আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বলদ গুলা কতবার পৃথিবীকে ধ্বংস করেছে।

বলদ তো গাছে ধরে না। কিন্তু পৃথিবীতে যুগে যুগে বহুত বলদ এর আবির্ভাব হয়েছে। আর এই সব বলদ গুলো পৃথিবীকে বহুতবার ধ্বংস করেছে। আমিতো পুরা টাস্কিত হয়ে গেছি যে- বলদ গুলা কতবার পৃথিবীকে ধ্বংস করেছে। মাত্র কয়েকদিন আগে আমরা দেখেছি মায়ান ক্যালেন্ডার এর দোহাই দিয়ে কিভাবে পৃথিবীর শেয দিন নিধারন করা হয়েছিল বা বলা হচ্ছিল পৃথিবী ধংস হয়ে যাবে ।

এই ধরনের ভুয়া আশংকা এবারই প্রথম নয় বিভিন্ন বই এবং গবেষণা থেকে জানা যায় পৃথিবীর আদি কাল থেকে এধরনের আশংকা হাজার খানেক বার করা হয়েছে। সব গুলোর নিদিষ্ট তথ্য প্রমান আমাদের হাতে নাই কিন্ত যা আছে তা কম নয়। উকিপিডিয়া তে পৃথিবীর শেষ দিন অথবা এ শয়তানি যামানার শেষ দিন বলে আগের ২০০ টি এবং এ বছরের ২১ ডিসেম্বার এর টি মিলিয়ে ২০১ টির একটি লিস্ট পাবেন । এবং ভবিষৎ হতে পারে তার ১১ টির লিস্ট আছে । এই আশংকা গুলো কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

প্রথম ভাগে পড়ে -- **********ধর্মীয় কোন সঙ্কেতঃ যেটাকে ভুল ব্যাখ্যা করে একটা আশঙ্কার জন্ম দেওয়া। সঙ্কেত গুলো হয়তো ভুল না কিন্তু ব্যাখ্যা ভুল। ভুল বলছি এই কারনে যে- সে যাই হোক আশঙ্কাগুলো সত্য হয় নি। ***********জ্যোতিষির ভবিষৎবানী, এখানে উল্লেখ যে জ্যোতিষশাস্ত্র (Astrology) আর জ্যোতিবিজ্ঞান (Astronomy)এক নয় । জ্যোতিষশাস্ত্র নির্ভর করে কিছু সাইন, কিছু চার্ট এর উপর।

জ্যোতিষশাস্ত্র সব সময় আনুমান ভিত্তিক জ্ঞান, লেগে গেলে ফকিরের কেরামতি বাড়ে না লাগলে তখন অন্ন্য একটা অদৃশ্য কোন জিনিষের দোষ দিয়ে দায় এড়ানো হয় । *********** UFO বিশ্বাসী দের দেওয়া ভুল আশংকা, UFO সত্যি না মিথ্যা তা জানি না কিন্তু এই দল যে সব ডাটার ভিত্তি তে এসব ভবিষৎবানী করে, সেগুল তারা যা ভাবে তা নয় সেটা বলা যায় বলে আমার মনে হয়। সেই ধাঁধার মত- কালিদাস পণ্ডিত কয় যাহা ভাবিয়াছ তাহা নয়। *********** ঠাট্টা মস্করা করে দেওয়া ভবিষৎবানীঃ এ গুলো কিছুই না জাস্ট মজা করে একটা মিথ্যা আশংকা রটানো এবং পরবর্তী তে সেটা ছড়িয়ে যায় এবং প্রতিঠিত হয়ে যায় । আজকাল এটা হয় না।

প্রাচিনকালে যে সব আশংকা হয়েছিল তার অনেক গুলো এরকম ছিল । #####দ্বিতীয় ভাগে যে সব আশংকা গুলো পড়ে সেগুলো অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে ( আমি বলদ বল্লেও তারা সত্যিই বিজ্ঞানী আমি সরি ! বলদ বলার জন্ন্য ) কিছু সত্যিকারের বিজ্ঞানিরা এসব আশংকা করেছিলেন। • *আমাদের সবার প্রিয়, বিজ্ঞানী দের বস স্যার আইজাক নিউটন সম্ভাব্য পৃথিবী ধ্বংসর ভবিষৎবানী দিয়েছেন কয়েকবার ২০০০ সালে,২০৩৪ সালে এবং ২০৬০ সালে। • *উনি ছাড়াও এই ধরনের ভবিষৎবানী এসেছে যেমন- ম্যাথমেটিশিয়ান- মিশেল স্টিফেল – ১৫৩৩ সালের ১৯ অক্টোবার সকাল ৮ টা। ফিজিসিয়ান- হেলিসাইয়াস রোজলিন-১৬৫৪ সালে ।

