, যে সকল গুণীজনদের হারিয়েছি আমরা


(সাংবাদিক ও রাজনীতিক নির্মল সেন)
‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’—শিরোনামে প্রকাশিত যাঁর কলাম স্লোগানে পরিণত হয়, সেই নির্মল সেন ৮ জানুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৮২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৩০ সালের ৩ আগস্ট গোপালগঞ্জের দীঘিরপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সুরেন্দ্রনাথ সেন ও মায়ের নাম লাবণ্যপ্রভা সেন। ১৯৪২ সালে ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনের সময় ছাত্ররাজনীতিতে হাতেখড়ি। তারপর ভাষা আন্দোলন।

পরে যোগ দেন জাতীয় রাজনীতিতে। ১৯৫৮ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন। দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক বাংলায় কাজ করেছেন। ১৯৬৮ সালে শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশন গঠন করেন।

মৃত্যুর আগে গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সভাপতি ছিলেন। জনগণের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা এবং সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিই মানুষের মুক্তি এই আদর্শকে জীবনচর্যায় যুক্ত রেখেছেন নির্মল সেন। কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের প্রতি ছিল তার অসীম দরদ। বাংলাদেশ তথা মাতৃভূমিকে তিনি প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন। জন্মদাত্রী কলকাতা চলে গেলেও তিনি মাতৃভূমির টানে থেকে গেছেন।

মাতৃভূমিকে তিনি মা ভাবতেন। তার আদর্শ প্রজন্মকে পথ দেখাবে এবং তিনি আমাদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

(কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও সংগীতজ্ঞ আবদুশ শাকুর)
যেমন নীরবে ছিলেন তেমন নীরবেই চলে গেলেন বাংলাদেশের অন্যতম শুদ্ধ ও পরিশ্রমী লেখক আবদুশ শাকুর। কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও সংগীতজ্ঞ আবদুশ শাকুর ১৫ জানুয়ারি ৭২ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা ও পরে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন।

চমৎকার গল্প লিখেছেন তিনি, উপন্যাস লিখেছেন নতুন ধারার। নাটক লিখেছেন- সেগুলো টেলিভিশনে প্রচারিতও হয়েছে, লিখেছেন রম্যরচনাও। পরশুরাম, সুকুমার রায়, শিবরাম চক্রবর্তী, সৈয়দ মুজতবা, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়- এঁদের পরেই বাংলা সাহিত্যে রম্যরচনার জায়গাটা বলা যায় তিনি এক হাতে সামলে এসেছেন। ১৯৭৯ বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ২০০৩ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে অমিয় ভূষণ পুরস্কার পেয়েছেন। তাঁর লেখা প্রবন্ধগ্রন্থ গোলাপ সংগ্রহ ২০০৪ সালে মননশীল শাখায় প্রথম আলো বর্ষসেরা বইয়ের পুরস্কার লাভ করে।

সংগীতশিল্পী হিসেবেও সুধী মহলে সমাদৃত ছিলেন আবদুশ শাকুর।

(কীর্তিমান চিকিত্সা বিজ্ঞানী জাতীয় অধ্যাপক ডা. নূরুল ইসলাম)
অনন্য মেধা, কঠোর সাধনা ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে মানুষটি উন্নতির শিখরে আরোহণ করে দেশ ও জাতির জন্য বহুমাত্রিক অবদান রেখে গেছেন তিনি হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিত্সা বিজ্ঞানী জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন দক্ষ প্রশাসক, সমাজ সংস্কারক, বৈজ্ঞানিক, গুণী চিকিত্সক ও শিক্ষক। চিকিত্সা জগতের কিংবদন্তী এ খ্যাতিমান শিক্ষক সুদীর্ঘ ২৪ বছর আইপিজিএমআর (পিজি হাসপাতাল)-এর পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসাধন্য একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন এবং আইপিজিএমআর-এর ফাউন্ডিং ফাদার হিসেবে ও এর রূপকার হিসেবে দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছিলেন। আইপিজিএমআর বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

