আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে সব কথা ভুলে যাই, করি মস্ত ভুল

একদম সাধারণ একজন মানুষ ।

আসসালামু আলাইকুম । ভাই, আপনি কি মুসলমান ? তাহলে নিচের লেখাটি একটু কষ্ট করে পড়ার অনুরোধ রইলো । অন্য ধর্মের ভাই এবং নাস্তিকদের না পড়লেও ক্ষতি নেই ।
আপনি নিজেকে ইতোমধ্যে মুসলমান দাবি করেছেন ।

মুসলমান কাকে বলে ? উত্তর খুব সহজ । এক কথায়, যে ইসলাম মেনে চলে, সে মুসলমান । মুসলমান হতে গেলে আপনাকে মোটামুটি ৫টি জিনিস এনসিওর করতে হবে ।
১। কালেমা
২।

নামাজ
৩। রোজা
৪। হজ্জ
৫। যাকাত
এছাড়াও অনেক দায়িত্ব আছে । সেগুলো পড়ে আলোচনা করা যাবে ।


প্রথমত, আপনি আল্লাহ্‌কে বিশ্বাস করেন কি ? সোজা কথা, সূরা ইখলাসে বিশ্বাস করেন তো ? করলে আলহামদুলিল্লাহ্‌ ।
দ্বিতীয়ত, আপনি নামাজ ঠিক মতো পড়েন তো ? মানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমতো পড়েন তো ? কিয়ামতের দিন কিন্তু নামাজের ব্যাপারে সবার আগে জিজ্ঞাসা করা হবে । ভাই, আমি নিজেও এক সময় নিয়মিত নামাজ পরতাম না । আলহামদুলিল্লাহ্‌, এখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছি । আপনি চেষ্টা করুন ।

আপনিও পারবেন ইনশাআল্লাহ্‌ । ভাই, কবরের আজাব, জাহান্নামের আগুন – এসব খুবই ভয়াবহ । আল্লাহ্‌ তা আলা আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন ।
তৃতীয়ত, ভাই, ফরজ রোজা রাখা হয় তো ? রোজার ফজিলত কত, ভাই জানেন কি ? আল্লাহ্‌কে খুশি করার অনেক সোজা একটা রাস্তা হলো রোজা রাখা । চেষ্টা করবেন ভাই, কেমন ? আল্লাহ্‌ তা আলা আমাদের সাহায্য করুন ।


চতুর্থত, ভাইয়ের কি হজে যাওয়ার মতো অর্থনৈতিক অবস্থা আছে ? থাকলে আজই নিয়ত করুন হজে যাওয়ার । এটা কিন্তু এখন আপনার উপর ফরজ হয়ে গেছে ।
পঞ্চমত, ভাই কি যাকাত দেয়ার অবস্থায় আছেন ? থাকলে দিয়ে দিবেন । নইলে আপনার সম্পদ হারাম হবে । এবং হারাম খেলে আপনি তো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না ।

জাহান্নামে যে অনেক অনেক কষ্ট ।
..................
ভাই, হতাশ হলেন । ভাবছেন, এসব লেখার মানে কি ? আপনি তো জানেন ই । জানেন, কিন্তু মানেন কি ? কুরআনে যখন জিহাদ করতে বলা হচ্ছে, তখন আপনি বলছেন জিহাদ নিষিদ্ধ । আপনার ঘরে যদি কুরআন থাকে, তবে আপনার ঘরেই আছে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় জিহাদী বই ।

দয়া করে জিহাদের বিরুদ্ধে বলে ইসলামের বিরুদ্ধে বলবেন না । তবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবশ্যই কথা বলবেন । আল কায়দা এবং যুক্তরাষ্ট্র একই মুদ্রার দুই পিঠ । তারা শুরু থেকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে আসছে । এদের থেকে দূরে থাকুন ।

আপনি মুসলমানরা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হলে চুপ থাকেন । অমুসলিমের হাতে ফুলের টোকা লাগলে গর্জে উঠেন । অথচ কাল আপনি আক্রান্ত হলে অন্যরা যদি আপনাকে মুসলমান ভেবে চুপ থাকে কেমন লাগবে আপনার ? অমুসলিম ও নাস্তিকদের দোষ দেই না । তাদের পক্ষে এমন করাটা স্বাভাবিক । কিন্তু আপনি কিভাবে পারেন ? একজন অমুসলিম বা নাস্তিকের নামের আগে যখন শহীদ লাগানো হয়, তখন আপনি ফুল দিয়ে সমর্থন জানান ।

ভাই, মুসলমান হয়ে ইসলামের এতো বড় অপমান আপনি কিভাবে সহ্য করেন ? ওরা চায় যে এই দেশটা উগ্র হোক । ডাস্টবিনে নবজাতকের লাশের স্তূপ হোক । আপনি সমর্থন দিচ্ছেন ? যদি ইসলাম ভালো না লাগে, দয়া করে মুসলিম নাম লাগিয়ে ইসলামের সমালোচনা করবেন না । নিজেকে আগে অমুসলিম ঘোষণা করুন, তারপর ইসলামের বিরুদ্ধে পারলে বলুন । শেষ বিচারের দিন আমরা আল্লাহ্‌র কাছে কি জবাব দেবো ?



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।