আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১৪ দলীয় জোট ছাড়ছেন মেনন

ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট কী ছাড়ছেন রাশেদ খান মেনন! কারণ একজন প্রবীণ নেতা এবং তার (মেনন) নেতৃত্বে ৭ দলীয় জোট গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গতকালও ৭ দলীয় জোটের এক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন রাশেদ খান মেনন। সভায় বিভিন্ন দাবিতে ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ নিয়ে রাশেদ খান মেননের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ৭ দলীয় জোটের শরীক এক দলের নেতা জানান, এক বছর ধরে মেননের নেতৃত্বে ৭ দলীয় জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

তবে ওয়ার্কার্স পার্টি ও গণতন্ত্রী পার্টি ১৪ দলীয় জোটে থাকায় এতোদিন ৭ দলীয় জোট গঠন সম্ভব হয়নি। বিলম্বে হলেও ৭ দলীয় জোটের রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। স্টাফ রিপোর্টার : ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে শহীদ আসাদা মিলনায়তনে ৭ দলের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৩১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ৭ দলের সভাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। জামায়াত- শিবির, বিএনপি কর্তৃক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানোর এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মের ব্যবহার ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, তাজরীন ফ্যাশন গার্মেন্টেস অগ্নিকা-ের জন্য দায়ী মালিক, কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেফতার ও শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ক্ষতিপূরণ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার ও ন্যায্য মজুরির নিশ্চিত করা, পার্বত্য চট্টগ্রামের চুক্তি বাস্তবায়ন করা আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও জমির অধিকার দিতে হবে।

বাড়ি ভাড়া, রেল ভাড়া, বাস ভাড়া, কৃষকের উৎপাদিত ফসলের লাভজনক মূল্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা, জনজীবনের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ। বাংলাদেশকে ঘিরে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানো, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ’র নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করা। বিশ্বজিৎসহ সকল সন্ত্রাসী হত্যা-হামলার বিচার করা। উপরোক্ত দাবির ভিত্তিতে ৭ দল দেশব্যাপী আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলবে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ৭ দলের সভায় উপস্থিত ছিলেন গণঐক্যের-সমন্বয়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সদস্য সচিব এসএম সবুর, নেহেরুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক, পলিটব্যুরোর সদস্য বিমল বিশ্বাস, কামরুল আহসান, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতিম-লীর সদস্য ডা. শহিদুল্লাহ শিকদার, ডা. শাহাদত হোসেন, শহীদুল ইসলাম বাবলু, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংহতির নেতা দীপায়ান খীসা, গণআজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সমীর শিকদার, সাম্যববাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।