কীর্তিমান এ চিকিত্সা বিজ্ঞানীর গত বছর ২৪ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। যে গুণটির জন্য তিনি সর্বজনবিদিত তা হচ্ছে তার প্রেসক্রিপশনে ওষুধের সংখ্যা থাকত একেবারেই সীমিত। অন্যদিকে ওষুধ ছিল কম মূল্যের। জাতীয় ওষুধনীতি প্রণয়ন, ধূমপান বিরোধী সামাজিক আন্দোলন ও দেশে মেডিকেল শিক্ষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি চালু ও এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলামের অবদান জাতি চিরদিন মনে রাখবে। কর্মবহুল জীবনের কারণে জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলামের কাছে জাতি চির ঋণী হয়ে থাকবে।



(চলচ্চিত্র অভিনেতা বেবী জামান)
এ দেশের চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী বেবী জামান। গত ২৫ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুর ১.৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহ ... রাজিউন)। তিনি বেশ কয়েক বছর যাবত্ কিডনি ও লিভারজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে গিয়ে চিকিত্সা করানো সম্ভব ছিল না বিধায় বাসাতেই তাঁর চিকিত্সা করানো হতো। ’ চলচ্চিত্র অভিনেতা বেবী জামান ১৯৩৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ভারতের বর্ধমানে জন্ম গ্রহণ করেন।

কলকাতার বর্ধমানে জন্ম নেওয়া বেবী জামান ১৯৫৩ সালে সপরিবারে বাংলাদেশে চলে আসেন। ঢাকায় এসে প্রথম নাটকে অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত হলেও ১৯৬৫ সালে কাজী খালেকের মেঘ ভাঙা রোদ ছবিতে প্রথম তিনি কমেডি চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে সুভাষ দত্তের পরিচালনায় তাঁর অভিনীত সুতরাং ছবিটিই বেবী জামান অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি।

(মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মুশার্রফ হোসেন)
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মুশার্রফ হোসেন ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

কর্মজীবনে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সমাজ ও অর্থনৈতিক গবেষণা কেন্দ্রের ডিরেক্টর এবং কলা অনুষদের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগেও তিনি দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান পরিকল্পনা বোর্ড-এর প্রধান অর্থনীতিবিদ (১৯৫৭-১৯৫৮); পাকিস্তান কর কমিশন-এর পরিকল্পনাবিদ (১৯৫৮-৫৯), মুজিবনগর (১৯৭১) অন্তবর্তীকালীন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা সংস্থার সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার-এর পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (১৯৭২-৭৪), জাতিসংঘ পরিষদের (১৯৭৪) প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। পরবর্তিতে তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হন এবং আশি ও নব্বই-এর দশকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সম্মুখ থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক পুরস্কার, বাংলা একাডেমির সম্মানসূচক ফেলোশিপ, অর্থনীতি সমিতির বিশেষ সম্মাননাসহ আরও অনেক সম্মাননা পান।

দেশীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অঙ্গনে উন্নয়ন এবং অর্থনীতির তাত্ত্বিক গবেষণা ও প্রায়োগিক চর্চায় সুদীর্ঘ ছয় দশকব্যাপী তাঁর বর্ণিল কর্মজীবন চির ভাস্বর হয়ে থাকবেন।

(বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আব্দুল জলিল)
রাজনীতিবিদ এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল ৬ মার্চ সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে ৭৪ বছর বয়সে মারা যান। বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী আব্দুল জলিলের জন্ম ১৯৩৯ সালে নওগাঁয়। স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেই তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ১৯৫৭ সালে নওগাঁ কে.ডি স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৬০ সালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. অনার্স (রাষ্ট্র বিজ্ঞান) ও ১৯৬৪ সালে এম.এ. ডিগ্রী লাভ করেন।

