আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

They have to be human first, they don't qualify.

তুমি যদি প্রতিটি দিন এটা ভেবে পার কর যে আজই তোমার জীবনের শেষ দিন, তাহলে একদিন তুমি সত্যি সঠিক হবে। ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারত। ১টা মেয়ে এত মানুষের মাঝে কিছুই না। যদি সে কোনো প্রভাবশালী কারও আত্মীয়-স্বজন না হয়। সেখানে ১টা মেয়ের র্ধষণের জন্য পুরো দেশের সরকার এখন হুমকীর মুখে।

পুরো দেশজুড়ে বইছে বিক্ষোভের হওয়া। শুধু ভারত না এটা এখন একটা আন্তর্জাতিক বিষয়। একটু আগে দেখলাম টুইটারে এটা ট্রেন্ড হচ্ছে, গুগলের ভারত সেকশনে ট্রেন্ড হচ্ছে, গুগল প্লাসেও একই অবস্থা। এতে এক এক জনের এক এক ধরনের মতামত। কিছু কথা একদম চিরন্তন সত্য।

শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। আসলে শুধু শিশুরা অনুকরন প্রিয় না। হবে মানুষ অনুকরন প্রিয়। কারণ সে যা দেখে তাই শিখে। এখন কথা হল ভারতের বর্তমান চলচিত্র শিল্পের কথা।

সেখানে প্রায় কম-বেশি সব ছবিইতে শালীনতার বিন্দুমাত্র বালাই নেই। আর কিছু কিছু ছবি আছে যা সরাসরি পর্ণ ক্যাটাগরিতে ফালানো যায়। এর পরিবর্তন জরুরী। কেউ কেউ আমার এই মতের বিরোধীতা করে বিভিন্ন কথা বলতে পারেন। সমস্যা নেই।

ভারতের এড এর অবস্থা ভাল না। এডাল্ট কনটেন্ট যুক্ত এডই বেশি। যা বাচ্চারা অহরহ দেখছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা তাদের চলাফেরাতে। তারা ছিনামার নাইকাদের ফলো করার ব্যার্থ চেষ্টা চালায় ।

আমি সবাইকে বলছি না শহরের বেশিরভাগ মেয়েরা। তাদের আচরনে পরিবর্তন আনা উচিত। তাদেরকে আমি তাদের ধর্মের বাইরে যেতে বলছি না। তার নিজের ধর্মের ভিতরে থেকে যতটুকু সম্ভব নিজের শালীনতা বজায় রাখা উচিত। টাকার বান্ডিল তুমি হাতে নিয়ে হাটলে কেউ না কেউ টান দিবেই।

কারণ পৃথিবীতে এখনও অমানুষের সংখ্যাই বেশি। এই যুগে ২০০০ টাকার মাল্টিমিডিয়া ফোন সবজায়গায়। রাস্তার রিকশাওলা থেকে শুরু করে ক্লাস সিক্সের স্টুডেন্টরে কাছে মোবাইল। এবং এদের মোবাইল মানেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পর্ণমুভির বিশাল কালেকশোন। তারা খুব ভাল ভাবে এই বিষয়ে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করছে।

এবং প্র্যাকটিক্যাললি প্র্যাকটিস করতে চাচ্ছে। এবং এসব মুভিতে কাকে কিভাবে কোথায় কখন কোন স্ট্যাইলে..........পুরা ডিটেল থাকে। ফলে জানোয়ার গুলা পূর্ণ ব্যবহারিক জ্ঞান নিয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা চালায়। ফলাফল সামনে। যারা এই ধরনের কাজ করে তাদের সম্পর্কে আমার মতামত হল "They have to be human first. They don't qualify." ভাই এই বিষয় নিয়া হাজার হাজার কথা লেখা যায় কিন্তু আমার সময় এবং ধৈর্য কোনটাই নাই।

আমি শুধু একটা কারনেই এই লেখাটা লিখতে শুরু করছিলাম। সেটা হল আমাদের দেশের পেপার খুললেই এই ধরনের খবরের শেষ নাই। সম্পাদক চাইলে একটা সেকশনও খুলতে পারে তার পেপারে। নিউজের অভাব নাই। কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ এত নিরব কেন? প্রায় প্রতিদিন এই ধরনের কোনো না কোনো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে।

আমাদের দেশের মেয়েদের পোশাকের অবস্থাতো এখনও মোটামুটি ভালো। গ্রামের তো পুরাই ভালো কিন্তু গ্রামেই তো এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। কিন্তু কোনো প্রতিকারের ভাল উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। ও আর একটা কথা স্বাধীনতার সময় প্রায় ৩০ লক্ষ্য মানুষ মারা হয়েছিল তাই না? এর মধ্যে প্রায় ১৫ লক্ষ্য মেয়ে। শিশু-বুড়ি বাদ দিয়ে ধরি ৫ লক্ষ্য যুবতী ছিল।

এদের মধ্যে ধরি কম করে হলেও ২ লক্ষ্য নারীকে ধর্ষন করা হয়েছে। কিন্তু তাদের বিচার কি হয়েছে? আমার মনে চাইতাছে শালাদের দেশে একটা পারমানবিক হামলা চালাতে। সব কুত্তাগুলা একসাথে খতম। আমার চিন্তা করতেই কেমন কেমন যেন লাগে, যে এত কিছুর পরও এদেশের মানুষ কিভাবে পাকিস্তানের সার্পোট করে। কই তাদেরকে তাদের কর্মফলের জন্য কখনও লজ্জিত দুখিত এইধরনের কিছু বলতে তো শুনি না।

তারপরও বলি আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুক এবং আমাদের সকলকে ন্যায়ের পথে চলার শক্তি দান করুন। পরিশেষে একটি কথা------------একমাত্র একটি পরিবারই পারে তার ছেলে কিংবা মেয়েকে সঠিক পথে রাখতে। এখানে পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে এবং আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। এখানে কোনো দেশের সরকারের কিছুই করার নেই। যদি আমার পরিবার আমাকে মানুষ করতে না পারে।

কারও বাপের পক্ষেও সম্ভব না আমাকে মানুষ করা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।