আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লাড-ব্যাঙ্ক

আমি শূন্যে ভাসতে থাকলাম। পাশে তরতর করে নৌকার পালের মত পার হয়ে গেলো এক ঝাঁক মেঘ। আমি মেঘ ছুঁতে চাইলাম। ধুর শালা! মেঘ গুলো গাছের মগডালে ঝুলতে থাকা আমের মত নাগালের বাইরেই থেকে যাচ্ছে। আমি চেষ্টা করছি, আর চেষ্টা করছি; কিন্তু মেঘের নাগাল পাচ্ছি না।

হাত বাড়াতে চাইলাম আরও। পারছি না, পারছি না। আমি ক্রুশ-বিদ্ধ যীশু হয়ে গেছি। কেউ যেন আমার হাত দুটো সাথে পেরেক মেরে আটকে দিয়েছে ক্রুশের গায়ে, যেমন করে ছুতারেরা কাঠের সাথে কাঠ আটকে দেয় ঠকাঠক পেরেক মেরে।

কোথায় শব্দ হচ্ছে।

আমি শুনতে পাচ্ছি। কোথায়? কোথায় শব্দ হচ্ছে? কিছুই বুঝতে পারছি না। কেউ যেন লো স্পীডের টেপ হাই স্পীডে চালিয়ে দিয়েছে রেকর্ড প্লেয়ারে। নীচে ধান ক্ষেত, নদী-নালা, বন বনান্তর। আমি উড়ছি আর উড়ছি ড্রোনের মতো।

অথবা প্লেনের জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছি বাইরে।

কে শব্দ করে? চুপ, শালা একেবারে চুপ। না হইলে খবর আছে। আমার প্যান্টের পকেটে কি আছে জানস? নিশানা কইরা খালি এক খান টিপ মারন। তার পর ...।

কি কথা কছনা ক্যান? রাগে আমার সারা শরীর অঙ্গারের মত জ্বইলা যায়। কে রানা? তুই না রেবের প্যাঁদানি খাইয়া ইন্ডিয়া চইলা গেছিলি? আইলি কবে? মুরগী, ডরাস কেন? ডরানের কি আছে? আমি থাকতে কোন হালার মাথার উপর কডা মাথা আছে যে তোর গায়ে হাত দিবো! চা খা। এই পিচ্চি, ডাবল পাত্তি দিয়া দুইডা চা দে, ঘন দুধ দিয়া। চিনি দিবি দুই চামুচ কইরা। কাপ গরম পানি দিয়ে ধুইয়া নিবি।



আরে হাশেম মিয়া, তুমি হালায় চা দোকান দিলা কবে? সাহস কেমুন তোমার! আমার পিছনে বারেক রে লাগাইয়া দিছিলা। তারে বিশ হাজার টাকা দিলা আমারে শায়েস্তা করনের লাইগা। আরে মামু, চুরি চামারী কইরা টাকা কামান শিখলা, কিন্তুক মানুষ চিনন শিখলা না। তোমার আমও গেল, ছালাও গেল। বারেক আমারে সব কইয়া দিছে।

এহন তুমি বাড্ডায় লোহার গেইটের পিছনে বইসা বুড়া আঙ্গুল চুসতাছ। গেইটের বাহিরে চার জন খাকী তুমারে রাইত দিন পাহারা দেয়। ফখরুদ্দিন হালায় আহনের পর বান্দরের লাহান খুব লাফ ঝাপ দিছিলা। এখন কই গেল তোমার লম্ফ ঝম্প? কোন গাতায় যাইয়া ইন্দুরের লাহান লেজ গুটাইয়া লুকাবা? তোমার খবর আছে চান্দু, খবর আছে।

আরে, ফুলের ঘ্রাণ আসে কোথা থেকে? আতর লোবানের ঘ্রাণ নয়, একেবারে আসল তরতাজা ফুলের সুবাস।