১৯৬৫ সালে ব্যারিষ্টারী (বার এট ল) পড়ার জন্য তিনি বিলেত যান। আজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন; ২০০২ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ছিলেন এ দলের সাধারণ সম্পাদক। ১৯৭৩ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত মোট চারবার সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় অনেক রাজনীতিকের মতো জলিলও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

কারাবন্দি অবস্থায় পাঠানো একটি চিঠিতে সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন তিনি। ২০০৮ সালে জামিনে মুক্তির পর জলিল সাধারণ সম্পাদক পদে ফেরার ঘোষণা দেন। কিন্তু এ নিয়ে দলে জটিলতা দেখা দেয়। পরে সাধারণ সম্পাদকের পদ থাকলেও দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তিনি। ২০০৭ সালের ২৮ মে জলিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০০৮ সালের ২ মার্চ প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যান। ছয় মাস পর ৩১ আগস্ট তিনি দেশে ফেরেন। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ এর দ্বয়িত্ব পালন ছাড়াও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন।

(বিশ্বনন্দিত গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম)
গণিতজ্ঞ, পদার্থবিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম গত বছর ১৬ মার্চ ৭৪ বছর বয়সে চট্টগ্রামের ক্লিনিকে মারা যান। তাঁর জন্ম ১৯৩৯ সালে ঝিনাইদহ শহরে।

বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৮৪ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ড: ইসলাম ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমেরিটাস। তা ছাড়া ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেন্টার ফর ম্যাথমেটিকাল এন্ড ফিজিকাল সায়েন্সেসেও তিনি আমৃত্যু গবেষণা করে গেছেন। ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গণিত ও ভৌতবিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর পরিচালকের দায়িত্ব নেন।

মাতৃভূমিতে বা নিজের প্রিয় স্বদেশের মাটিতে বসে বিজ্ঞানচর্চা ছিল তাঁর কাছে অত্যন্ত আবেগের একটা বিষয়। বিদেশে অধ্যয়নরত ছাত্রদেরও পড়াশুনোর শেষে তিনি সব সময় দেশে ফিরে আসার জন্য উৎসাহিত করতেন। মাতৃভাষায় বিজ্ঞানচর্চায় উৎসাহ দিতে বাংলা ভাষায় বেশ কয়েকটি বিজ্ঞানগ্রন্থও লিখেছিলেন জামাল নজরুল ইসলাম। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘কৃষ্ণ বিবর’, ‘মাতৃভাষা ও বিজ্ঞান চর্চা এবং অন্যান্য প্রবন্ধ’, ‘শিল্প সাহিত্য ও সমাজ’ ইত্যাদি।

(রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমান)
আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

তাঁর জন্ম ১৯২৯ সালের ৯ মার্চ কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায়। ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে প্রবেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কোনো আন্দোলনের জন্ম হয় নি, যেখানে তাঁর হাতের অগ্নিসম ছোঁয়া লাগে নি। বাংলাদেশের জন্য এই মানুষটি আজীবন কাজ করে গেছেন। হারিয়েছেন তার স্ত্রী আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা আইভি রহমানকে।

তারপরও তিনি দমে যাননি। রাষ্ট্রপতির গুরুদায়িত্ব কাধে নিয়ে কাজ করে গেছেন। ইতিহাসে অনার্সসহ এমএ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি ১৯৫৪ সালে আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৫৬ সালে কিশোরগঞ্জ মহকুমা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭২, ১৯৭৪, ১৯৯২ ও ১৯৯৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন।

দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পর ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি হন। নিভৃতচারী এই মানুষটির কাছে পুরো জাতি এক বিশাল ঋণের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছে, পাহাড়সম দায় আমাদের এই সোনার মানুষটির প্রতি।

(আলোকচিত্রশিল্পী আমানুল হক)
আলোকচিত্রশিল্পী আমানুল হক ৩ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। একুশে পদক পাওয়া অভিমানি এই মানুষটার কথা অনেকেই হয়তো জানেন না। বাংলাদেশের আলোকচিত্রের ইতিহাসে এই মানুষটার অবদান অনেক।

