আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্রাজিল,পাকিস্তানীদের মত আমরা কি দেশীয় গান বিশ্বদরবারে ছড়িয়ে দিতে পারব?



প্রাচীনকাল থেকেই বাঙালিরা গান পাগল জাতি। চট্টগ্রামের ভান্ডারি গান, মাঝিমাল্লাদের নৌকা চালানোর সময় ভাটিয়ালি গানের সুর, গাড়োয়ান দের ভাওয়াইয়া গান, হাসন রাজা, লালন ফকিরদের গান আমাদের সমাজের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ গুলো আমাদের ঐতিহ্য - কৃষ্টির বাই প্রোডাক্ট।

পশ্চিমাদের অনেক লোক লালন গানের ভক্ত। তারা অর্থ না বুঝলেও শুধুমাত্র সুরের কারণে এ গান শুনেন।

এতে নাকি এক ধরণের আধ্যাতিক ভাব আছে।

হুমায়ুন আহমেদের গল্পে প্রায় গ্রাম বাংলার গানের আসরের কথা শোনা যায়। শ্রোতাবৃন্দ অন্য জগতে হারিয়ে যায় কিছুক্ষণ চট্টগ্রামের গ্রাম অঞ্চলেও বিয়ে শাদি,ওরশ বিভিন উপলক্ষে ভান্ডারি গান করা হয়। প্রচুর জনপ্রিয় এ আসরে বিপুল পরিমাণ জনসমাগম হয় এবং অনেক রাত পর্যন্ত এ আসর চলে।

সংস্কৃতির সাথে গানের একটি গভীর সম্পর্ক আছে।

তাই দেখা যায়, এ দেশের মানুষ দের ইংরেজি গান তেমন ভালো লাগে না বরং ওদের সেরা গানগুলোও অনেক সময় খুব বিরক্তিকর বলে রায় দেয়া হয়। তেমনি আমাদের সেরা গান ও অনেক সময় তাদের কাছে বিরক্তিকর বলে মনে হয়।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের সংস্কৃতি,কৃষ্টির গান, প্রানের গানগুলো আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। বাউল শিল্পীরা ঠিকমত দুই বেলা খাইতেই পারে না। রবীন্দ্র শিল্পীরা এখনো ১০০ বছরের আগের গান নিয়েই পড়ে আছে, এ ধারার নতুন কোন গান বানাচ্ছে না।



কলকাতার আর্ট ফিল্মগুলো ইদানিং এ ধারার নতুন গান বানাচ্ছে। পুরানো গানগুলো ফিউশন করে এ ধরণের গান জনপ্রিয় করার চেষ্টা করছে।

কিন্তু বাংলাদেশী শিল্পীরা এখনো পশ্চিমাদের অনুকরণ করে যাচ্ছে। দেশীয় ধারার গান চর্চা না করে পপ, হিপ হপ, র‍্যাপ এসব নিয়ে পড়ে আছে।

আর এ দেশের ডিজুস প্রজন্ম জাস্টিন বিবার, লেডি গাগাদের ক্র্যাপ শুনে যাচ্ছে।

গান ভাল না লাগলে কি হইছে? কুল হতে হপে না ব্রো

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।