কেউ যেন আমার বিছানার চার পাশে ফুল ছিটিয়ে দিয়ে গেছে। ছোট কালে, যখন গ্রামে থাকতাম, সকাল বেলায় দেখতাম, শেফালী গাছের নীচ তারায় তারাময় হয়ে আছে। কত দিন শেফালী ফুল দেখিনি। কত দিন আকাশের ক্যানোপির নীচে তাল তলার পুকুরের আয়নায় নিজের মুখ দেখিনি। কত দিন মোল্লার বিলে নত হয়ে থাকা বিশাল আকাশ দেখিনি, বিলের জলে মাথা তুলে রাখা পাট গাছের সারি দেখিনি।

দূরে কোথায় আলো জ্বলে আর নিভে, জ্বলে আর নিভে। আমার মাথার মধ্যে কোটি তারার ঝিলিমিলি। আমার দারুণ তৃষ্ণা পেয়ে যায়। আমি উঠতে চেষ্টা করি। আমার সারা শরীরটা বিছানার সাথে আটকে থাকে আঠার মত।



আরে বীথি, তুমি এইখানে? তাইতো কই, এমুন ফুলের ঘেরান আহে কোনহান থেইকা। রাজেন্দ্র পুরের শাল গাছ গুলানরে এক খান কথা কইয়া আসছি বীথি। তোমার সবাই মিলা পুকুরের পাড়ে বইসা শীতের বিকাল বেলার রইদে আড্ডা দিতাছিলা। আমারে কেউ ডাকলা না। আমার অবস্থা সোন্দর একখান পাখী দেখনের মত।

কাছে যাইতে মন চায়, আবার যাইতে পারিনা, পঙ্খী যদি উড়াল দেয়। ওরে পঙ্খীরে ...কোন বা দেশে গেলা উইড়ারে ......।

ধুর, আমি আমজাদ আলী এক খান মানুষ আর আমার এক খান কথা। সামনে সবাই সালাম দেয়, পিছনে বাপ মা তুইলা গাল পাড়ে; তা কি আমি জানি না। কি করি কও বীথি।

লেখাপড়া তো ছাইড়া দিছি , এইস,এস,সি পাশ কইরা, সেই কোন কালে। বাপের বড় আশা আছিল, আমারে ডাক্তার বানাইবো; কিন্তুক হইলাম কি? নেশা ধরছি একখান বড়লোকী নেশা। টাকা কোনহান থেইকা আহে, সবাই জানে। কিন্তু, কি করুম কও। আমি না হয় একখান বদ মানুষ, কিন্তু তোমাগো ভদ্দর লোকগো কেলাব চলে কেমনে? আমার নাম দিয়া চান্দা উঠায় না? সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের স্যুভেনিরের বিজ্ঞাপন আসে আমার নাম ভাঙ্গাইয়া।

আর ভদ্দরলোক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পিছনে থুক ফেলে আমার নাম লইয়া।

ক্লাবের কবিতা আড্ডার আসরে আমার যাওনের কথা না। তোমরা হইলা সব জ্ঞানী গুণী মানুষ; সমাজের মান্যগণ্য লোক। সেই খানে আমার মত বুলেট আমজাদরে কি মানায়? গোলাপবাগে কি কচুরী পানার বসত হয়? তবুও কি মনে কইরা সভাপতি সাব আমারে দাওয়াত কইরা ফালাইলো। সামনে একটা ফাংশান আছে বোধ হয়; টেকা তুলন লাগবো।

ফাংশানের দিন পাড়ার মাস্তান ঠেকানো লাগবো। আর আমি হালা কবুল কইরা ফালাইলাম। কতজনই তো আমারে, থুক্কু আমার পিস্তলরে খাতির করে। আমার রাজত্ব হইলো গদ্যময়। কি কাম আঁতেলগো পেঁচাল শুননের লাইগা রাজেন্দ্রপুর যাওন? আমি যাইতাম না বীথি; গেলাম তোমার লাইগা।



