আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রসঙ্গ : নবী (স.) বিরোধিতা দূরে থাক তাঁর আগে আগে চলার পরিণাম সম্পর্কে আল-কোরআনের বাণী

স্ববিরোধিতা আমার পছন্দ নয়। সর্বদা স্রোতর পক্ষে চলা আমার স্বভাব নয়। সব পুরাতন বাতিল নয়। চলার পথে সহযাত্র্রীরা সম্পদ। পরামর্শের মত সাহায্য নেই।

সব চাইতে অসহায় সেই ব্যক্তি যার কোন ভ্রাতৃ-প্রতিম বন্ধু নেই। কিন্তু আরো অসহায় সেই ব্যক্তি যে এহেন বন্ধু পেয়ে হারায়

নবী (স.) বিরোধিতা দূরে থাক তাঁর আগে আগে চলার পরিণাম সম্পর্কে আল-কোরআনের বাণী :

সূরা আল হুজরাত:1 - 5 আয়াত।
(1) মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও রসূলের সামনে অগ্রণী হয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন।

(2) মুমিনগণ! তোমরা নবীর কন্ঠস্বরের উপর তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না।

এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না।

(3) যারা আল্লাহর রসূলের সামনে নিজেদের কন্ঠস্বর নীচু করে, আল্লাহ তাদের অন্তরকে শিষ্টাচারের জন্যে শোধিত করেছেন। তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।

(4) যারা প্রাচীরের আড়াল থেকে আপনাকে উচুস্বরে ডাকে, তাদের অধিকাংশই অবুঝ।

(5) যদি তারা আপনার বের হয়ে তাদের কাছে আসা পর্যন্ত সবর করত, তবে তা-ই তাদের জন্যে মঙ্গলজনক হত।

আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

এ আয়াতসমূহের অবতীর্ণ হবার (অর্থাৎ শানে নুজুল) বিষয়ে 1991 সনের জুন মাসে আধুনিক প্রকাশনী হতে প্রকাশিত সহীহ্ আল বুখারী হাদীস গ্রন্থের 6793 যা বর্ণিত হয়েছে :

ইবনে মুলাইকা থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, (মুসলমানদের) উম্মতের দুইজন সর্বোত্তম ব্যক্তির বিপন্ন হওয়া প্রায় আসন্ন হয়ে পড়েছিল। তারা হচ্ছে আবু বকর (রা.) ও উমর (রা.)। যখন বনু তামীমের প্রতিনিধি দল নবী (স.) এর নিকট আসলেন, (নেতা নির্বাচনের) বনু মুজাশেয়ে'র ভাই আকরা ইবনে হাবেছের নাম তাদের একজন (উমর) প্রস্তাব করেন, আর অন্যজন (আবু বকর) অন্য একজনের নাম প্রস্তাব করলেন।

অত:পর আবু বকর (রা.) উমর (রা.)কে বললেন, আপনার ইচ্ছা হলো কেবল আমার বিরোধিতা করা। উমর (রা.) বললেন, আপনার বিরোধিতার ইচ্ছা আমার আদৌ নেই। এ ব্যাপারটি নিয়ে তাদের মধ্যে নবী (স.) এর সম্মুখে উচ্চবাচ্য হতে লাগলো। তখন এ আয়াতটি নাযিল হয়। "হে ঈমানদারগণ! তোমরা নবীর আওয়ায. থেকে তোমাদের আওয়ায বড় করো না -................ আযীম "পর্যন্ত।

ইবনে যুবায়ের বলেন, অত:পর উমর (রা.)যখন নবী (স.) এর সাথে কথা বলতেন, গোপণ আলাপকারী সাথীর ন্যায় বলতেন (এত আস্তে বলতেন) যে নবী (স.) দ্বিতীয় বার জিজ্ঞেস করে না নেওয়া পর্যন্ত তার কথা শুনাই যেত না।

মন্তব্য : আমার মনে হচ্ছে হযরত ইবনে যুবায়ের (রা.) এর কথা সঠিক নয় -
(1) কারণ, একই সহীহ্ আল বুখারীর 6853 নং এ দেখা যায় হযরত উমর (রা.) নবী (স.)কে তাঁর ওফাতের আগের বৃহষ্পতিবারে ওসিয়ত লিখতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিলেন।
(2) কারণ, একই সহীহ্ আল বুখারীর 6165 নং এ দেখা যায় হযরত উমর (রা.) নবী (স.) কর্তৃক গঠিত খন্ড বাহিনীর নেতা হযরত উসামা বিন যায়েদ (রা.) এর আনুগত্য করতে আপত্তি করেছিলেন।
(3) কারণ, আর এটাও শোভন নয় যে নবী (স.) কারও সাথে কথা বলার সময়ে তাঁকে প্রতিটি কথা দুবার জিজ্ঞেস করে শুনতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।