আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আলোর মুখ দেখেনি রেলওয়ে করিডর প্রকল্প

পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের ঢাকা-লাকসাম-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে করিডর রেল লাইন নির্মাণের দাবি বহু দিনের। উন্নত দেশের ন্যায় রেলওয়ে পরিবহনে আধুনিক প্রযুক্তির এ ব্যবস্থা চালু হলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে লাকসাম হয়ে কঙ্বাজার পর্যন্ত পথের দূরত্ব কমবে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। সময় বাঁচবে অন্তত পাঁচ ঘণ্টা। বাড়বে সরকারের রাজস্ব। জানা যায়, বর্তমানে কঙ্বাজার থেকে ঢাকা আসতে সময় লাগে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা।

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-লাকসাম-চট্টগ্রাম-কঙ্বাজার রুটে রেলওয়ে করিডর সিস্টেম চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল ব্রিটিশ সরকারের শেষ সময়ে। যুদ্ধ-বিগ্রহসহ নানা কারণে তা হয়ে ওঠেনি। দেশ স্বাধীনের পর বিভিন্ন সরকারের আমলেও বিষয়টি তিমিরেই রয়ে গেছে। রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের ১৮৬২ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত ২৮৩৫ কিলোমিটার রেলপথ চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ট্রেন যোগাযোগ পরিবহন সেক্টরে বিশেষ স্থান করে নেয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ সরকারের বিদায়ের পর বর্তমান বাংলাদেশ অংশে রেলপথ বেড়েছে অত্যন্ত কম।

বর্তমানে রেলপথ রয়েছে ২৭৯৮.০৮ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে লাকসাম হয়ে কঙ্বাজার পর্যন্ত রেলওয়ে করিডর নির্মাণের চিন্তা-ভাবনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। এ রুটে রেলওয়ে করিডর তথা আধুনিক রেলপথ স্থাপিত হলে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের চেহারা পাল্টে যাবে। বিশেষ করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-দাউদকান্দি-লাকসাম-চট্টগ্রাম পর্যন্ত কর্ডলাইন স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে কঙ্বাজার পর্যন্ত রেলওয়ে করিডর আন্তর্জাতিক রেলওয়ে সংযোগেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে। রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, লাকসাম-চিনকি আস্তানা ডাবল রেল লাইন সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে।

ফাইলবন্দী রয়েছে ঢাকা-লাকসাম-চট্টগ্রাম কর্ডলাইন। অন্যদিকে, চাপা পড়ে যাওয়া দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় গণমানুষের প্রাণের দাবি 'ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-লাকসাম-চট্টগ্রাম-কঙ্বাজার' পর্যন্ত রেলওয়ে করিডর সিস্টেম আধুনিক রেলপথটি স্থাপিত হলে গণদাবি পূরণের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি ও জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়ন ঘটবে। রাজধানী ম্যাগাসিটি ঢাকা, পৃথিবীর অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র কঙ্বাজার, প্রধান বাণিজ্যিক ও সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম, সমুদ্রবন্দর ও শিল্প নগরী নারায়ণগঞ্জ, উপমহাদেশের একমাত্র মহিলা নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানীর জন্মস্থান ও পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের প্রবেশদ্বার কুমিল্লার লাকসামে অন্যান্য ক্ষেত্রে উন্নয়ন হলেও রেলপথ সেক্টরে উল্লেখযোগ্য তেমন উন্নয়ন ঘটেনি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্পায়ন, যানজটসহ যোগাযোগ ব্যবস্থায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সৃষ্ট নিদারুণ চাপ উলি্লখিত রেললাইন স্থাপনের মাধ্যমে হ্রাস পেতে পারে।

 



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.