হাসতাছ বীথি, হাসনের কথা না। সেই যে কইছি, আমার অবস্থা সোন্দর একখান পাখী দেখনের মত। কাছে যাইতে মন চায়, আবার যাইতে পারিনা, পঙ্খী যদি উড়াল দেয়। তোমার কাছে যাইতে মন চায়, কিন্তু সাহসে কুলায় না। আমার অবস্থা দেইখা রানায় কইলো, আমজাদ ভাই, খালি হুকুম করেন, বীথি শালীরে উঠাইয়া লইয়া আহি।

আমি হুঙ্কার দিয়া কইলাম, মুখ সামলাইয়া কথা ক রানা। তুই আমার লগে আছস বহু দিন ধইরা; তাই ছাইড়া দিলাম। অন্য কেউ হইলে এক্ষুনি খুলি উড়াইয়া দিতাম। বীথির নাম তাজিমের সাথে লইবি।

কি বললে বীথি? সারা পাড়া আমার ভয়ে কাঁপে, আর আমি তোমাকে ভয় পাই? সত্যি বীথি, আসলে ভয় পাই।

তোমার একটু দেখার জন্য তোমাদের গানের রিহার্সালে যাই, স্যুভেনিরের বিজ্ঞাপন যোগাড় করে দেই। তোমাকে একটা কথা বলতে চাই, কিন্তু সাহসে কুলায় না। কত দিন চেষ্টা করেছি; মনে মনে কথাটা আউড়েছি। তোমরা যখন সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছিলে, আমি শাল বলে হারিয়ে গেলাম। দূর থেকে দেখলাম, তোমার মুখে পড়ন্ত সূর্যের আলো পড়ছে।

তোমাকে যে কথাটা বলতে পারিনি, শাল গাছকে তাই বললাম। কি বললাম, শুনবে? হাসবেনা কিন্তু। বললাম, কোন এক কবি বলেছে, প্রেমিকার গালের তিলের জন্য বোখারা সমরখন্দ দিয়ে দেবে। কিন্তু, আমার তো বোখারাও নাই, সমরখন্দও নাই; আমি কি দেব? বললাম, আমি আমাকেই দিয়ে দেব। প্রতিদানে আমার কিছু চাই না বীথি।

তুমি যদি বল, আমি সব ছেড়ে দেব। শুধু তোমার জন্য।

যেই দিন মাশুকরে পুলিশ হাজতে নিলো, রানা পলাইলো ইন্ডিয়া। হালা মুরগী! রুজি রোজকার বন্ধ। গা ঢাকা দিয়া থাকলাম কিছু দিন।

কপাল গুনে খুন-খারাবির খাতায় নাম উঠে নাই। মাঝে সাঝে ছুরি চাক্কু চালাই বটে। পিস্তলও একখান আছে, তবে ওইটা ভয় দেখানোর লাইগা; গুলি নাই। তাই বাঁইচা গেলাম। ভাবলাম, রাস্তা বদলাই।

ধুর, জং ধরা দাও দিয়া কি বটগাছ কাটন যায়? বিদ্যা নাই, চাকরী দিবো কেডায়? বাড়ীতে বাপ ধমকায়, ভাইয়ে রাগ দেখায়, মায়ে খাওনের খোটা দেয়। কপাল! হাতি গাড্ডায় পড়লে চামচিকাও লাত্থি মারে। আর না পাইরা মাঠে নামলাম আবার। রানা হালায় পলাতক, জব্বর হালায় মহা আনাড়ি। কই একখান, করে উল্টাটা।

কি আর করা; ঠেকার নাম বাবাজি। টেকা না থাকলে বেরেইন শেষ রাতের মীরপুর ষ্টেডিয়াম।

কিন্তুক কামটা করুম কখন? তামাম ঢাকা শহরের মানুষ অনিদ্রা রোগী। সারা রাইত রাস্তা পাহারা দেয়। তার উপর গারমেন্ট গুলান হওনে, ঢাকা শহরের রাস্তায় সারাক্ষণ মানুষের মিছিল লাইগাই আছে।

