আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোড টু আই.ই.বি ইলেকশন ক্যাম্পেইন

গফফগ গত (২৪/১২/২০১২) ছিল আই.ই.বি (ইন্সিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশ) ইলেকশন। এক সিনিয়র বড় ভাই আমাদেরকে (কয়েকজন বন্ধু) ডাকলেন ইলেকশন ক্যম্পেইন করার জন্য। সবাই যাওয়ার জন্য রাজি হলেও প্রথমে আমি রাজি ছিলাম না। কারন আমি এইসব দল, সংগঠন ভালো লাগেনা। যাওয়ার আগের রাত্রে সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন একা একা থাকতে হবে ভেবে আমিও যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলাম।

বন্ধুরা সবাই তাদের রাগ ঝাড়তে শুরু করল আগে রাজি হয়নি তাই। শেষমষ সকাল সাড়ে সাতটায় সিল্কসিটি ট্রেন ধরার জন্য সবাই রাত বারটার মধ্যেই ঘুমিয়ে গেল আর আমি কিছু কাজ (সামু পড়া) শেষ করে ২.০০ টায় ঘুমিয়ে গেলাম আর উঠলাম পরদিন সকাল ৬.০০ টায়। এত শিতের মধ্যেও গোসল করতে বাধ্য হলাম। ৭.১০ মিনিট এর মধ্যে রেলস্টশনে পৌছুলাম এবং টিকেট কাটতে (যদিও এটা কাটা যায়না, কাটলে তো সেটা টিকেট থাকে না কাগজের টুকরা হইয়া যায়) গেলাম সিট নাই। ৭.৩০ মিনিটের ট্রেন ৭.৩৯ মিনিটে যাত্রা শুরু করলো আর আমি সুন্দরী কোন ললণা পাওয়া যায় কিনা খুজতে লাগলাম লুলামির অংশ হিসেবে এক পর্যায়ে কোথাও খুজে না পেয়ে ফাকা সিট দেখে বসে গেলাম।

১০ মিন্টের মধ্যে ওই সিটের মালিক চলে আসায় সিট ছেড়ে দিতে আবারো বাধ্য হলাম। পরোক্ষণেই ভীড়ের তীব্রতা বুঝতে পারলাম আর শুরু হলো ডলাডলি মানে ঠেলাঠেলি। মনে হচ্ছে সবাই আমি যেই বগিটাই আছি সেটা দিয়েই যাতায়াত করছে। বাপরে বাপ এত ডলা জীবনে খাইনি। যাইহোক কিছুদুর যাওয়ার পর (৯.৩৫ মিনিট) ট্রেন থেমে গেল, বুঝলাম কোন ক্রসিং আছে মনে হয়।

এই মনে হওয়া টাই কাল হয়ে দাঁড়াল শুনলাম রেললাইন নাকি ৮ ইঞ্চি পরিমান ভাংগা (কেউ একজন ভেংগে নিয়ে গেছে বাঙ্গালী কবে ভালো হবি রে) এবং এটা নাকি ট্রেন যেখানে থেমেছে সেখান থেকে খুবই কাছে। তার মানে আর একটু হলেই গেছিলাম। সব মিলায়া বড় বাচা বাইচ্চা গেছি। এখন রেল লাইন সারতে দেরি হবে বুঝতে পেরে ট্রেন থেকে নেমে গেলাম । কত দেরি হতে পারে শুনতে গিয়া পুলকিত হইলাম (ঘণ্টা খানিকের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে) তাড়াতাড়ি কিছু পিক তুলে নিলাম ফ্রেন্ডরা মিলে।

পিক তুলা শেষ কিন্তু রেললাইন আর ঠিক হয়না। স্টেশন মাস্টারের কাছ শুনলাম রেললাইন রিপেয়ার করার জন্য কে রেলের পাত নিয়ে আসবে এটা নিয়ে মাননীয় চীফ ইঞ্জিনিয়ার এবং আ্যসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এর মধ্যে ছোট্ট একটা বাকবিতন্ডা হয় যা সুক্ষ দেরির কারন৷ অবশেষে ১০.৫০ মিনিটে উনারা কাজে হাত দিলেন। পুরো একঘন্টা শেষে ১১.৫০ সবুজ বাতি জ্বললেও বলা হল অপর প্রান্তে অপেক্ষমান ট্রেনটি পরে আসায় ওকে আগে যেতে দিতে হপে৷ শেষমেষ ৯.৩৫ থেকে ঘণ্টা খানিকের পর দুপুর ১২.০৭ মিনিটে ট্রেন ছাড়ল এবং ৩০ সেকেন্ড পরে আবার ট্রেন থেমে গেল৷ না, লাইনের কোন সমস্যা হয় নাই৷ এইবার কোন হালার পো নাকি চেন টানছে, তার মানে আবারও দেরী৷ অবশেষে আরও ১০-১৫ মিনিট পরে ট্রেন চলা শুরু করল৷ কিন্তু একি এ যে বাড়ি বাড়ি এক্সপ্রেস চলা শুরু করছে৷ স্পীড এত বেশী যে আনন্দিত না হয়ে পারলাম না সারাদিনের আলো থাকতে থাকতে গন্তব্যস্থলে টাংগাইল পৌছাতে পারব কিনা মনে সন্দেহ শুরু হল। মাত্র ৩.০০-৩.৩০মিনিটের যাত্রা করে সকাল ১১.০০ টার মধ্যেই পৌছিয়ে ১২.০০ টায় ক্যাম্পেইন শুরু করার কথা সেখানে বাঙ্গালী এবং রেল কতৃপক্ষ সু-দয়ায় প্রকৃতপক্ষে ১২.২৩ মিনিটে ট্রেন চলা শুরু করল৷ চলবে................... এই যাত্রা পথেই আরোও ঘটনা আছে সেগুলো শেয়ার করব শুধুমাত্র আপনাদের রিভিউের পরে৷ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।