আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১১৭ উপজেলায় ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট, প্রস্তুতি ইসির

প্রথম ধাপের ৯৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশন এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠানের। অন্যদিকে আগামী ৩১ মার্চ ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে গতকাল পঞ্চম দফায় ৩৫ জেলার ৭৪ উপজেলায় নির্বাচনেরও তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। পঞ্চম ধাপের মধ্য দিয়ে আপাতত উপজেলা নির্বাচনের সমাপ্তি করতে চাচ্ছে ইসি। তবে ৪৮৭ উপজেলার মধ্যে বাকিগুলোর ভোটগ্রহণ এখনই হচ্ছে বলে ইসি সূত্র নিশ্চিত করেছে। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম দফায় ৩৫ জেলার ৭৪ উপজেলায় আগামী ৩১ মার্চ ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছেন।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ২ মার্চ, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ৫ মার্চ ও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন আগামী ১২ মার্চ। কমিশন সচিবালয়ে দুপুরে সিইসি এ তফসিল ঘোষণা করেন। একই সময়ে আলাদা তফসিলে আগামী ২৩ মার্চ ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে ঢাকার ধামরাই উপজেলার নির্বাচনী সময়সূচি ঘোষণা করা হয়। এ উপজেলায় মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, যাচাই-বাছাই ২৬ ফেব্রুয়ারি ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ মার্চ।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, মূলত পঞ্চম ধাপের তফসিলই শেষ তফসিল।

নির্বাচন কমিশন ৬ ধাপে ৩ মের মধ্যে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিলেও পরবর্তীতে তা পরিবর্তন করে মার্চেই তা শেষ করতে যাচ্ছে। এ তফসিলের মাধ্যমে আপাতত উপজেলা নির্বাচন শেষ হয়ে যাচ্ছে। এতে বাদ পড়ছে ২২টি উপজেলার নির্বাচন। সুবিধাজনক সময়ে ওই ২২ উপজেলায় নির্বাচন করা হবে বলে কমিশন সূত্র জানিয়েছে। কয়েকটি উপজেলার সীমানা জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা করবে না ইসি।

প্রথম দফায় তফসিল ঘোষিত ৯৭ উপজেলায় গত বুধবার নির্বাচন হয়েছে। প্রথম দফাভুক্ত রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভোট হবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া দ্বিতীয় দফায় ১১৭ উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি এসব উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। এ ছাড়া তৃতীয় দফা তফসিলে ৮৩টি উপজেলার ভোট ১৫ মার্চ, চতুর্থ দফা তফসিলে ৯২টি উপজেলার ভোট ২৩ মার্চ ও সর্বশেষ গতকাল পঞ্চম দফা তফসিলে ৭৪টি উপজেলার ভোট ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।

সব মিলিয়ে ৪৬৫টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করল কমিশন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী নির্বাচনযোগ্য উপজেলার সংখ্যা ৪৮৭টি। এ হিসাবে আপাতত ২২টি উপজেলার নির্বাচন হচ্ছে না। এ বিষয়ে পঞ্চম দফার তফসিল ঘোষণার পর সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, বেশকিছু উপজেলা নির্বাচন বাকি থাকবে। কিছু উপজেলার সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয় রয়েছে।

কিছু উপজেলার নির্বাচনী সময়সীমা শুরু হয়নি।

প্রথম দফা নির্বাচনে সহিংসতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে সিইসি বলেন, এত বড় নির্বাচনে দু-একটা অঘটন ঘটলে তাতে অসুবিধা নেই। আগামীতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে এবং নির্বাচন আরও সুষ্ঠু হয় সে জন্য আমরা কাজ করছি।

যে ৭৪ উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে : পঞ্চম দফায় দেশের ৭৪টি উপজেলায় আগামী ৩১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলাগুলো হচ্ছে_ ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা, দিনাজপুরের বিরল, পার্বতীপুর ও হাকিমপুর, নীলফামারীর ডোমার, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ, বগুড়ার সদর উপজেলা, রাজশাহীর পবা, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও শাহজাদপুর, পাবনার সদর উপজেলা ও বেড়া, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর, সাতক্ষীরার সদর উপজেলা, দেবহাটা ও তালা, বরগুনার বামনা, পাথরঘাটা, সদর ও আমতলী, পটুয়াখালীর দশমিনা ও কলাপাড়া, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল সদর, গোপালপুর ও বাসাইল, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, ত্রিশাল ও নান্দাইল, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও পাকুন্দিয়া, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি, সিরাজদিখান ও লৌহজং, গাজীপুরের কালিগঞ্জ, নরসিংদীর মনোহরদী, সদর ও রায়পুরা, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর, সিলেটের বিয়ানীবাজার, মৌলভীবাজারের জুড়ী ও রাজনগর, হবিগঞ্জের বানিয়াচং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, আশুগঞ্জ ও সদর, কুমিল্লার মুরাদনগর ও চান্দিনা, ফেনীর ছাগলনাইয়া, নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, সদর, রামগঞ্জ ও রায়পুর, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, কঙ্বাজারের সদর, টেকনাফ ও উখিয়া, খাগড়াছড়ির দিঘীনালা, রাঙামাটির সদর, লংগদু, রাজস্থলী ও বিলাইছড়ি।

যে ২২ উপজেলায় এখন নির্বাচন হচ্ছে না : রংপুরের সদর, গঙ্গাচড়া, পীরগাছা, কাউনিয়া, কুমিল্লার আদর্শ সদর, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর, নরসিংদীর রায়পুরা, মাদারীপুর সদর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ও বিজয়নগর, সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ, নেত্রকোনার আটপাড়া, শেরপুরের নকলা, কুমিল্লার দাউদকান্দি, বরগুনার তালতলী, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী, ময়মনসিংহের তারাকান্দা, রাজবাড়ীর কালুখালী ও নাটোরের নলডাঙ্গা। এসব উপজেলার অন্তত ৭টিতে সীমানা জটিলতা, আইনি জটিলতা ও মেয়াদ শেষ না হওয়ায় এ বছর নির্বাচন হচ্ছে না। বাকি উপজেলাগুলোতে সুবিধা মতো সময়ে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করছে ইসি।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।