আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুই নেত্রী কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতা চান

প্রাক্তন ছাত্রলীগ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেছেন, আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন এবং ছিলেন তাদের একজন বাবার কারণে আরেকজন স্বামীর কারণে এসেছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের কোনো অবদান নেই। এই দুই নেত্রী (হাসিনা-খালেদা) উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ক্ষমতা কেয়ামত পর্যন্ত নিয়ে যেতে চান। একজন যে কোনোভাবে ক্ষমতায় থাকা এবং একজন আসার জন্য চেষ্টা করছেন। স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ও ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস মাখনের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ওয়ালসো টাওয়ারে এক স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গোলাপী এখন উপজেলা ট্রেনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আপনি তো তাকে আন্তঃনগর ট্রেনে ওঠারই সময় দেননি। এখন লোকাল ট্রেনে উঠেছে বলে উসকাচ্ছেন কেন? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে না এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, উনি (শেখ হাসিনা) পাশে বসে থেকে দলের সাধারণ সম্পাদককে দিয়ে বলান কীভাবে। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নির্বাচন করা হচ্ছে। বিএনপি যখন আন্দোলন করতে পারছে না তখন বলছেন, ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হবে না। ১৯ সালই নয়, যদি ১৯৬৯ সালের মতো গণঅভ্যুত্থান না হয় তাহলে এই সরকার ৪১ সাল এমনকি কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে।

এ সময় তিনি বিএনপির তীব্র সমালোচনা করেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের সমালোচনা করে নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, তার মতো পল্টিবাজ আর দেখিনি। রাসান সার্কাসে যারা এ রশি থেকে ও রশি দ্রুত ছুটে চলেন, তাদেরও শেখার আছে এরশাদের কাছ থেকে। তিনি এত বড় হাড্ডিবিহীন মানুষ। ছাত্রলীগের বর্তমান কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে ছাত্রলীগের সাবেক এ সভাপতি বলেন, পরিকল্পিতভাবেই ছাত্রলীগকে ক্ষয়িষ্ণু অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

আগে ছাত্র রাজনীতি হতো আদর্শের জন্য। এখন ক্ষমতার জন্য। আমরা হত্যার বদলে হত্যার রাজনীতি করি নাই। মানুষের মন জয় করে রাজনীতি করেছি। আবদুল কুদ্দুস মাখনের স্মৃতি চারণ তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সহকর্মীদের মধ্যে ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয়, সবচেয়ে সংস্কৃতিমনা ছিলেন মরহুম আবদুল কুদ্দুস মাখন।

এখন কী রেডিও, কী টেলিভিশন কোথাও আবদুল কুদ্দুস মাখনের নামটিও নেওয়া যায় না। এটা লজ্জার। এজাজ আহমেদ মুক্তার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের নেতা খালেদ মোহাম্মদ আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ রশিদ, সাবেক মন্ত্রী আবুল কাসেম, প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, গাজী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, গাজী তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে বার     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।