আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার আপত্তিতেও এখনই থামছে না গুন্ডেমি

‘গুন্ডে’ বিতর্কে ভাঙলেও, মচকালো না ছবিটির প্রযোজক সংস্থা যশরাজ ফিল্মস। তাদের পক্ষ থেকে তথ্য বিকৃতির জন্য ক্ষমা চাওয়া হলেও, পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হলো, এখন ছবিটিতে অদল বদল করার কোনও সম্ভাবনা নেই।

আলি আব্বাস জাফর পরিচালিত গুন্ডে ছবিতে উঠে এসেছে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্মের কথা। কিন্তু সেখানেই রয়েছে মস্ত বড় ভুল। ছবিতে দাবি করা হয়েছে, ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ফলেই জন্ম নিয়েছে বাংলাদেশ।

মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে কোনও উল্লেখই নেই গোটা ছবিতে। ফলে গুন্ডে মুক্তি পাওয়ার পরই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ঢাকায়।

আন্দোলন দেখেনড়েচড়ে বসেছে সরকারও। গুন্ডের প্রদর্শন বন্ধ রাখার আর্জি জানিয়ে নয়াদিল্লিতে এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশে বিদেশ মন্ত্রীর চিঠি। তবে ওপার বাংলার আর্জির বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নয়াদিল্লি।

এর মধ্যেই যশরাজ ফিল্মসের ফেসবুক পেজে তথ্য বিকৃতির জন্য ক্ষমা চেয়ে লেখা হয়েছে, ‘ছবিটি বাংলাদেশের নাগরিকদের ভাবাবেগে আঘাত লাগায় আমরা যারপরনায় দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। ’

আবার যশরাজের এক মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভারতসহ বিদেশের কয়েক হাজার সিনেমা হলে ছবিটি চলছে। ফলে প্রদর্শন বাতিল করা বা ছবির প্রিন্টে কোনও রদবদল অসম্ভব।

গতকাল সোমবার বিবিসিতে এই খবর প্রচারিত হতেই ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে গণজাগরণ মঞ্চ। গুন্ডের প্রদর্শন বন্ধ রাখার দাবিতে উত্তাল হয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো।

এই অবস্থায় ভারত সরকারের পদক্ষেপের দিকে চেয়ে রয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

কিন্তু সাউথ ব্লক সূত্রে খবর, কেন্দ্র এ বিষয়ে এখনও কিছু ঠিক করে উঠতে পারেনি। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশের চিঠির জবাব দেওয়া হবে বলেও জানা গেছে।

এদিকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে অবজ্ঞা করায় মুখ খুলেছেন পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। বুদ্ধদেবের কথায় ‘ছবিটিতে অশিক্ষার ছাপ স্পষ্ট।

ইতিহাস সম্পর্কে অজ্ঞ হয়েও, স্পর্শকাতর বিষয়ে ছবি বানিয়েছেন। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। পরিচালকের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করেও তাদের কথা, গৃহযুদ্ধের মতো কালজয়ী ছবির পরিচালকের গলায় উষ্মা ধরা পড়েছে।

ছবিটি কিভাবে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়, সেই প্রশ্নও তুলতে ছাড়েননি বুদ্ধদেব।



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।