আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিউ ইয়র্কে ফের তুষারপাত

শনিবার সকাল থেকে পুনরায় তুষারপাত শুরু হওয়ায় সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে ট্যাক্সিচালকরা, যাদের ২০ শতাংশই বাংলাদেশি।

তুষারপাতে সড়কে কয়েক ফুট পুরু বরফ জমেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনি ও রোববারের অনুষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হচ্ছে দুর্যোগের কারণে।

দুদিন আগে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত টানা তুষার ঝড়ে নিউ ইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসেলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, সাউথ ক্যারোলাইনা, টেনেসী, জর্জিয়া, লুইজিয়ানা, মেইন, টেক্সাস, কানেটিকাটে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ সময়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া বিদুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা সম্ভব হলেও সাউথ এবং নর্থ ক্যারোলাইনার ২ লাখ বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শনিবার পর্যন্ত অন্ধকারেই রয়েছে বলে অঙ্গরাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে।

এই দুর্যোগে বৃহস্পতিবার ৬ হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়। শুক্রবার বাতিল হওয়া ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল ১৫০০। সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন চলাচল চালু হলেও শনিবার ফের তুষারপাত শুরু হওয়ায় অনেক যাত্রী বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের পরিচালক লুইস উসেলিনি বলেছেন, তুষার ঝড় এবং তুষারপাতের এমন উপর্যুপরি ঘটনা শতাধিক বছরের বছরের ইতিহাসে নেই।

এই দুর্যোগে ৩ লক্ষাধিক বাংলাদেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, বিশেষ করে ট্যাক্সিচালকরা।

২০ বছর ধরে নিউ ইয়র্কে গাড়ি চালিয়ে আসা সালেহ শফিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এমন লাগাতার দুর্যোগ কখনো দেখিনি। গাড়ি না চালালেও আমাদেরকে গ্যারেজ ভাড়া দিতেই হচ্ছে।   অর্থাৎ একদিকে রোজগার বন্ধ, অন্যদিকে গ্যারেজ ভাড়া ১২০ ডলার দিতে হচ্ছে। এটি মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। ”

ব্যবসায়ী খোরশেদ খন্দকার বলেন, “লাগাতার প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিদিনই লোকসানের শিকার হচ্ছি।

দোকান ভাড়া, কর্মচারির বেতন গুণতে হচ্ছে। অথচ বিক্রি হচ্ছে না এক ডলারও। ”

আরেক ব্যবসায়ী মশিউল আলম বলেন, গত সপ্তাহে তার মোট বিক্রি ছিল ১৫০০ ডলার, যা আগের সপ্তাহের ৪ গুণ কম।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।