যা থাকে কপালে। জব্বররে কইলাম, সাজু হালায় দোকান বন্ধ কইরা বাড়ী যাওনের পর কামডা সারন লাগবো। হে দোকান বন্ধ করলে কোনাডা অন্ধকার হইয়া যায়। যায়গাডায় গায়ে গতরে মোডা সোডা, ব্যবসায়ী গোছের যারেই পাওন যায়, সাজু পিছন থেইকা তারে ঝাপ্টাইয়া ধরবো; আমি পকেট হাতাইয়া যা পাই, তাই নিয়া সটকাইয়া পড়ুম। দিন কাল খারাপ; খুন জখম নিষেধ; তবে চড় থাপ্পড় জায়েজ।

হালা জব্বর, জব্বর বেকুব, পইলা দফাতেই দিল কেচাল লাগাইয়া। ঝাপ্টাইয়া ধরবো কি, নিজেই লাত্থি খাইয়া চিৎপটাং। আমার রক্ত মাথায় উইঠা গেল। দিলাম পিছন থেইকা চাক্কু চালাইয়া। তাড়াতাড়ি পকেটে যা পাইলাম, নিয়া পগার পার।

বউনি মন্দ হইলো না। আস্তানায় ফিরলাম তিন বোতল ফেন্সিডিল লইয়া। জব্বার গ্লাসের মধ্যে কি দিয়া ফেন্সিডিল ঢাললো। আহারে, চুমুক দিয়া কি শান্তি; গলাডায় আগুন ধইরা গেল কতদিন পরে। আস্তানাডা চিনেন আপনারা? ভাই সব, না চিনলে চিনাইয়া দেই।

হারুন তালুকদার বাড়ী বানাইতাছে। দারোয়ানরে ধমক দিয়া তিন তলায় একডা ঘর দখল করছি। চুন সুরকির পাগল করা গন্ধ। দরজা নাই, জানালা নাই, ইলেকট্রিক নাই। আমি হইলাম আন্ধারের মানুষ; আলো দিয়া কি কাম? ঢেউ টিন দিয়া দিছি জানালা আটকাইয়া।

বাদশাহ আমজাদের শাহী মহল।

মাথাটা ছিঁড়ে যাচ্ছে আমার। কারা যেন আমার মাথার দু পাশে দুটো হুক লাগিয়ে রশি বেধে টাগ-অব-ওয়ার খেলছে। হো হো করে হাসছে কেউ। চুপ, চুপ! হাসা বন্ধ।

ভাই সব, এটা হলো হবুচন্দ্রের ভাই নবুচন্দ্রের দেশ। হবুচন্দ্রের দেশের নিয়ম ছিল, কাঁদতে কেউ পারবে নাকো, যতই মরুক শোকে; আর নবুচন্দ্রের দেশে নিয়ম জারী করলাম, হুতুম প্যাঁচা দিব্যি দিল, তাই আমাদের হাসতে মানা। সবাইকে কাঁদতে হবে। কাঁদুন ভাই সব, সবাই কাঁদুন, প্রাণ ভরে কাঁদুন। কেঁদে প্লাবন বইয়ে দিন।

আমার দুখের সহমর্মী হোন। না হলে মৃত্যুদণ্ড, ক্রসফায়ার।

পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়। কত দূর থেকে? অনেক অনেক দূরে কাদের কথা বলার শব্দ। কেউ কি আমাকে ধরতে আসছে।

আসলেই কি শব্দ, নাকি আমার মগজ আবার লুকোচুরি খেলছে আমার সাথে। নিজ থেকেই তৈরী করছে স্বপ্নের মায়া জাল? আবার নিস্তব্ধতা, যেন পাড়ে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের শব্দের পর দীর্ঘ নীরবতা। আমার চোখ দুটো ঘুমে জড়িয়ে পড়ছে। আয় ঘুম, আয়। মাথার চাপা যন্ত্রণাটার সাথে ঘুমের সংঘাত।