তাঁর জন্ম ১৯২৫ সালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে। তাঁর বাবার অনুপ্রেরণায় ছোটবেলা থেকেই তিনি আঁকাআঁকি করতেন। বড় হয়ে কিছুদিন আর্ট কলেজে লেখাপড়াও করেছেন তিনি। পরে তিনি চাকরি পান ঢাকা মেডিকেল কলেজে আর্টিস্ট কাম ফটোগ্রাফার পদে। মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তিনি এঁকে দিতেন মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের জন্য।

একটা ভাঙ্গা বক্স ক্যামেরা নিয়ে চারিদিকে ঘুরে বেড়াতেন এবং ছবি তুলতেন। ১৯৫২ সালের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছবি তুলেছেন। ভাষাশহীদ রফিকের মাথায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার ছবি তোলার জন্য পাকিস্তানি শাসকদের কোপানলে পড়ে কলকাতায় গিয়েছিলেন। সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালীসহ অনেক ছবিতে স্থির চিত্রগ্রাহকের কাজ করেন।

(বিপ্লবী বিনোদবিহারী চৌধুরী)
গত বছর ১০ এপ্রিল কলকাতার এক হাসপাতালে ১০৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন অগ্নিযুগের বিপ্লবী বিনোদবিহারী চৌধুরী।

শ্রী বিনোদ বিহারী চৌধূরী ১৯১১ সালের ১০ জানুয়ারী চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালি থানায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কামিনী কুমার চৌধুরী এবং মা রামা চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। তার পড়াশুনা চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার রঙামাটি বোর্ড স্কুলে তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়েছিল ৷ সেখান থেকে তিনি করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়, বোয়ালখালির পি.সি. সেন সারোয়ারতলি উচ্চ বিদ্যালয়, চিটাগাং কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চতর শিক্ষা লাভের জন্য যান। ১৯২৯ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় কৃতিত্তের সাথে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য তাঁকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। ১৯৩৪ এবং ১৯৩৬ সালে ব্রিটিশ রাজের রাজপুটনার ডিউলি ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দী অবস্থায় থাকার সময় তিনি প্রথম শ্রেণীতে আই.এ. এবং বি.এ. পাস করেন।

১৯৩০ সালের অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে তিনি ছিলেন মাস্টারদা সূর্যসেনের অন্যতম তরুণ সহযোগী। ১৯৪৭ সালে ৩৭ বছর বয়সে পশ্চিম পাকিস্তান কংগ্রেসের সদস্য হন তিনি। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক আইন জারির মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলকে বেআইনি ঘোষণা করলে রাজনীতি থেকে অবসর নেন তিনি ৷

(মৃত্যুৃঞ্জয়ী সৈনিক মুক্তিযোদ্ধা আমীন আহম্মদ চৌধুরী)
ফেনীর সোনালী সন্তান, মুক্তিযোদ্ধা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আমীন আহম্মদ চৌধুরী বীর বিক্রম ১৯ এপ্রিল ৬৮ বছর বয়সে ঢাকায় মারা যান। তিনি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। উল্লেখ্য মহান মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বর আহত হওয়ায় আমীন চৌধুরীকে চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে বিজয়ের একদিন পর স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি। তার অসামান্য সাহসিকতার জন্য তাকে বীরবিক্রম খেতাব দেয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধা আমীন আহম্মদ চৌধুরী বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি সেক্টরস কমান্ডার্স ফোরামের নেতা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।

ঐতিহ্যবাহী মুকুল ফোজের উপদেষ্টাও ছিলেন এ বীর মুক্তিযোদ্ধা। সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন আমিন আহম্মদ চৌধুরী। সামরিক নীতি ও কৌশল নিয়ে তিনি বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করতেন। তিনি ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তাঁর মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

