আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবি আজিজুর রহমান আজিজের কাব্য শৈলীঃ নিশি হাসে নিশি ফিরে যায় তার নিজের ভেতর

স্বাগতম


“নিশি হাসে নিশি ফিরে যায় তার নিজের ভেতর। ” এই লাইনটি কবি আজিজুর রহমান আজিজের “মেঘের ঘরে বসত বাড়ি” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত “ছায়া কবিতা” এর শেষ লাইন।

কবির আগের কাব্যগ্রন্থে দেখেছি তিনি শাহবাগ নিয়ে কবিতা লিখেছেন, কবিতা লিখেছেন নবী-রাসুলকে নিয়ে, মসজিদ, মন্দির, গীর্জা নিয়ে, প্রেম-ভালবাসা, বিরহ-বিচ্ছেদ, দুর্যোগ, রানা প্লাজা আরো অনেক বিষয় নিয়ে। কিন্তু কেউ কি ভাবতে পারছেন ছায়া কবিতার এই কবিতার এই লাইনটা কোন বিষয়ে?

যদি নিশির রুপক কথা হয় ভালবাসার, আশার, হতাশা আর সাফল্যের - সব কিছুতেই মানিয়ে যায় কবির এই কবিতা।

“ভালবাসা হাসে ভালবাসা ফিরে যায় তার নিজের ভেতর।


আশা হাসে আশা ফিরে যায় তার নিজের ভেতর।
হতাশা হাসে হতাশা ফিরে যায় তার নিজের ভেতর।
সাফল্য হাসে সাফল্য ফিরে যায় তার নিজের ভেতর।
প্রেম হাসে প্রেম ফিরে যায় তার নিজের ভেতর।
কবি হাসে কবি ফিরে যায় তার নিজের ভেতর।



পাঠকরা কি বলবেন? কেমন! মানিয়ে যাচ্ছে তো? কিন্তু আবার যদি বলি বারট্রান্ড রাসেল - যার রচনায় তিনি মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তিকে ওপরে তুলে ধরেছেন।
সেই রাসেলের প্যারাডক্সটি মত যেখানে একটি সাপ নিজেই একটু একটু করে নিজের লেজ গিলে খাচ্ছে। অনেক কিছুই বলা যায়। কিন্তু এখানে কবির আরো একটি গভীর দর্শন আছে; তাওবাদ।

তাওবাদের সিম্বল হয়তো দেখে থাকবেন অনেকে।

কবির “ছায়া কবিতা”, এবং “একটি ছায়া কবিতা - ২য় ভাগ” গভীরভাবে এই দর্শনেও উপলব্ধি করতে শেখায়।



“নিশি নীরব স্থব্ধ মৌন নিথর
চোখে মুখে ভাবনার সাগর

নিশি মুখ খোলে - আমি ভালোবাসি হে যুবক তোমাকে
যুবকটি উত্তর দেয় করুন চাহনীতে

তার যত প্রেম ভালবাসা সোনালী দুপুর
বিকেরের নির্মল নুপুর ধ্বনি সন্ধ্যার আরতীর ঘ্রান
মসজিদের আযান ভাবতে পারে না যে নিশিরা। ”
-একটি ছায়া কবিতা - ২য় ভাগ, মেঘের ঘরে বসত বাড়ি।

২০১৪ ইং একুশের বই মেলায় কবি আজিজুর রহমান আজিজের দুটো কবিতার বই বেরিয়েছে; প্রজম্নের পদাবলী, এবং মেঘের ঘরে বসত বাড়ি।

এই বই মেলা উপলক্ষে স্যারের (আজিজুর রহমান আজিজ) কাছ থেকে আমি দুটো বই চেয়ে নিয়ে বললাম; আপনার এই বই দুটোর এবারের রিভিউ আমি লিখতে চাই, স্যার।

বিডিনিউজ২৪.কম সম্ভবত স্যারের বই নিয়ে কোন ফিচার প্রকাশ করতে যাচ্ছে।

যাইহোক, “প্রজন্মের পদাবলী -এভাবেই শিখবে আমার সন্তান, তার সন্তান, তার সন্তান, তার সন্তান, তাদের সন্তান” শিরোনামের লেখায় আমি কবির ”প্রজন্মের পদাবলী” কাব্যগ্রন্থের একটা রিভিউ লেখার চেষ্টা করেছি। এবং সেখানে স্যারের কর্মজীবন ও প্রকাশিত উপন্যাস, কাব্যগ্রন্থ, শিশুতোষ এবং চলচ্চিত্র ইত্যাদির সংক্ষিপ্ত যুক্ত করেছিলাম।

