আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু

উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে শনিবার সকাল ৮টা থেকে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় দফা ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ মোট ৪১টি জেলার ৮১ উপজেলার মানুষ ভোট দিচ্ছেন তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ।

আজ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১ হাজার ১১৯ জন প্রার্থী। নির্বাচনী এলাকায় ইতোমধ্যে সেনা, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা টহল শুরু করেছে।

এদিকে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন উপজেলা থেকে শত শত অভিযোগ জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অভিযোগ করেন প্রার্থীরা। গতরাতেও বিভিন্ন উপজেলা থেকে সংঘাতের খবর পাওয়া গেছে।

তৃতীয় দফা উপজেলা নির্বাচনে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক-উদ্বেগের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ইসি সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে কোনো সন্ত্রাসের মধ্যে না পড়ে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আশা করি সকল উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

ভোটগ্রহণ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাতেই শেষ হয়েছে সব ধরনের প্রচারণা। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে শনিবার সংশ্লিষ্ট উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে ইসি।

এদিকে স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ৮১টি উপজেলার মধ্যে ৪৭টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ৭৯ জন। আর বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৬ উপজেলায় ৬০ জন।

নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানান, ৮১টি উপজেলায় মোট ১ হাজার ১১৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪১৯, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪২৩ এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৭৭ জন।

৮১টি উপজেলায় মোট ভোটার ১ কোটি ৩১ লাখ ৮৫ হাজার ১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩২ জন ও মহিলা ভোটার ৬৬ লাখ ১৭ হাজার ১৮১ জন। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৪৫৬টি, ভোটকক্ষ ৩৮ হাজার ১৮৯টি।

এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণে প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে ৫ হাজার ৪৫৬ জন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার প্রতি ভোটকক্ষের জন্য একজন করে মোট ৩৮ হাজার ১৮৯ জন এবং ৭৬ হাজার ৩৭৮ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন।

শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ৮১টি উপজেলায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে টহল শুরু করেছে সেনাবাহিনী। নির্বাচনের আগে ও পরে মিলিয়ে মোট ৫ দিন তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ভোট হয় ২৭ ফেব্রুয়ারি। দুই ধাপেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বেশি উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর চতুর্থ ধাপে ৯২টি উপজেলায় ২৩ মার্চ এবং পঞ্চম ধাপের ৭৪টি উপজেলায় ৩১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।