আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বগ কেমিস্ট্রি

বগ বডি আবিষ্কারের পর থেকেই এর রহস্য উন্মোচনের জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন বিজ্ঞানীরা। এখনো বিজ্ঞানীদের গবেষণা অব্যাহত রয়েছে। এটা নিশ্চিত যে, বগ বডি তৈরি হয়েছে নেহায়েতই প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালে। এর সঙ্গে মানুষের মমি তৈরির প্রক্রিয়ার কোনো প্রকার সম্পর্ক নেই। এটি মূলত প্রাকৃতিক-রাসায়নিক অভিনব একটি পদ্ধতির সংমিশ্রণে তৈরি হয়।

গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বগ বডি তৈরি বা মৃতদেহ সংরক্ষণের কাজটি করে মূলত 'পিট বগ' বা এক ধরনের জলজভূমি। এ ধরনের জমি পানিতে পচানো ও আংশিকভাবে অঙ্গারীভূত উদ্ভিজ্জ পদার্থে ভর্তি থাকে। এ ধরনের উদ্ভিজ্জ পদার্থকে বলে 'পিট'। এই পদার্থের কারণেই হাজার হাজার বছর ধরে অবিকৃত থেকে গেছে এসব মানবদেহ। বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি বিভিন্নভাবে মৃতদেহকে সংরক্ষণ করতে পারে।

যেমন বেশিসংখ্যক পিট উদ্ভিদের উপস্থিতি এবং লবণাক্ত পানিতে তৈরি বগ বডিগুলো তুলনামূলকভাবে অভিনব এবং অবিকৃত মমি তৈরি করতে সক্ষম। একই ধরনের পদার্থের অভাবে রাসায়নিকভাবে মমি তৈরি প্রক্রিয়া কিছুটা বিঘি্নত হলে মমিগুলো খানিকটা বিকৃত হয়ে পড়ে।

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/index.php     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।