আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চার চুক্তি-সমঝোতায় স্বাক্ষর করবে সাত দেশ

মিয়ানমারে অনুষ্ঠেয় 'বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)'-এর সম্মেলনে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার বন্ধুভাবাপন্ন সাত দেশ তিন চুক্তি ও এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে। জ্বালানি, কৃষি ও পর্যটন বিষয়ে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সমঝোতা স্মারকটি হবে ঢাকায় সংস্থার সচিবালয় নির্মাণের বিষয়ে। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কর্মকর্তা পর্যায়ের অগ্রবর্তী দলের প্রতিনিধিরা গতকালই মিয়ানমার পৌঁছেছেন। সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সোমবার মিয়ানমারের প্রশাসনিক রাজধানী নেপিডোয় যাচ্ছেন।

জানা যায়- বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের সংস্থা বিমসটেকের তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলন শুরু হবে ১ মার্চ। ২ থেকে ৪ মার্চ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠক শেষে সদস্য দেশের মন্ত্রীরা বসে শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণা ও আলোচ্যসূচি তৈরি করবেন। এর পরই শুরু হবে মূল শীর্ষ সম্মেলন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্ক ও বিমসটেক অনুবিভাগের মহাপরিচালক আবদুল মোতালেব সরকারের নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের একটি অগ্রবর্তী দল গতকাল দুপুরে ঢাকা থেকে মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেয়।

আবদুল মোতালেব সরকার জানান, এবারের সম্মেলনে জ্বালানি, কৃষি ও পর্যটনের মতো তিনটি বিষয়ে চুক্তির প্রস্তুতি নিয়েছে সদস্য দেশগুলো। এর বাইরে ঢাকায় বিমসটেকের সদর দফতর স্থাপনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সমঝোতা স্মারক সই হবে। বিমসটেকের তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিমসটেকের স্থায়ী সচিবালয় প্রতিষ্ঠায় সমঝোতা স্মারক সই হবে। এ ছাড়া সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ আরও বাড়াতে আন্তঃবাণিজ্য সহজীকরণের কয়েকটি ঘোষণাও এতে দেওয়ার চেষ্টা চালাবেন শীর্ষ নেতারা। বছরে একবার শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা বসতে পারেন কি না, এমন প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, সম্মেলনের সাইড লাইনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দুই প্রতিবেশী দেশের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভারতের সংবিধান সংশোধন ও তিস্তা চুক্তি সইয়ের বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করা হবে। প্রাকৃতিক ও মানব সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তা বাড়াতে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিসটেক) নামে এ জোট হয়। পরে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান যোগ দিলে ২০০৪ সালে 'বিমসটেক' নাম করা হয়।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।