“মেঘের ঘরে বসত বাড়ি” কাব্যগ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেছেন তার মেয়ে সুস্মিতা জাহান পুরবীকে।
কবি লিখেছেনঃ
“আমার কন্যা যাকে মা বলে ডাকি
সেই মা সুস্মিতা জাহান পুরবীকে
যে আমার চোখের জল মুছিয়ে দিতে ভয় পায়
আর নীরবে নিজেই চোখের জল ফেলে”

“মেঘের ঘরে বসত বাড়ি” কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেছেন লায়ন আ.ন.ম মিজানুর রহমান পাটওয়ারী, মিজান পাবলিশার্স।



মিজান রহমান পাটওয়ারী বলেনঃ “আজিজুর রহমান আজিজের প্রায় ত্রিশের বেশী কাব্যগ্রন্থ বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত হলেও আমার প্রকাশনা থেকে তাঁর কোনো কাব্য গ্রন্থ এবারই প্রথম প্রকাশিত হলো...... আমার বিশ্বাস ও আশা যে আমরা আগামীতে তার রচিত অসংখ্য গান নিয়ে ভিন্নভাবে একাধিক সংকলন প্রকাশ করবো, যাতে তার রচিত গীতি কবিতাও সংরক্ষিত হয়। ”
আজিজুর রহমান আজিজ ষাটের দশক থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারের একজন গীতিকবিও বটে।

“মেঘের ঘরে বসত বাড়ি” কাব্যগ্রন্থটির মুখবন্ধ একটি কবিতা দিয়ে শুরু করেছেনঃ
“আকাশ তুমি নক্ষত্র হতে চেও না,
মেঘ তুমি বৃষ্টি ছাড়া আর কিছু দিও না,
যদি কিছু দিতে চাও
তা হলে দুদন্ড তোমার ঘরে থাকতে দাও
আমাকে প্রবাসী করো,
গৃহকোনে একটি মুহুর্ত বিশ্রাম নিতে দাও,
আমি যে এক গৃহহীন ইদ্বাস্তু যাযাবর,
মনে ও প্রানে,
আমার রক্ত কনিকায় মেঘের টান
বৃষ্টির ফসল উজ্জীবিত,
আমি তোমর ফসল হতে চাই,
বুষ্টি চাই মেঘ চাই সবুজ চাই
অরন্য চাই
হৃদয় চাই
হৃদয় সবুজে
অদৃশ্য প্রেতাত্মার বিচরন বন্ধ করতে চাই চারপাশে। ”

এই কাব্যগ্রন্থে মোট ১১২ টি কবিতা আছে। তবুও পাওনি ছুতে মন, মেঘের ঘরে, দুরের তুমি, ছিলেম পৃথিবী জুড়ে আছি সৃষ্টি জুড়ে, তোমাতেই, নিশিজাগা ঘুম, প্রেম! অনন্ত আকামে, কোনো এক ফাগুন ঝড়ে, রাতের শরীর, মন ভাঙতে যেও না, মেঘের সাথে কথকতা, ও মেয়ে, পাখিদের কেন তাড়াও, জনক ছিলেন তিনি আছেন, একা, কিশোর নদী, নষ্ট সময়, ছায়া কবিতা, চুপে চুপে এসো, প্রার্থনা মেঘের জন্য, কাছে কেউ নেই, উড়াল মন, সব কি ফুরায় দিনের মত, দুরের ডাক ইত্যাদি ভাললাগা কবিতাগুলির মধ্যে অন্যতম।



“বাতাস যেমন বয়ে যায় অবিরাম শনশন
সুর ছিল বাধা দক্ষিনা পালে,
আমি ছিরেম জড়িয়ে তার প্রেমরে জারে,
তুমি যে দিয়েছ সেই গানে প্রান। ”
-দক্ষিনা পারে বাধাঁ সুর।

“তুমি একটু একটু করে দিও,
সব কিচু ঝড়ের গতিতে দিও না,
তুমি একটু কাছে বসো
বেশী কাছে একসাথে এসো না”
-শুধু একটু ছুয়ে দাও।