যন্ত্রণা হেরে যাচ্ছে। হে...রে......যা ......... চ্ছে।

গায়ে হাত পড়তেই লাফ দিয়ে উঠলাম আমি সহজাত ক্ষিপ্রতায়। এই চেতনা বোধ কতদিন বাঁচিয়ে দিয়েছে আমাকে; রক্ষা করেছে নির্ঘাত ধরা পড়ার হাত থেকে। ঘরের এক কোনে, স্তূপ করা ইটের পেছনে দাঁড়িয়ে, জিনসের পকেটে হাত রাখলাম যন্ত্রের মত।

ঘরে আধো আলো, আধো অন্ধকার। আমি কি জানালা দিয়ে লাফ দেব? না কি পকেট থেকে গুলিবিহীন পিস্তলটা বের করব?

আমজাদ ভাই, আমি। একটা নারী কণ্ঠ শোনা গেল।

আমার চোখের সামনে এক রাশ ধোঁয়ার পর্দা; চোখটা খুলতে পারছি না। মাথার যন্ত্রণাটা আবার ফিরে এসেছে নেওটার মত।



কে কে? গেট লষ্ট। গেট আউট। আমি চিৎকার করে উঠলাম।

আমজাদ ভাই, আমি বীথি।

আমি কি আবার নেশার ঘোরে ঢুইবা আছি? না হইলে এই আন্ধারে, ইট সুরকির গন্ধের মইধ্যে বীথির গলা শুনব ক্যান? কেডা হাত দিছিল আমার গায়ে? জব্বার হালায় চইলা গেছে রাইতের বেলা।

নাকি ফেন্সিডিলের লোভে ফেরত আইছে আবার? হালার গলা মাইয়া মানুষের গলার লাহান হইলো কেম্নে?

ভাইজান, বীথি আপায় আপনার কাছে আইছে। দারোয়ানের গলা চিনতে ভুল হলো না আমার। দেখালাম, মেঝেতে টর্চের আলো পড়েছে। বীথির চেহারাটা ফুটে উঠলো সেই আলোয়, দেয়ালে দীর্ঘ ছায়া। পেছনে টর্চ হাতে দারোয়ান।



এ আবার কিসের আলামত। বীথি কি পুলিশের চর? দালানটাকে কি পুলিশ ঘিরে ফেলেছে। খেল খতম আমজাদ সাহেব, খেল খতম।

কি চান আপনি? চিৎকার করে উঠলাম আমি।

রক্ত।

আমার রক্তবর্ণ চোখের দিকে চেয়ে কোন মতে উচ্চারণ করলো বীথি।

এ আবার কোন মশকরা? আমি কি ব্লাড-ব্যাঙ্ক? আমার কাছে তো কেউ রক্ত চায় না। প্রাণ ভিক্ষা চায়। আমি তো কারোরে রক্ত দেই না। আমার কাজ হলো রক্ত নেয়া।



রাইতে কারখানা থেইকা ফিরনের সময় সাজুর দোকানের কোনায় আফার বাপজানরে কেডায় ছুরি মারছে। দারোয়ান বলতে থাকে।

মুহূর্তে আমার নেশা কেটে যায়। কোথায়? কোথায় ছুরি মেরেছে? বলতে বলতে সামনে এগিয়ে আসি আমি।

সাজুর দোকানের কোনায়।

লোক জন চাচারে ধইরা হাসপাতাল নিয়া গেছে।

আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হয় না।

আব্বার অবস্থা খুব খারাপ। কেঁদে কেঁদে বললো বীথি। রক্ত দরকার; কিন্তু হাসপাতাল থেকে বললো, রক্ত নাই।

সবাই বললো, হাসপাতালে রক্ত আছে। টাকা খসানোর জন্য বলছে, রক্ত নাই। আমজাদ ভাই , আপনি চেষ্টা করলে জোগাড় করে দিতে পারবেন। তাই আপনার কাছে ছুটে এসেছি ......... । আমার হাত ধরে ফুঁপিয়ে উঠলো বীথি।

সোর্স: http://prothom-aloblog.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।