আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিমানটি ‘ছিনতাই’ হয়েছে : মালয়শিয়া

শনিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এক সংবাদ সম্মেলনেও একই কথা বলেছেন।

ফ্লাইট এমএইচ৩৭০ উধাও হয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর নাজিব বলেছেন, রেডাররের পর্দা থেকে হারিয়ে যাওয়ার প্রায় সাত ঘন্টা পর বিমানটি থেকে ছাড়া শেষ উপগ্রহ তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে এই উপগ্রহ তথ্য ওই সময় বিমানটি ঠিক কোথায় ছিল সে সম্পর্কে কোনো ধারণা দিতে পারেনি। মালয়শীয় সামরিক রেডারের পর্দায় ধরা পড়া বিমানটির শেষ অবস্থান থেকে ধারণা করা গেছে এটিকে তার গতিপথ থেকে ঘুরিয়ে মালয় উপদ্বীপের উপর দিয়ে পশ্চিম দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিমানটি মধ্য এশিয়া থেকে দক্ষিণ ভারত মহাসাগর পর্যন্ত যে কোনো জায়গায় গিয়ে থাকতে পারে, বলেছেন নাজিব।



প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই হারিয়ে যাওয়া বিমানটির ৫৩ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন জাহারি আহমেদ শাহ্’র বাসভবনে তল্লাশি শুরু করে। বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার সঙ্গে ক্যাপ্টেনের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা যাচাই করাই পুলিশের উদ্দেশ্য।

বোয়িং কোম্পানির তৈরি ৭৭৭ মডেলের অত্যাধুনিক এই বিমানটি ৮ মার্চ, শনিবার দিনের শুরুতে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে কুয়ালালামপুর থেকে চীনের বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বিমানটির চীনের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ছয়টায় বেইজিং বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল।

কিন্তু কুয়ালালামপুর ছেড়ে আসার এক ঘন্টার মধ্যেই কন্ট্রোল টাওয়ারের রেডারের পর্দা থেকে বিমানটি উধাও হয়ে যায়।

ককপিটের সঙ্গে কন্ট্রোল টাওয়ারের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় বিমানটিতে ২২৭ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু ছিল।

বিমানটি হারিয়ে যাওয়ার পর নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে নাজিব নিশ্চিত করে জানান যে অভিজ্ঞ জনেরা মনে করছেন, বিমানটির আরোহীদের মধ্যে কেউ সচেতনভাবে বিমানটির যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। এরপর বিমানটির গন্তব্য থেকে অনেক দূরে পশ্চিম দিকে কোথাও একে নিয়ে গেছে।

তিনি জানান, নতুন এই ধারণার ফলে মালয়শীয় কর্তৃপক্ষ তদন্তের মোড় বিমানটিতে থাকা ক্রু ও যাত্রীদের দিকে ফিরিয়েছেন।



“বিমানটি ছিনতাই হয়েছে, গণমাধ্যমের এমন খবর সত্ত্বেও আমি স্বচ্ছতার আকাঙ্কা নিয়ে বলতে চাই, বিমানটির কী হয়েছে তা বের করার জন্য আমরা এখনও সব সম্ভবনাই বিবেচনা করে দেখছি.” বলেন নাজিব।

সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ড উপসাগরে ও দক্ষিণ চীন সাগরে এক ডজনেরও বেশি দেশের নৌবাহিনী ও বিমানের চালানো তল্লাশি অভিযান বন্ধের ঘোষণা দেন নাজিব। শনিবার মধ্যরাত ১টা ২২ মিনিটে শেষবার কন্ট্রোল টাওয়ারের রেডারে বিমানটি যখন দেখা গিয়েছিল তখন সেটি এই দুই সাগরের সংযোগস্থলের কোনো এক জায়গার আকাশে ছিল।

মালয়শিয়া জানিয়েছে, নতুন পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, উপগ্রহের সঙ্গে বিমানটির শেষ যোগাযোগ হয়েছিল শনিবার সকাল ৮টা ১১’র, অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়ার প্রায় সাত ঘন্টা পরে।

সাত ঘন্টা অতিরিক্ত সময় উড়ে থাকলে বিমানটির জ্বালানী ওই সময় প্রায় ফুরিয়ে আসছিল বলে ধারণা করা যায়।



তবে উপগ্রহের ওই তথ্যে বিমানটি তখন কোথায় ছিল বা উড়ছিল কিনা এগুলোর কোনো কিছু জানার সুযোগ নেই। জানা শেষ অবস্থানের (মালয়শীয় সামরিক রেডারের চিত্র) সূত্র ধরেই এখন বিমানটি খোঁজার সিদ্ধান্ত হযেছে।

এর জন্য দুটি এলাকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি, থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু করে মধ্য এশিয়ার কাজাখস্তান ও তুর্কমেনিস্তান সীমান্ত পর্যন্ত এবং অপরটি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণাঞ্চল থেকে শুরু করে বিশাল দক্ষিণ ভারত মহাসাগর।




সোর্স: http://bangla.bdnews24.com     বুকমার্ক হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.