আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুষ না দেওয়ায় থানায় একজনকে পেটাল পুলিশ

মমানুষ মানুষের জন্য

মান্দা থানার ভেতরে দিপেন কুমার সরকার (৩২) নামে নওগাঁ জজ কোর্টের এক আইনজীবির সহকারীকে হকিষ্টিক দিয়ে পিটিয়েছে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই)। দাবি করা ঘুষ না দেয়ায় থানার এসআই শফিকুল রহমান এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। পুলিশের পিটুনির শিকার দিপেন উপজেলার সাহাপুকুরিয়া গ্রামের শ্রী দ্বিনেশ চন্দ্র সরকারের ছেলে। প্রতিকার চেয়ে শনিবার রাতে দিপেনের চাচা অ্যাডভোকেট বিশ^জিত সরকার থানার ভারপ্রাপ্টø কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
এব্যাপারে এসআই শফিকুর রহমান দিপেনকে শারিরিক নির্যাতন ও ঘুষ দাবির কথা অস্বীকার করে বলেন, আসামীর লোকজনের কাছে থেকে আমার নাম করে টাকা নিয়ে আমাকে ১ হাজার টাকা দেয়ার চেষ্টা করলে আমি তাকে আটক করি।

পরে আইনজীবি সহকারির পরিচয় দেওয়ায় পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেই।
মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার আশরাফুল ইসলাম জানান, তার জখম দেখে মনে হয় তাকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে। মান্দা সদর ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ হিন্দুল বলেন, এই ঘটনার তদšø করে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। মান্দা থানার ওসি আব্দুল­াহ হেল বাকী বলেন, আমি এই ঘটনার কথা গতরাতে জেনেছি। আইনজীবি সহকারি দিপেনের জখমও দেখেছি।

তদšø করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ^জিৎ সরকার জানান, মান্দা থানায় সাইকেল চুরির একটি মামলায় পাশের রাজশাহী জেলার কেশরহাট এলাকার জনৈক গোলাম রব্বানীকে গ্রেফতার করে ওই মামলার তদšøকারী কর্মকর্তা থানার এসআই শফিকুর রহমান। তাকে আদালতে সোর্পদ করে গত ১১ মার্চ ১ দিনের রিমান্ডে থানায় নিয়ে এসে মারপিট করে। ২০ হাজার টাকা দিলে তাকে মারপিট করা হবে না বলে ওই আসামীকে দিয়েই গোলাম রাব্বানীর বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। খবর পেয়ে গোলাম রাব্বানীর দরিদ্র বাবা আব্দুর রহমান ওইদিন মান্দায় ছুটে আসেন।

তিনি মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট বিশ^জিত সরকারের মান্দা ফেরিঘাট চেম্বারে যান। আসামীর বাবা থানা চিনতে না পারায় দিপেন ওইদিন রাত ৮টার দিকে তাকে নিয়ে থানায় গেলে এসআই শফিকুর ২০ হাজার টাকা দিলে রিমান্ডে নেয়া ওই আসামীকে আর মারপিট করা হবে না বলে তাদের কাছে ঘুষ দাবি করে। এসময় গোলাম রাব্বানীর বাবা একজন গরির মানুষ উলে­খ করে দিপেন ২ হাজার টাকায় বিষয়টি রফা করার চেষ্ঠা করেন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে এসআই শফিকুর রহমান হকিষ্টিক দিয়ে দিপেনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এই মারপিটের ঘটনা জানাজানি করলে আহত দিপেনকে সাইকেল চুরিসহ বিভিন্ন মামলায় জড়ানো ও ক্রসফায়ার করার হুমকি দেন।

এরপর তার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ও সাদা কাগজে স্বার নেন শফিকুর। প্রাণভয়ে দিপেন ঘটনাটি চেপে গেলেও শুক্রবার গোসল করার সময় দুই বাহু, হাত ও পিটে কালসিটে দগ দগে দাগ দেখে ফেলে পরিবারের লোকজন। পরিবারের লোকজন ওইদিন তাকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। চিকিৎসা শেষে শনিবার রাতে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।



অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।