আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তিন মামলায় মুরাদ কারাগারে

মুরাদকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এএইচ এম হাবিবুর রহমান ভূইয়া দুই মামলায় এবং প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ জাকিয়া পারভিন অন্য একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠাতে বলেন।  

আদালতের আদেশের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইন্টারপোলের সহযোগিতায় দেশে ফিরিয়ে আনা মুরাদকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় বলে এ আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাইফুল ইসলাম হেলাল জানান।

১৯৮৯ সালে ১১ অগাস্ট রাতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ হাসিনার বাড়িতে ৭/৮ জন দুষ্কৃতকারী গুলিবর্ষণ এবং গ্রেনেড ও বোমা নিক্ষেপ করে। তাকে হত্যার জন্যই ওই হামলা হয়েছিল বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ।

হামলার পর ওই বাড়িতে কর্তব্যরত হাবিলদার জহিরুল হক বাদি হয়ে ওই বছরের ২৪ অগাস্ট হত্যা চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন।

সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মো. খালেক উজ্জামান ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে যে অভিযোগপত্র দেন, মুরাদ তার ১৩ নম্বর আসামি।

এর মধ্যে হত্যা চেষ্টা মামলাটি সাক্ষ্য এবং বিস্ফোরক আইনের মামলাটি যুক্তিতর্কের পর্যায়ে রয়েছে।

ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এএইচ এম হাবিবুর রহমান ভূইয়া এ দুই মামলায় মুরাদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এছাড়া মতিঝিল সংঘ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পলাশ হত্যা মামলায় মুরাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠাতে বলেন প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ জাকিয়া পারভিন।

১৯৯৫ সালের সেপ্টেম্বরে দায়ের করা ওই মামলা এখনও সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

রাজধানীর শাহজাহানপুরে বসবাসকারী মুরাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জে। তবে তিনি ঢাকায় বড় হয়েছেন।

১৯৯৬ সালে ৩ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়ে তিনি ফ্রিডম পার্টির কর্মী হিসাবে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন বলে পুলিশের বিশেষ সুপার আব্দুল কাহহার আকন্দ জানান।

বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পলাতক মুরাদকে আটক করতে ইন্টারপোল ২০১১ সালে রেড নোটিস জারি করে। এফবিআই ও যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের সহযোগিতায় ২০১২ সালে ২ ফেব্রুয়ারি মুরাদকে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা থেকে প্রেপ্তার করা হয়।

এরপর ইন্টারপোলের সহযোগিতায় বুধবার তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশ সরকার।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।