আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জয় দিয়েই প্রস্তুতি শেষ মুশফিকদের

গত দুই মাস বড় ধরনের ঝড় বয়ে গেছে মুশফিকুর রহিমদের ওপর দিয়ে। প্রথমে শ্রীলঙ্কা সিরিজ, এর পর এশিয়া কাপ- সব মিলিয়ে টানা নয় ম্যাচে হার। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে টানা হারের তিক্ত স্বাদ মানসিকভাবে পিছিয়ে দিয়েছিল টাইগার ক্রিকেটারদের। সেই ধাক্কা প্রায় সামলে নিয়েছেন মুশফিকরা। টি-২০ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নামার আগে দুই দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ জিতে মানসিক শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছেন টাইগাররা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতকে কষ্ট করে হারিয়েছিল প্রথম ম্যাচে। কাল আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছে আয়েশি মেজাজে। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে যেখানে ক্রিকেটারদের মেজাজ ছিল হালকা, কাল আইরিশদের বিপক্ষে সিরিয়াস ক্রিকেট খেলে জিতে নিয়েছে ৪৪ রানে।

চট্টগ্রাম টেস্টে আঙ্গুলে ব্যথা পেয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিক। ওই ইনজুরিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ খেলেননি।

তবে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিলেন। কিন্তু গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়াননি। একই অবস্থা ছিল এশিয়া কাপে। এশিয়া কাপে ব্যাটিং করলেও কিপিং করেননি মুশফিক। কালই প্রথম কিপিং করেছেন তিনি।

এর মধ্যে দুটি স্ট্যাম্পিং ও একটি ক্যাচ নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। শুধু গ্লাভস হাতে নয়, কাল ব্যাট হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। খেলেছেন ৩০ বলে ১৯৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ৫৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। চান্সলেস ইনিংসটিতে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছক্কা। টাইগার অধিনায়ক বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৯.৫ ওভারে ১১৬ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে।

সাকিবও কম যাননি। ব্যাটিংয়ে তিনিও ছিলেন দুরন্ত। ৩২ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় খেলেছেন ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস। দলের আরেক ভরসা তামিম ইকবালও ফিরেছেন রানে। আরব আমিরাতের সঙ্গে খেলেছিলেন ৩০ বলে ৪৩ রানের ইনিংস।

কাল খেলেছেন ২৯ বলে ৩২ রানের ইনিংস। তবে আগের ম্যাচের মতো কাল ব্যর্থ হয়েছেন এনামুল হক বিজয়। প্রথম ম্যাচে করেছিলেন শূন্য। কাল করেন ৩ রান। কাল প্রথমবার খেলতে নেমে ২৩ রান করেন সাবি্বর রহমান রুম্মন।

ব্যাটসম্যানরা যেমন ভালো করেছেন, তেমনি ভালো করেছেন বোলাররাও। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে গোড়ালিতে ব্যথা পেয়েছিলেন মাশরাফি। ওই ব্যথায় পরের ম্যাচগুলো খেলতে পারেননি। কাল খেলেছেন। দুই স্পেলে ৪ ওভার বোলিং করেছেন।

২৮ রানের খরচে রান উইকেট নিয়েছেন ২টি। কাল মাশরাফি বোলিং করেছেন পুরনো ছন্দেই। সুইং, গতি, সবই ছিল তার বোলিংয়ে। মরুভূমির দেশের বিপক্ষে উইকেটশূন্য ছিলেন। কাল দুই উইকেট নিয়েছেন সাকিব ১৩ রানের খরচে।

আঙ্গুলের ব্যথা সারিয়ে কাল খেলেছেন অফ স্পিনার সোহাগ গাজীও। চার ওভারের স্পেলে রান দিয়েছেন ২৪। উইকেট নিয়েছেন একটি। টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে আয়ারল্যান্ড সংগ্রহ করে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন বর্ষীয়ান উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড।

আয়ারল্যান্ডের কাছে ২০০৯ সালে নটিংহামশ্যায়ারে টি-২০ বিশ্বকাপে হেরেছিল বাংলাদেশ।

প্রস্তুতি পর্ব শেষ বাংলাদেশের। এখন মূল পর্বে খেলার জন্য মাঠের লড়াইয়ে নামবেন মুশফিকরা। বাছাই পর্বে মুশফিকদের প্রথম ম্যাচ কাল, প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। খেলা হবে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।

বাছাই পর্বের পরের দুটি ম্যাচ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ১৮ মার্চ নেপাল এবং ২০ মার্চ হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ বাংলাদেশের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ : ১৭৯/৩, ২০ ওভার (তামিম ইকবাল ৩২, এনামুল হক বিজয় ৩, সাবি্বর রহমান রুম্মন ২৩, সাকিব আল হাসান ৫৮*, মুশফিকুর রহিম ৫৯*। পল স্টার্লিং ১/১৮, ম্যাকব্রাইন ১/২২, ডকরেল ১/২৯)।

আয়ারল্যান্ড : ১৩৫/৮, ২০ ওভার (পোর্টারফিল্ড ৪৪, এডি জয়েস ১৫, পয়েন্টার ১২, সোরেনসেন ৩৫, অতি. ১৩।

সোহাগ গাজী ১/২৪, মাশরাফি বিন মর্তুজা ২/২৮, আল-আমিন ১/১১, সাকিব আল হাসান ২/১৩, আবদুর রাজ্জাক ১/৩০, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১/১৫, ফরহাদ রেজা ০/৪)।

 

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।