আমরা মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।


(আইনজীবী এম জহির)
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম জহির গত বছর ১১ জুলাই ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭৪ বছর বয়সে মারা যান। সংবিধান ও করপোরেট আইনজীবী হিসেবে তিনি দেশে ও বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেন। ড. জহিরের বাবা এম আসির পাকিস্তান হাই কোর্টের বিচারক ছিলেন। তার ভাই মোহাম্মদ জমির অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কমকর্তা এবং সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার।

ইংরেজি সাহিত্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৬২ সালে তিনি তৎকালীন ঢাকা হাই কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ১৯৬৪ সালে তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলএম ডিগ্রি নেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোম্পানি আইন বিষয়ে ১৯৬৫ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৭৪-৭৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কাজ করেন ড. জহির।

১৯৭৮ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। আইন বিষয় ও নিজের পেশাগত অভিজ্ঞতা নিয়ে কয়েকটি বইও লিখেছেন তিনি।

(স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেলাল মোহাম্মদ)
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কবি বেলাল মোহাম্মদ ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই মারা যান। বেলাল মোহাম্মদ ১৯৩৬ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম মাহমুদা খানম এবং বাবার নাম মৌলভি মোহাম্মদ ইয়াকুব।

ছাত্রাবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের প্রথম চট্টগ্রাম কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৬৪ সালে তিনি দৈনিক আজাদীতে উপসম্পাদক হিসেবে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন এবং ঐ বছরই রেডিও পাকিস্তান চট্টগ্রাম, কেন্দ্রে স্ক্রীপ্ট রাইটার হিসেবে যোগ দেন। তিনি স্বাধীনতা বিষয়ক বেশ কিছু কবিতা লিখেছেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের প্রথম চট্টগ্রাম কমিটির সদস্য ছিলেন। একাত্তরের ২৬ মার্চ তিনিসহ কয়েকজন মিলে প্রথম কালুরঘাটের বেতার স্টেশনে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার’ নামে বেতারকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন।



(লোকসংগীত শিল্পী আবদুর রহমান বয়াতি)
গত বছর ১৯ আগস্ট ৭৭ বছর বয়সে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মারা যান লোকসংগীতশিল্পী আবদুর রহমান বয়াতি। একাধারে অসংখ্য জনপ্রিয় লোকগানের শিল্পী, গীতিকার, সুরকার এবং সংগীত পরিচালক আবদুর রহমান বয়াতী ১৯৩৯ সালে ঢাকার জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর গানের সংখ্যা পাঁচ হাজারের বেশি। তাঁর সংগীতজীবন ছিল ৬০ বছরেরও বেশি দীর্ঘ। তার গানে সব সময়ই মাটি ও মানুষের কথা উঠে এসেছে৷ মানুষের মুখে মুখে ফেরা তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে ‘মন আমার দেহঘড়ি সন্ধান করি কোন মিস্তরি বানাইয়াছে’, ‘আমি ভুলি ভুলি মনে করি প্রাণে ধৈর্য্য মানে না’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। দেশ-বিদেশে লোকসংগীতের চর্চা ও প্রসারে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল।

আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়র- এর আমন্ত্রণে হোয়াইট হাউসের এক জমকালো অনুষ্ঠানেও গান পরিবেশন করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়ান আবদুর রহমান বয়াতি৷

(কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা আনোয়ার হোসেন)
বাংলার মুকুট হীন সম্রাট চলচ্চিত্র অভিনেতা আনোয়ার হোসেন ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে ৮২ বছর বয়সে মারা যান। ১৯৩১ সালের ৬ নভেম্বর আনোয়ার হোসেন জামালপুর জেলার সরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম নজির হোসেন ও মায়ের নাম সাঈদা খাতুন। তিনি ছিলেন তাঁর বাবা-মায়ের তৃতীয় সন্তান। প্রথম দিকেতিনি মঞ্চনাটকেও অভিনয় করেন।