“অবশেষে সব কিছু পিছনে ফেরে
এখন ভাবি-
আমি ছিলেম হেরা গুহার পাদদেমে ধুলি কনায়
যেই হেরা গুহায় বসে আমার নবী
সকল সৃষ্টির নবী ছিলেন তোমার ্যধানে মগ্ন,
এখনিআমি ভাবি
আমি ছিলাম আর আছি থাকবো তোমার সাথে”
-ছিলেম পৃথিবী জুড়ে আছি সৃষ্টি জুড়ে।

উল্লেখ্য যে আজিজুর রহমান আজিজের লেখা ও কবিতার মধ্যে অসংখ্যবার ফুটে উঠেছে নবী, রাসুল ও আল্লাহর প্রতি ভালবাসা।

সত্যিই আত্মাধিকতা ছাড়া কোন কবিই প্রকৃতপক্ষে পুর্নাঙ্গ কবি হয়ে উঠতে পারে না কারন পবিত্র আল-কোরআনের প্রতিটি সুরায় যে কবিতার অন্তমিল আছে, পবিত্র বাইবেলের বেশ কিছু অধ্যায় আর বই আছে কবিতার ছন্দে বর্নিত। প্রতিটি ধর্মেই কবিতা আর সংগীতের ছন্দ বৃত্তের ছোঁয়া আছে।

পবিত্র কোরআন শরীফের সুরা আর রাহমানের ৫৬ থেকে ৭৮ আয়াত পর্যন্ত সাহিত্য শৈলী লক্ষ্য করুনঃ
“অপরাধীদের পরিচয় পাওয়া যাবে তাদের চেহারা থেকে;
অতঃপর তাদের কপালের চুল ও পা ধরে টেনে নেয়া হবে।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার
কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
এটাই জাহান্নাম, যাকে অপরাধীরা মিথ্যা বলত।
তারা জাহান্নামের অগ্নি ও ফুটন্ত পানির মাঝখানে প্রদক্ষিণ করবে।


অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার
কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার
কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
এই দু'টি ছাড়া আরও দু'টি উদ্যান রয়েছে।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার
কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
কালোমত ঘন সবুজ।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার
কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
তথায় আছে উদ্বেলিত দুই প্রস্রবণ।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার
কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
তথায় আছে ফল-মূল, খর্জুর ও আনার।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার
কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
সেখানে থাকবে সচ্চরিত্রা সুন্দরী রমণীগণ।


অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার
কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার
কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
কোন জিন ও মানব পূর্বে তাদেরকে স্পর্শ করেনি।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার
কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
তারা সবুজ মসনদে এবং উৎকৃষ্ট মূল্যবান বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে।
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার
কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
কত পূণ্যময় আপনার পালনকর্তার নাম, যিনি মহিমাময় ও মহানুভব। ”


এবার পবিত্র বাইবেলের “পরম গীত” বা “হযরত সোলেমানের গীত” অধ্যায়টি লক্ষ্য করুনঃ

“হে আমার প্রিয়তমা, তুমি সত্যিই সুন্দর!
আহা! কি সুন্দর! তোমার চোখ দুটি পারাবতের মতই কোমল।



হে মম প্রিয়তম, তুমি অনুপমা! এবং তুমি প্রচণ্ড আকর্ষণীয!
আমাদের শয্যা সবুজ ঘাসের বাগানের মতোই মনোরম!”
-পরমগীত ১:১৫-১৬।

”আমার প্রিয়তম আমাকে বলে, “ওঠো প্রিয়তম আমার,
অদ্বিতীয় অনন্য আমার সঙ্গে চল! আমরা চলে যাই!
দেখ, শীত গত হয়েছে, বর্ষাকালও চলে গেছে।
মাঠে মাঠে ফুল ফুটছে, পাখিদের গান গাইবার সময় এসে গেছে!
ঐ শোন, পারাবতের ডাক শোনা যাচ্ছে।
ডুমুরের ডালে ডালে কচি ডুমুর ধরেছে।
দ্রাক্ষার মুকুলের গন্ধে চারিদিক সুবাসিত।

