আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভোট ও জোটের জন্য জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিসবাহুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, ভোট ও জোটের জন্য জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। কেউ যেন জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না দেয় সে জন্য চাপ সৃষ্টি করতে হবে। দেশের আলেম-ওলামাদের নিয়ে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জঙ্গিবাদ নির্মূলে সরকারকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে চলমান সংকটের প্রেক্ষাপটে গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এদেশের মানুষ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। দেশে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনসমর্থন গড়ে তুলতে হবে। এর আগে মসজিদ মাদ্রাসায় ইমাম সাহেবরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিলেন। এটা আরও জোরদার করা দরকার।

মিসবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলের ক্ষেত্রে আগে দেখতে হবে জঙ্গিবাদের উৎপাদনকারী কারা, জনক কারা।

তাদের আগে শনাক্ত করতে হবে। যারা জঙ্গিবাদের জনক তারাই তাদের অর্থ সহায়তাকারী। জঙ্গিবাদের অর্থের উৎস বন্ধ করতে পারলে জঙ্গি তৎপরতা অনেক কমে যাবে। জঙ্গি কর্মকাণ্ড চূড়ান্তভাবে বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নয় এমন প্রস্তাবের জবাবে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান বলেন, যারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাদের নিমর্ূলের অপেক্ষায় নির্বাচন শর্তযুক্ত না রেখে তাদের নির্বাচন করতে না দেওয়ার বিষয়টি ভাবা যেতে পারে।

বিএনপির সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা এবং বর্তমান বাস্তবতায় তাদের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলা ভাই, আবদুর রহমানদের অস্বীকার করেছিল বিএনপি। তখন জাতীয় সংসদে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী বলেছিলেন, দেশে বাংলা ভাই, ইংরেজি ভাই বলে কিছু নেই। বিএনপি তখন তাকে সমর্থন করেছিল। পরে তারাই জঙ্গিদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি, বিএনপি জঙ্গিবাদী দল নয়।

ভোটের জন্য তারা জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। জনবিচ্ছিন্ন হতে না চাইলে বিএনপিকে জঙ্গিদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে। জঙ্গিবাদ নিমর্ূলে সরকারের করণীয় উল্লেখ করে মিসবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত দুই টার্ম জঙ্গি নিমর্ূলে ব্যাপক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে আরও তৎপর রাখতে হবে। তিনি বলেন, জঙ্গিদের শুধু আটক করেই দায়িত্ব শেষ করা যাবে না।

তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা সরকারে নেই কিন্তু মহাজোটে আছে, যেমন বামপন্থি ও ইসলামী পন্থিদের জঙ্গি বিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে হবে।

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান বলেন, জঙ্গি উত্থানের বিরুদ্ধে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করতে হবে। এখন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। জঙ্গিবাদ দমনে আন্তর্জাতিক সমর্থন জরুরি।

প্রয়োজনে সরকারকে লবিস্ট নিয়োগ করতে হবে। তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, জঙ্গিবাদের ওপর সরকারের আলাদা গবেষণা সেল থাকা উচিত। সব শ্রেণী পেশার মানুষ নিয়ে এ সেল তৈরি করে জঙ্গিদের বিস্তার রোধে নিয়মিত কাজ করতে হবে।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।