তিনি অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। ১৯৫৮ সালে ‘তোমার আমার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন তিনি। `নবাব সিরাজউদ্দৌল্লাহ` ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে আনোয়ার হোসেন ‘বাংলার মুকুটহীন সম্রাট` অভিধা পেয়েছিলেন। পাকিস্তানের নিগার ও বাচসাস পুরস্কার অর্জন কারী আনোয়ার হোসেন ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পান তিনি।

(রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন)
দেশের বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন ২০ ডিসেম্বর ৮১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন

তিনি মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সহধর্মিণী। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীতে নামের উচ্চক্রমানুসারে প্রথম সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৩২ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেন। ষাটের দশকে আইয়ুববিরোধী আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৬৮ সালে রাজবন্দী সাহায্য কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহসভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৭ সালে আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়ে পঁচাত্তর-পরবর্তী আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত ও সংগঠিত করায় তাঁর ভূমিকা ছিলঅত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজীবন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন।

(মঞ্চ ও টিভি অভিনেতা ও নির্দেশক খালেদ খান যুবরাজ)
মঞ্চ ও টিভি অভিনেতা ও নির্দেশক খালেদ খান যুবরাজ ২০ ডিসেম্বর ৫৭ বছর বয়সে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে মারা যান।

(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তিনি স্ত্রী মিতা হক ও মেয়ে জয়ীতাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। খালেদ খান দীর্ঘদিন ধরে মোটর নিউরন সমস্যায় ভুগছিলেন। এ সমস্যার কারণে তার শরীরের মাংসপেশি অকেজো হয়ে যায়।

এতে তিনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটা-চলা করতে পারতেন না। বেশ কয়েক বছর ধরে হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতেন।
১৯৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলে জন্ম গ্রহণ করেন খালেদ খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন তিনি। ১৯৭৫ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে মঞ্চনাটকে যাত্রা শুরু।

মঞ্চে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’, ‘অচলায়তন’, ‘নুরুলদীনের সারা জীবন’, ‘ঈর্ষা’, ‘দর্পণ’, ‘গ্যালিলিও’ ও ‘রক্তকরবী’। ‘ঈর্ষা’ নাটকে অভিনয়ের জন্য কলকাতায়ও তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তার নির্দেশিত উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের ‘মুক্তধারা’, ‘পুতুল খেলা’, ‘কালসন্ধ্যা’, ‘স্বপ্নবাজ রূপবতী’, ‘মাস্টার বিল্ডার’, ‘ক্ষুদিত পাষাণ’সহ আরও বেশ কিছু।
১৯৮১ সাল থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘সিঁড়িঘর’ নাটক দিয়ে টিভিতে অভিষেক। অসংখ্য টিভি নাটকে অভিনয় করেন তিনি।

তার অভিনীত জনপ্রিয় টিভি নাটকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘এই সব দিনরাত্রি’, ‘কোন কাননের ফুল’, ‘রূপনগর’, ‘মফস্বল সংবাদ’, ‘অথেলো এবং অথেলো’, ‘দমন’, ‘লোহার চুড়ি’, ‘সকাল সন্ধ্যা’সহ আরও বেশ কিছু।
অভিনয়ের পাশাপাশি পেশাগতভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় কর্মরত ছিলেন খালেদ খান। এগুলোর মধ্যে রয়েছে অক্সফাম, বেক্সিমকো ফার্মা, একুশে টিভি, বেঙ্গল গ্রুপের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব)। মঞ্চনাটকে অবদানের জন্য ‘মোহাম্মদ জাকারিয়া পদক’, সেরা অভিনেতা হিসেবে ‘নুরুন্নাহার স্মৃতিপদক’, ‘ইমপ্রেস-অন্যদিন’ পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

২০১৩ সালে কালের গহ্ববরে হারিয়ে যাওয়া আমাদের প্রেরণার উৎস গুণীজনদের আত্মার মাগফেরাত কামনায়--

সোর্স: http://prothom-aloblog.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.