রোববার ওই দুজনকে বগুড়ার প্রিন্সিপাল অফিসে বদলি করা হলেও সোমবার তাদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সোনালী ব্যাংক বগুড়া জোনের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আব্দুস সামাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সুড়ঙ্গ খুঁড়ে সোনালী ব্যাংকের আদমদীঘি শাখা লুটের ঘটনায় ব্যবস্থাপক শামছ উদ্দিন ও ক্যাশিয়ার আশরাফুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার বিকালে আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে সুড়ঙ্গ কেটে সংলগ্ন সোনালী ব্যাংকের শাখা থেকে টাকা লুটের বিষয়টি ধরা পড়ে।
লুটের ঘটনায় সেদিন রাতেই ডিজিএম আব্দুস সামাদ বাদি হয়ে আদমদীঘি থানায় কারো নাম উল্লেখ না করে একটি মামলা করেন।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববার পর্যন্ত পুলিশ ওই দুই কর্মকর্তাসহ ১২ জনকে আটক করলেও চারজনকে ছেড়ে দেয়।
সোমবার পুলিশ বাকি আটজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০দিনের হেফাজতের আবেদন আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এই ঘটনা তদন্তে সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আদমদীঘি বাসস্ট্যান্ডের পাশে বিপ্লব ফার্নিচারের দোকান থেকে সুড়ঙ্গ কেটে সংলগ্ন সোনালী ব্যাংকের শাখার ভল্ট থেকে ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা লুট করে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার বিকালে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. শামছ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থীদের টাকা লেনদেনের জন্য সোনালী ব্যাংকের সব শাখা শনিবার খোলা ছিল। তবে ব্যাংকে লেনদেন হয়নি।
“বিকাল ৪টার দিকে ব্যাংক থেকে যাওয়ার পথে ভল্টের কাছে চেক করতে গিয়ে দেখতে পাই ভল্ট খোলা। পরে পুলিশসহ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাই। ”
বৃহস্পতিবার ব্যাংক বন্ধ করার সময় ভল্টে ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৭ টাকা রেখে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি।
পরে রাতে ভল্টের আশপাশ ও সুড়ঙ্গের ভিতরে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় এক লাখ ৭২ হাজার ১৮৪ টাকা পাওয়া যায়।
এর আগে ২৬ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ শহরে সোনালী ব্যাংকের অফিসে সুড়ঙ্গ খুড়ে ১৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা চুরি হয়।
দুদিনের মাথায় এই চুরির মূল হোতা সোহেল ওরফে হাবিবসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের কাছ থেকে চুরির ১৬ কোটি ১৯ লাখ ৫৬ হাজার ৬৪ টাকা উদ্ধার করা হয়।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।