আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মশা যদি খাওয়া যেত মশল্লা দিয়ে ...দুনিয়ার সব মশাগুলোফালাইতাম গিলে...

সবকিছু ছেড়ে দিয়ে ছুটেছি যে সুখের পিছু,সে ত আমায় দিল না ধরা। আসলেই কি ইহা ছিল সুখ নাকি সুখ নামের মরিচীকা। ।

কয়েকদিন হল বাসায় ছুটি কাটাতে এসেছি। প্র্রতিদিন বিকেল বেলা বাসার বারান্দায় যাই বই পড়ার জন্য।

কিন্তু মশার জ্বালায় বেশীক্ষণ বসতে পারি না। এক ঝাক মশা যখন আমাকে ঘিরে ধরে তখন তাদেরকে মারতে কামান দাগাতে ইচ্ছে করে এবং মাথায় নকূল কুমারের একটি গান অনবরত ঘুরতে থাকে তা হল মশা যদি খাওয়া যেত মশল্লা দিয়ে দুনিয়ার সব মশাগুলো ফালাইতাম গিলে....মশার গান দাদা আমি সইতে পারি না....। মশার বংশ নির্মূল করতে না পারলেও মশা সম্পর্কে কিছু তথ্য আপনাদেরকে জানাতে চাই-
*এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫০০ প্রজাতির মশার সন্ধান পাওয়া গেছে।
*ডিম থেকে একটি পূর্ণাঙ্গ মশা হতে সময় লাগে ৪০ দিন।
*পুরুষ মশা বাচে ১ সপ্তাহের মত এবং তারা নেক্টার বা অন্যান্য সুগার সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে জীবন ধারন করে।

আর স্ত্রী মশা ১ বার রক্ত খাওয়ার পর হজম এবং ডিম পরিণত করতে ২ থেকে ৩ দিন বিশ্রাম নেয়। এরাও ২ থেকে ৩ সপ্তাহের বেশি বাচে না।
*তাদের মাথায় ১টা এন্টেনা আছে যা গন্ধ নেওয়ার কাজে লাগে। তবে পুরুষদের এন্টেনাটি গন্ধ নেওয়ার পাশাপাশি স্ত্রী মশার গুনগুন শব্দ চিহ্নিত করার কাজেও ব্যবহ্রত হয়। সবচেয়ে ভয়ংকর যে জিনিসটি তাদের মাথায় থাকে তা হল প্রোবস্কিস বা শুর যা দিয়ে স্ত্রী মশা রক্ত চোষে।

পুরুষদের তুলনায় স্ত্রীদের শুর একটু লম্বা থাকে।
*এনোফিলিস মশা তার বুকে লাগানো পাখার সাহায্যে ঘন্টায় ১ থেকে ২ কিঃমিঃ যেতে পারে এবং ১ রাতে ১২ কিঃমিঃ পর্যন্ত উড়তে পারে। একটা পুরুষ মশা সেকেন্ডে ৪৫০ থেকে ৬০০ বার পাখা ঝাপ্টায়।
*মশার রক্ত খাওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য রক্তে যে প্রোটিন থাকে তা ডিম এর পুষ্টির কাজে লাগে। যাদের রক্তের গ্রুপ o নেগেটিভ,যাদের চামড়ায় অনেক ব্যাক্টেরিয়া এবং গর্ভবতীদের প্রতি মশা বেশী সংবেদনশীল।

তারা সাধারণত co2 বা ঘামের গন্ধ দিয়ে এবং চোখের সাহায্য নিয়ে ভিক্টিমকে শনাক্ত করে। কামড় দেওয়ার সময় তারা স্যালাইভা নির্গত করে যা তাদের শুরকে ভিক্টিমের রক্তের সাথে জমাট বাধতে দেয় না এবং এই স্যালাইভার মাধ্যমেই সকল জীবাণু ভিক্টিমের শরীরে প্রবেশ করে। এর মাধ্যমে ডেংগু,ম্যালেরিয়া,ফাইলেরিয়াসিস সহ আরও অনেক রোগ ছড়ায় যা মৃত্যুর কারন হয়ে দাঁড়ায়। আফ্রিকা,ম্যাক্সিকো,রাশিয়া সহ এশিয়ার কিছু দেশে বছরে ৭০০মিলিয়ন মানুষ মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় ২ মিলিয়ন মানুষ বছরে মারা যায় এই সব রোগে। এসব রোগ যাতে না হয় সে জন্য আমাদের যা করতে হবে-
১।

মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রন বা নির্মূল করতে হবে।
২। রোগ প্রতিরোধে প্রতিষেধক ঔষধ খেতে হবে।
৩। মশা প্রতিরোধে মশারোধক কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।


যুগ যুগ ধরে মানুষ মশার কাছে জিম্মি। মশার মত ছোট্ট একটা পতঙ্গের ভয়ে আমাদেরকে জেলখানায় বন্দি থাকতে হয়। আমরা আশায় থাকি হয়ত এমন একদিন আসবে যেদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখব নকূল কুমারের গানটি সত্যি হয়ে গেছে। সকালে আমরা মশা দিয়ে নাশতা করব,দুপুরবেলা মশার চড়চড়ি খাব। বানিজ্যিক ভাবে মশার উৎপাদন শুরু হবে।

আর আমরা মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা পাব।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।