ওঠো,
প্রিয়তম আমার, অদ্বিতীয় অনন্য আমার, চল! আমরা চলে যাই!”
হে আমার কপোত, পর্বতের পেছনে কেন লুকিয়ে আছো?
তোমাকে দেখতে দাও, তোমার স্বর শুনতে দাও, তোমার কণ্ঠস্বর অতীব মধুর, এবং তুমি সত্যিই সুন্দর!
আমাদের জন্য শিযালগুলোকে ধর।
ঐ ছোট্ট শিযালগুলো দ্রাক্ষা ক্ষেত নষ্ট করে!
আমাদের দ্রাক্ষাক্ষেত এখন ফুলে ফুলে ভরা।
আমার প্রিয়তম এক মাত্র আমারই এবং আমিও এক মাত্র তারই!
তিনি শাপলা ফুলের মধ্যে চরান।
ছায়া বিলীন হয়ে যাওয়ার আগে দিগন্তের শেষ নিঃশ্বাস (বাতাস)
যখন প্রবাহিত হয়, তখন, আমার প্রিয়তম,
নবীন হরিণের মত সুউচ্চ বেথর পর্বতে ফিরে এসো!”
-পরমগীত ২:১০-১৭।

“ সারারাত ধরে আমি আমার প্রেমিককে কামনা করে বিছানায পড়ে ছিলাম।


যাকে আমি ভালোবাসি তাকে খুঁজেছি, কিন্তু আমি তাকে পাই নি!
আমি শয্যা ত্যাগ করে এখনি উঠে পড়বো!
আমি সারা শহরে ঘুরবো। প্রত্যেকটি রাস্তার চৌমাথায়
আমি আমার ভালোবাসার মানুষ খুঁজবো।
আমি তাকে অনেক খুঁজেছি, কিন্তু আমি তাকে পাই নি!
নগরে যারা পাহারা দেয় সেই প্রহরীরা আমায় দেখেছে।
আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম,
“যাকে আমি ভালোবাসি তোমরা কি তাকে দেখেছো?”
প্রহরীদের অতিক্রম করার পরেই আমি আমার ভালবাসার মানুষকে খুঁজে পেলাম! আমি তাকে জড়িয়ে ধরলাম এবং
যতক্ষণ পর্য়ন্ত না আমার মায়ের বাড়ীতে এবং
যে ঘরে মা আমায় জন্ম দিয়েছিলেন সেখানে এলাম,
ততক্ষণ আমি তাকে য়েতে দিই নি। ”
-পরমগীত ৩: ১-৪।



“আহা!
যদি তুমি আমার ভাইয়ের মত হতে,
যে আমার মায়ের স্তন্য পান করেছে,
তাহলে আমি যদি তোমাকে বাইরে দেখতে পেতাম,
আমি তোমাকে চুম্বন করতাম এবং
তখন কেউই কিন্তু আমাকে ঘৃণা করত না। ”
-পরমগীত ৮:১।

যদি বলা হয় “মেঘের ঘরে বসত বাড়ি” এই কাব্যগ্রন্থ নামকরনের প্রেক্ষাপট কি? বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর স্লোগান "বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত" এই ধারনা থেকেই কাব্যগ্রন্থের নামকরন হয়েছে “মেঘের ঘরে বসত বাড়ি”।

হতে পারে অদুর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষনা সংস্থা কোন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করলে তার নামকরন করতে পারে “আজিজ” কিংবা “আজিজ ১, ২, ৩....”।
যাইহোক, সেই সমৃদ্ধিময় দিনের অপেক্ষায় থাকবো আমরা কিংবা আমাদের প্রজম্নরা।



কবি আজিজুর রহমান আজিজ কথাশিল্পি, কবি, সাহিত্যিক; সাবেক সচিব এবং সাবেক চিফ ইনফরমেশন কমিশনার (ডেপুটি মিনিস্টার পদমর্যাদা); প্রধান পৃষ্ঠপোষক, সময়ের কণ্ঠস্বর; ; চেয়ারম্যান বোর্ড অব ট্রাস্টিজ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর; সভাপতি, রবীন্দ্র একাডেমি; উপদেষ্টা, ত্রিতরঙ্গ এবং সাবেক গভর্নর বোর্ড অব গভর্নর, ইসলামী ফাউন্ডেশান বাংলাদেশ। এ পর্যন্ত তিনি ৬৫ টি উপন্যাস লিখেছেন।

