আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একই ভুল করতে চান না এনামুল

শেষ বলে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে বহু। মুশফিকুর রহিম শেষ বলে ছক্কা মেরে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দিয়েছিলেন টাইগারদের। আবার শারজাহতে শেষ বলে ছক্কা মেরে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। সে হিসেবে কাজটা একটু সহজই ছিল এনামুল হক বিজয়ের। জয়ের জন্য শুধু একটি বাউন্ডারি হাঁকালেই হতো।

যদিও প্রয়োজন ছিল তিন রান। থিসারা পেরেরার ফুলটসে বাউন্ডারিটা হাঁকাতে পারলেই হয়ে যেতেন ইতিহাস এবং সেই কাজটাই করতে চেয়েছিলেন পরশু। চেষ্টার সর্বোচ্চটুকু দিয়ে হাঁকিয়েছিলেনও। কিন্তু হয়নি। হয়েছেন আউট।

২ রানে হেরে যায় প্রিয় দল বাংলাদেশ। আজ সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ। আজ যদি একই অবস্থার তৈরি হয়, তাহলে আর ভুল করতে চান না এনামুল। সোজা সীমানা ছাড়া করতে চান বলটিকে।

জয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে হেরে যাওয়ায় ক্রিকেটারদের মনের উপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গেছে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

হতবিহ্বল ক্রিকেটাররা টি-২০ ম্যাচটিকে ঝেড়ে ফেলতে চান। জয়-পরাজয় খেলার অংশ মেনেই সামনে তাকাতে চান। কাল অনুশীলনের আগে মিডিয়ার মুখোমুখিতে অতীতকে মনে না রাখার কথাই বললেন এনামুল, 'দ্বারপ্রান্তে এসে হেরে যাওয়ায় মনটা অবশ্যই খারাপ। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে কালকের (পরশু) দিনটা চলে গেছে। আগামীকাল(আজ) কি করা যায়, সেটাই ভাবছি।

' শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ১৭ রান। প্রথম পাঁচ বলে তুলে নেন তিন চারে ১৪ রান। শেষ বলে দরকার ৩ রান। এমন পরিস্থিতিতে নার্ভের উপর বাড়তি চাপ পড়া স্বাভাবিক। হেরে মন খারাপ থাকলেও নার্ভের উপর বাড়তি কোনো চাপ ছিল না জানান এনামুল, 'সবকিছু ঠিক থাকার পরও জেতাতে পারলাম না।

একটুতো খারাপ লাগছেই। অল্প সময়ের জন্য হতাশ হয়েছিলাম। কিছু কিছু সময় ফুলটস, হাফভলি বলও ব্যাটসম্যানরা মিস করেন। এটা খেলাই অংশ। নার্ভের কিছু নয়।

প্রয়োজনীয় ১৭ রানের মধ্যে ১৪ রান নিয়ে যেহেতু ওভারকাম করে ফেলেছিলাম, তাই নার্ভের উপর বাড়তি কোনো চাপ ছিল না। তবে বলটি আমার মতো পেলে হয়তো বাউন্ডারিই মারতাম। ' শেষ বলে দরকার তিন রান। অপেক্ষা করছেন এনামুল। আর বোলিং অ্যান্ডে পেরেরাকে পরামর্শ দিচ্ছেন কুমার সাঙ্গাকারা, তিলকারত্নে দিলশান, ল্যাসিথ মালিঙ্গা, দিনেশ চন্ডিমলরা।

অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের পরামর্শ নিয়ে বোলিংয়ে এসেই ফুলটস করলেন থিসারা। ফুলটস বলটিকে ঠিকমতো খেলতে পারেননি এনামুল। ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায় আকাশে। ফিরতি ক্যাচ ধরেন থিসারা নিজেই। অপেক্ষায় থাকার পরও এনামুল বুঝতে পারেননি কেমন হবে বলটি।

কাল সেটা অকপটেই স্বীকার করেছেন ৪৫ বলে ৫৮ রান করা এনামুল, 'আমি ভেবেছিলাম বলটি ইয়র্কার কিংবা সেস্নায়ার হবে। আমি অনেক কিছুই চিন্তা করে রেখেছিলাম। যেভাবেই বল আসুক না কেন, আমার চিন্তা ছিল যেন বাউন্ডারি মারতে পারি। ' বলটি মেরেছিলাম কিন্তু সীমানা ছাড়া হয়নি। আউট হন।

বলটি ফুলটস বলে অনেকেই বলছেন 'নো' বল। সে প্রসঙ্গে সরাসরি কিছুই বলতে চাইলেন না তিনি, 'এটা সম্পূর্ণ আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। নো, ওয়াইড, লেগ বিফোর, রান আউট নিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে কোনো কিছু বলা ঠিক নয়। আমি চেষ্টা করেছিলাম মাচটি জিততে। দুর্ভাগ্যবশত ম্যাচটি আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে।

' বলটি নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত মত দিতে যেয়ে বলেন, 'এখানে কিছুই বলার নেই। আমার মনে হয়ে আমি ভুল করেছি। ব্যাটিং করার সময় আমি কিছুই বুঝিনি। তবে সাজঘরে ঢুকার পর অনেকেই অনেক কিছু বলেছে। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

' আগেরবার না পারলেও পরের ম্যাচে সুযোগটাকে হেলায় হারাতে চান না এনামুল। সুযোগ পেলে বলটিকে বাউন্ডারির দড়ি পার করতে চান চোখ বন্ধ করে, 'আমি চিন্তা করছি এমন বল যদি আবার পাই, তাহলে পরবর্তী টি-২০ ম্যাচে এটাকে কোথায় পাঠাব?'

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।