ম্যাথমেটিশিয়ান- জন ন্যাপিয়ার –১৬৮৮ সালে একবার পরে আবার ১৭০০ সালে আরেকবার। ম্যাথমেটিশিয়ান- জ্যাকব বেরনাউলি –১৭১৯ সালের ৫ এপ্রিল। মজার এবং কয়েকটি উল্লেখ যোগ্য পৃথিবী ধ্বংসর ভবিষৎবানী হলঃ * শিল্ডন নিডল বলেছে ১৯৯৬ সালে ১৬০০০ স্পেসশিপ আসছে, ওই দিন পৃথিবীর শেষ দিন । নস্ট্রাডামুস বলেছে ১৯৯৯ সালের জুলাই মাসে আকাশ থেকে আতঙ্কর রাজা নেমে আসবে এবং এরই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর শেষ হয়ে যাবে। ন্যান্সি লিডের বলেছে ২০০৩ সালের মে মাসে নিবিরু নামের ১২তম গ্রহের সাথে আমাদের পৃথিবীর সংঘর্ষ হবে।

২০১০ এ একটি গ্রুপ বলছিল লার্জ হাড্রন কলিডের এর কারনে পৃথিবী কৃষ্ণ গহব্বরে শুষে নেবে। ২০১১ এ একটি গ্রুপ বলছিল এলিনিন নামের ধুমকেতুর প্রভাবে পৃথিবী কোটি কোটি টুকরা হয়ে যাবে। তবে • * *বেশিরভাগ ভবিষৎবানী এসেছে ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে। ক্রিশ্চিয়ান দের ক্ষেত্রে পোপ, সেইন্টস, বীশপ, কার্ডিনাল, প্রিস্ট, এবং ক্রিশ্চিয়ান ধর্মতত্ববিদ (Theologist ) দের কাছ থেকে এসব ভবিষৎবানী এসেছে। কমছে কম দু জন পোপ এর নাম উইকি তে পাবেন যারা এ ধরনের ভবিষৎবানী দিয়েছিলেন, প্রথমজন পোপ স্যেলভেস্তের দ্বিতীয় (Pope Sylvester II )১০০০ সালের জানুয়ারির ১ তারিখে পৃথিবীর শেষ দিন বলেছিলেন।

দ্বিতীয়জন হলেন পোপ ইনোসেন্ট তৃতীয় (Pope Innocent III )১২৪৮ সালের কোন একদিন পৃথিবীর শেষ দিন বলেছিলেন। • *ক্রিশ্চিয়ান দের দিক থেকে বেশি ভবিষৎবানী আসলেও অন্য ধর্মাবলম্বী যেমন,প্রাচিন রোমান ধর্ম, জিউইস, বাহা’ই, নেশন অফ ইসলাম ,(ভুল করবেন না এটা মুল ইসলাম না এটা নতুন একটা ধর্ম),মন্টানিস্ট, জোয়াছিমিটিস্ট, আনাব্যাপটিস্ট, ফিফথ মনারকিস্ট, চিলড্রেন অফ গড, ইভানগালিস্ট,জিহভাস উইটনেস, পিপলস টেম্পল, চার্চ অফ দা ফাস্টবর্ন, বাইবেল স্টুডেন্ট মুভমেন্ট, সেভেন্থ-ডে এডভেনটিস্ট, ঘোস্ট ড্যান্স, আরও বেশ কিছু ছোটখাট অপরিচিত ধর্মাবলম্বী দের দিক থেকেও এক বা একের অধিক বার এ ধরনের ভবিষৎবানী এসেছে। • *কোন কোন বাক্তি একের অধিকবার পৃথিবী ধ্বংসর ভবিষৎবানী দিয়েছে। এই বাপারে রেকর্ড করেছে বাইবেল স্টুডেন্ট মুম্ভমেন্ট, কমছে কম ৮ বার যথাক্রমে ১৮৭৪, ১৮৭৮, ১৮৮১, ১৯১০, ১৯১৪, ১৯১৬, ১৯১৮ এবং ১৯২০ সালে পৃথিবীর শেষ দিন বলে ভবিষৎবানী দিয়েছে। ৮ বার ভবিষৎবানী দেবার পর এই গ্রুপ ভেঙ্গে ৪ টি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়, তাদের একটা গ্রুপ নতুন নাম নেয় জিহভাস উইটনেস পরবর্তীতে এই গ্রুপ আবার ৪ বার ভবিষৎবানী দেয় যথাক্রমে ১৯৪১, ১৯৬৬ ,১৯৮৪ ২রা অক্টোবার, ১৯৯৪ এবং ২০০০ সালে।

হেরবের্ট ডবলু আর্মস্ট্রং ও ৪ বার ভবিষৎবানী দেবার রেকর্ড করেছে। যা হোক এসব বিষয়ে অনেক তথ্য আছে যা লিখতে গেলে বড় বই লিখে ফেলা যাবে। আমার এক বড় ভাই বলেছে ব্লগে এক পাতার বেশি লিখবা না- কারন তার বেশি কেউ পড়ে না। শেষ কথা যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ। তথ্যসুত্র ইন্টারনেট।

মেইনলি উইকি।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।