আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আপনি যখন চাকরি পাবেন না, তখন কি করবেন?


আসসালামুআলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। অনেক দিন পর আবার একটা পোষ্ট লেখার সময় পেলাম। আসা করি সবার ভালো লাগবে। এই পোষ্টটি যারা ছাত্র বা বেকার তাদের জন্য।


গতকাল প্রথম আলোতে একটা নিউজ দেখলাম তা হলো উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যে বেকার বেশি। আর এদের ভেতর অধিকাংশ ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়ার । বলেনতো কেন এই সংখ্যাই ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়ার বেশি। করন মিস্ত্রি দিয়ে যে কাজ হবে সেখানে ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে কি হবে?আর হাতুরে ডাক্তার থাকতে অরিজিনাল ডাক্তার দিয়ে কি হবে?কয়েক দিন আগে ইন্ডিপেনন্ড চ্যানেল এ টালাস অনুষ্ঠানে দেখলাম ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার প্রফেসনালী ডাক্তারী করে এ হলো দেশের আবস্থা।
এর উত্তর হয়তো আপনি অনেক কয়টা পাবেন।

আমিই এর উ
ত্তর দেই –
১.আমার মামা বা চাচা নেই তাই।
২.আমার টাকা দেওয়ার সামর্থ নেই মানে ঘুষ।
৩.আমি কোন রাজনৈতিক দল করি না।
৪.আমার অভিজ্ঞতা নেই তাই।
ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ।


এবার আসা যাক আপনার তো চাকরি হলো না যাদের এ সুযোগ সুবিধা আছে তারা কে কোথাই চাকুরি পেল? বর্তমান সময়ে একজন বিবিএ মানের ছাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে চাকুরি পায় তাও আবার টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে সুতরাং এথেকে বোঝা যাচ্ছে কোন দিন ডাক্তারাও ব্যাংক বা অন্য কোন চাকুরির দিকে ঝুকে পরবে শুধু মাত্র এই অনিয়ম এর কারনে। আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না করন এ সংকট আমাদের তৈরি তাই আমাদেরই সমাধান করতে হবে। যাই হোক ভুলেজান এসব কথা এখন কাজের কথাই আসা যাক।

একটু বুদ্ধি খাটিয়ে চিন্তা করেন উত্তর পেয়ে যাবেন। উত্তর গুলো কি হবে চুরি,ডাকাতি,ছিনতাই না আরো খারাপ কিছু?না ব্যবসা করবেন?কিন্তু টাকা কই?কি বাবা দিবে?তাহলে লাভ কি হলো এতো পড়ালিখা করে?সবসময় মনে রাখবেন একজন বেকার যুবক এক জন ঘুষখোর চাকরি জীবি ব্যক্তির থেকে হাজার গুন ভালো।

সুতরাং হতাস হবেন না এই পৃথিবীতে যেমন খারাপ দিক আছে তেমনি ভালো দিক ও আছে। সুতরাং এখনও আপনার কাছে অনেক ভালো কাজ আছে ,খালি একটু বুদ্ধি খাটাতে হবে। এখন যারা বেকার তাদের কাছে একটা সুবিশাল উপার্জন এর পথ খোলা আছে তা হলো কম্পিউটার। এখন হয়তো আপনাদের অনেকেই মনে মনে ভাবছেন এটা তো জানি। আমি বলবো যে, আপনি কিছুই জানেন না যদি জানতেন তবে নিজেকে বেকার প্রমান করতেন না।


তাহলে আসুন কি ভাবে কি করলে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে তা নিয়ে আলোচনা করি। আমরা প্রায় সবাই কম বেশি কম্পিউটার এর উপর জ্ঞান আছে। তাই এটা নিয়ে বিস্তারিত আর বলার কিছু নাই।
১.ইংরেজিতে মটামুটি ভালো হলেই চলবে।
২.কম্পিউটার এ টাইপিং ভালোবাবে জানতে হবে।


৩.ইন্টারনেট সম্পর্ক্যে ধারণা থাকতে হবে।
১.প্রফেসনাল টাইপিষ্ট।
২.ডিজাইনার মানে গ্রাফিক্স,ওয়েব ইত্যাদি।
৩.ব্লগিং বা ওয়েব সাইট পরিচালনা।
৪.ডেভলোপার-ওয়েব,ওরাকল,জাভা,অ্যানড্রয়েড ইত্যাদি।


৫.মাকেটিং-ইমেলে,এফিলেট মার্কেটিং,ফেসবুক,টুইটার,ইভেন্ট মেজেমেন্ট ইত্যাদি।
আরো অনেক বিষয় আছে যে গুলো শিখে আপনি নিজে অথবা কোন ফার্ম এর কাজ করতে পারবেন। আর না পারলে ফ্রিলেন্সিং তো আছেই যে খানে কেই কারো বস না। আপনি নিজেই আপনার বস।
 
অনেক আইটি ফার্ম আছ যারা এই কাজ গুলো করে কোটি কোটি টাকা আয় করে।

যদি কখনও টাইম পান একবার Freelance,Elance,Odesk
ইত্যাদি সাইট গুলো থেকে দেথে নিতে পারেন না হলে TechtunesFreelance,Elance,Odesk ইত্যাদি সার্চ করেন অনেক আর্টিকেল পেয়ে

যাবেন। এখন আপনার কাজ হলো যে কোন একটি পছন্দের কাজ বেছে নিয়ে নেট থেকে বা বই পড়ে বা কোন ট্রেনিং সেন্টার থেকে বা বড় ছোট যে ভালো জানে তার সহায়তা নিয়ে মাঠে নেমে পরতে হবে না হলে বেকারত্ব কোন দিনও যাবে না।
এই Techtunes এ এখন অনেক টিটি আছে যারা অনেকেই হয়তো ১০ম শ্রেণীতে পরে তারাও হয়তো টুকিটাকি অনলাইন আর্নিং এর সাথে জড়িত। তাহলে বঝতে পারছেন কাজ কেমন কঠিন। কঠিন

নাই তা না অন্য কাজের থেকে সহজ কিন্তু ধর্য্য লাগবে আর আপনি যখন প্রফেসনাল হয়ে যাবেন তখন প্রতিদিন ৫-৬ ঘন্টা কাজ করে ১০-১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন(মানে প্রতিদিন
 
  ৭০০-৭০০০ টাকা)কাজের উপর নির্ভর করে এর থেকে বেশিও করতে পারেন।

তাই আর দেরি না করে কাজে নেমে পরেন এক সময় দেখবেন টাকা উপার্জন এর অনেক পথ আপনার সামনে খুলে যাবে। হয়তো ৫-১০ বছর পর আপনিই হয়ে যাবেন কোন একটি কোম্পানির মালিক। তাই বেকারত্বকে বুকে আগলে না রেখে সামনে এগিয়ে জান দেখবেন তখন আর কোন মামা,চাচা লগবে না,বরং মামা,চাচা আপনার কাছে সাহয্যের জন্য আসবে।

আমার লেখা পরে কেউ যদি কষ্ট পান তবে আমি sorry.আর কারো যদি উপকারে আসে তবে আমি নিজেকে ধন্য মনে করবো। তাহলে আজ এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকেন আর আমার জন্য দোয়া করেন আমি যেন ভালো থাকি।

আমার লেখা ব্লগ দুইটিতে পারলে ঘুরে আসতে পারেন। ধন্যবাদ।

সোর্স: http://www.techtunes.com.bd

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।