আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাবাশ শিবির, সাবাস গুন্ডে বাহিনী



দেশে নানা অপকর্মের পর এবার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের তালিকায় নতুন 'উচ্চতায়' আসীন হয়েছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর (নন-স্টেট আর্মড গ্রুপ) সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী হামলার পরিমাণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে এসব হামলার পরিমাণ ১৫০ শতাংশ বেড়েছে। এর পরিমাণ ২০০৯ সালের সাত হাজার থেকে ২০১৩ সালে সাড়ে ১৮ হাজারে পৌঁছেছে। আর বিভিন্ন দেশে এসব হামলায় যারা জড়িত, ২০১৩ সালে এমন শীর্ষ ১০টি গোষ্ঠীর ৩ নম্বরে অবস্থান করছে ইসলামী ছাত্রশিবির।


আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ নিয়ে লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা 'জেন'স টেরোরিজম অ্যান্ড ইনসারজেন্সি সেন্টারের (জেটিআইসি) প্রকাশিত 'বিশ্ব সন্ত্রাস ও জঙ্গি হামলার তালিকা ২০১৩-এর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটি ২০১৩ সালের ইনডেস্কটি প্রকাশ করে। প্রসঙ্গত, জেটিআইসি যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোভিত্তিক আইএইচএস ইনকরপোরেশনের একটি প্রতিষ্ঠান। '
জেটিআইসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৩ সালে অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী তথা রাষ্ট্রযনে্ত্রর বাইরে অবৈধ বিদ্রোহী দলগুলোর হামলায় বিশ্বে তাত্পর্যপূর্ণভাবে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে 'আরব বসন্ত' এই হামলার পরিমাণ বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ।

সিরিয়ায় এই হামলা গত দুই বছরে দ্বিগুণ বেড়েছে। ইরাকে আল-কায়েদার আত্মঘাতী হামলার পরিমাণ চারগুণ বেড়েছে। আর এসব হামলায় আফ্রিকার সাব-সাহারান অঞ্চলে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
প্রতিবেদনে ২০১৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি সক্রিয় অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে এক. থাইল্যান্ডের 'বারিসান রিভলিউসি ন্যাশনাল, দুই. তালেবান, তিন. বাংলাদেশের ইসলামী ছাত্রশিবির, চার. কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মাওবাদী), পাঁচ. ইরাকের আল-কায়েদা, ছয়. হরকাত আল-শাবাব আল-মুজাহিদীন বা আল-শাবাব, সাত. কলম্বিয়ার ফারক, আট. ফিলিপাইনের নিউ পিপলস আর্মি, নয়, সিরিয়ার জাবাত আল-নুসরা এবং দশ. ইউনাইটেড কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী)।


প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে বিদ্রোহী হামলাগুলোর এপিসেন্টার (উত্সস্থল) বলা যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্য। যার বিকিরণ আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে জেটিআইসির ব্যবস্থাপক এবং এ-সংক্রান্ত গবেষক ম্যাথু হেনম্যান বলেন, '২০০৭ সালে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ছিল সাত হাজার ২১৭টি। আর ২০১৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৮ হাজার ৫২৪টি। অর্থাত্ এই সময়ে হামলার পরিমাণ বেড়েছে দেড়গুণ।

আর এই সময়ে আমরা বিশ্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গি হামলায় নাটকীয়ভাবে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে দেখেছি। ২০১২ সালে বিশ্বে ১৩ হাজার ৮৭২ জন জঙ্গি এবং ১০ হাজার ৫৬২ জন মানুষ হতাহত হয়। ২০১৩ সালে এর পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এই বছর সাধারণ মানুষের হতাহতের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ৫৫৪ জন এবং জঙ্গিদের হতাহতের সংখ্যা ২১ হাজার ৪৯০ জন। ' - See more at: Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.