উল্লেখযোগ্য উপন্যাসঃ বিনষ্টপ্রেম (১৯৮৭, বইঘর চট্টগ্রাম) সত্যসুন্দর আনন্দ (১৯৯২,অনিন্দ্য প্রকাশন) মাধুরী এবং অন্যান্য (১৯৯৩ নিখিল প্রকাশন), কারাগার কাবাবাস ১৯৯২ অনিন্দ্য প্রকাশনা), অন্য প্রজাপতি (১৯৯৩ অনুপম প্রকাশন) সুদুরের রঙধনু (১৯৮৭ মুক্তধারা) দূর থেকে দূরে (১৯৮৬, সাহিত্য সংসদ) অনিতা (১৯৯৪, নিখিল প্রকাশন), বিপন্ন বাসর (১৯৯৪ অনিন্দ্য প্রাকশন), আহত প্রেম (১৯৯৫ দোলনা প্রকাশন চট্টগ্রাম), কালো যদি মন্দ তবে (১৯৯৫ শিখা প্রকাশন), যখন আন্দামানে (১৯৯৭, হাক্কানি পাবলিকেশন ২য় সংস্করন), মধ্যরাতের সংলাপ (১৯৯৮) পাথরের কান্না (১৯৯৮ নিখিল প্রকাশন) চন্দন কাঠের সিড়ি, (১৯৯৯, শিখা প্রকাশন) অশ্র জলে (১৯৯৮, আগামী), বসন্তকাদে (২০০০), জীবন ও হৃদয় কাব্য (২০০৭ পারিজাত), শহরতলীর কাব্য (২০০৮, নিখিল প্রকাশন), যখন আন্দামানে (১৯৯৬ হাক্কানী পাবলিকেশন), সময় যেভাবে কাটে (২০১২), অপারেশন থিয়েটার চারঘন্টা, নীল গোলাপ, দুটি চিঠি ও অতঃপর।

কাব্যগ্রন্থঃ বিষন্ন সংলাপ (১৯৮২, বইঘর চট্টগ্রাম), তবুও বেচে আছি (১৯৮২ বইঘর চট্টগ্রাম) নিরস্তর, অন্তরে, (১৯৯৬ শিখা প্রকাশন), বিরতিহীন সংলাপ, (১৯৮১ বইঘর চট্টগ্রাম) তোমাকে ঘিরে (১৯৭৬ আলোক পাবলির্সাস), হেড লাইনের সংবাদ (১৯৯০, দোলল পাবলির্সাস চট্টগ্রাম), এখন কারো না কারো কিছু বলা উচিত (১৯৯৬ ফেব্রুয়ারী, শিখা প্রকাশন), তোমাকেতো কিছু বলিনি, ( ১৯৯৮ অনুপম প্রকাশন), অনন্ত নগরে যাবো, (১৯৯৮ তিন খন্ডে বিদ্যাপ্রকাশন) এই প্রেম অনন্ত বিরহ, (১৯৯৮, তিন খন্ড বিদ্যাপ্রকাশ) হৃদয়কে করি খন্ড খন্ড, (১৯৯৮, আগামী), বৃষ্টি জালে হৃদয় সমুদ্দূর (২০০০), তখনো রাত এখনো আঁধার (২০১১ ফেব্রুয়ারী, নিখিল প্রকাশ) গল্পঃ অরন্যে পাপ- ১৯৮৩, দোলন প্রকাশন, চট্টগ্রাম।

শিশুদের জন্যে লেখাঃ দরবেশ পাখি (১৯৯৮, অনন্যা) দ্বিতীয় সংস্করন সময় প্রকাশন, আজো স্বাধীনতার গল্প বলি (১৯৯১, সময়), অচিনদেশের অচিন কথা (১৯৯২, সময়), আকাশ অনন্ত অহনা-র ছড়া, পরীর রাজ্য করলো যারা জয়, মিথ্যে রাজার দেশে।



স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্রঃ জলের মেয়ে- ইউনিভার্সিটি ফ্লিল্মস পূর্ন দৈর্ঘ চলচিত্রঃ প্রেম শুধু প্রেম- লেখকের অন্য প্রজাপতি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মান করেছেন ইউনিভার্সিটি ফিল্মস লিঃ।

লেখকঃ
হাসানুজ্জামান তালুকদার শিমুল, লেখক, গবেষক।
সাহিত্য সম্পাদক, সময়ের কন্ঠস্বর।
স্নাতোকত্তরঃ দুর্যোগ এবং মানব সম্পদ নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা (চলমান),
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস্।
স্নাতকঃ মিলিটারী সায়েন্স ইন এপ্লাইড সাইকোহিস্ট্রি,
হার্ভার্ড এক্সটেনশন স্কুল, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি।





Book Review of “My Home in the Cloud”, the Poetry Book by Azizur Rahman Aziz.
ISBN: 978-984-90909-4
Price: 250 BDT
Published by Mizanur Rahman Patwary at Mizan Publishers, Dhaka - Bangladesh.

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।