আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

৩ প্রতিবন্ধীর খুনি বাবুলের ফাঁসি দাবি

যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পায়নি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীও। বসতবাড়ি হারিয়ে দীর্ঘ ১১ বছর যাযাবর জীবনযাপন করছে ৪০টি প্রতিবন্ধী পরিবার। প্রশাসনে ধর্ণা দিয়েও কোনো প্রতিকার পান নি তারা।

সময় গড়িয়ে গেলেও দূর হয়নি তাদের হাহাকার। সব হারানো পরিবারগুলো এখন ফেরত চান তাদের শেষ সম্বল বসতভিটা।

বসতভিটা ফেরত দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর। তাদের ডাকে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে রাস্তায় নেমে আসেন কয়েকশ প্রতিবন্ধী।

তারা পালন করেন বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা। তাদের বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত হয় ‘খুনি বাবুলের ফাঁসি চাই, অন্ধের টেক ফেরত চাই’।

ভাগ্যবঞ্চিত মানুষগুলো এক পর্যায়ে সড়ক অবরোধ করেন।

বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশ প্রশাসনকে তলব করা হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের আশ্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নেন তারা।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এ মানুষগুলো কেউ ছড়ি, কেউ লাঠি, আবার কেউ সন্তানের হাত ধরে বিক্ষোভে অংশ নেন। ব্যতিক্রমী আয়োজন ও করুণ আর্তি দেখে পথচারীদের মনও ব্যথায় ভরে যায়।

তাদের এ গগণবিদারী আর্তনাদের কারণ খুঁজতে গিয়ে গা শিউরে ওঠে।

এক সময় ঘরবাড়ি, সংসার সবই ছিলো তাদের। কিন্তু এখন কিছু নেই। বাবুলের হিংস্র থাবায় সব হারিয়ে ফুটপাতবাসী এসব অসহায় মানুষ।

মঙ্গলবার ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করে গাজীপুর সমাজকল্যাণ ও অন্ধ পুনর্বাসন সোসাইটি।

সংগঠনটির সভাপতি সাহাজুদ্দিন বলেন, আমরা ৪৫টি অন্ধ পরিবার গাজীপুর জেলার সফিপুরে বন বিভাগ থেকে ১৪ বিঘা জমি নিয়ে অন্ধের টেক পল্লী গড়েছিলাম।

কিন্তু সেই অন্ধের টেকের উপর ক‍ুনজর পড়ে যমুনা গ্রুপের বাবুলের।

তিনি বলেন, ২০০২ সালে একদিন হঠাৎ করে সন্ত্রাসী নিয়ে এসে আমাদের ভিটেমাটি ছাড়া করে। পরে ওইস্থানে হান্টার কারখানা কারাখানা তৈরি করেন। ওই সময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে গুপ্তহত্যার শিকার হন সেলিম, বারেকসহ তিনজন।

তিনি আরও বলেন, আমরা  সবাই এখন ছিন্নমূল জীবনযাপন করছি।

কেউ ফুটপাতে, কেউ গাছতলায় নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। বহুবার বলেও জমি ফেরত পাইনি। পাইনি আমাদের সংগঠনের সদস্যদের হত্যার বিচার।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।