আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যে যায় লঙ্কা, সেই হয় রাবণ!

Lead us from the unreal to the real; From darkness into light; From death into immortality

; আমি তাহাকে তাহার ও আগে হইতে চিনি। কিন্তু যা চিনি ভুল চিনি। না চেনা আর ভুল চেনার মাঝে শুধু 'মন খারাপ হওয়ার' তফাত মাত্র। চেনা আর অচেনার মাঝেও বিরাট তফাত। প্রতিদিন মাইকে যে শোকসংবাদ শোনেন তার কতটুকু খারাপ লাগে? কিন্তু যদি চেনা কারও শোকসংবাদ পান তখন? মানুষের খারাপ লাগাটাও চেনা অচেনা নির্ভর করে!

শুধু তাই না, চেনা অচেনা অনেক সময় নির্ভর করে নিজের আগ্রহের উপর।

'নার্ড' টাইপের বন্ধুকে ঠিক 'ড্যুড' টাইপের বন্ধুদের মাঝে অচেনা করে রাখতে হয়। আবার ঠিক কাজের সময় সেই 'নার্ড' টাইপের বন্ধুটিই হয়ে যায় 'বেস্ট বাডি!'

কিন্তু আমি তাহাকে এভাবে চিনি না। তিনি ভাল মানুষ। সবার সাথে হাসিখুশি। দেখা হলে সালাম দেন, কুশল বিনিময় করেন।

বাসার সবার খেয়াল রাখেন। নিয়মিত খেলা দেখেন। ধর্মে-কর্মে মন আছে তার। খুবই নম্র স্বভাবের। বাসে বৃদ্ধ এবং মহিলা দাঁড়ানো অবস্থায় দেখলে, নিজে বসা ছেড়ে উঠে গিয়ে তাদের বসতে দেন।

গান শোনেন। পড়াশোনায়ও ভাল। এত ভাল, ভাল গুণ দেখে তাকে বানানো হল আমাদের রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।

সব চোখ তার দিকে। এবার বুঝি বদলে যাবে জীবন।

ওই বুঝি বিজয়ের কেতন ওড়ে। এবার তো আমাদের সবার কথা সে শুনবেই। আর শুনবেই না কেন? সে তো আমাদের ই একজন!

পরদিন তিনি ঘুম থেকে ওঠেন। সবার চোখজোড়া তার দিকে। তিনি বললেন, 'এত কথা হুননের তো টাইম নাই।

আমি মেলা ব্যস্ত। ওই আমারে জুস দে। আর গাড়িটা বাইর কর। একটু গলফ খেইলা আসি। পরে কাজ করুম নে।

'

সেই 'পরে' আর আসে না। আর আসবেও না। আমি এমন অনেককেই চিনি। উহু! কথাটা হবে এমন অনেককেই চিনতাম। এখন আর চিনি না।



বিঃদ্রঃ আমার বাবা বলতেন, 'যে যায় লঙ্কা, সেই হয় রাবণ। ' কিন্তু বাবা মনে হয় এইটা জানতেন না যে রাবণের দিন আর কয়দিন! শেষ তো হবেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।